ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

চলতি বছরে বিদ্যুৎ নিয়ে আশার খবর নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১১
চলতি বছরে বিদ্যুৎ নিয়ে আশার খবর নেই

চলতি বছরেও বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলায় কোনো আশার খবর নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে। বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বললেও সংসদীয় কমিটির কাছে উত্থাপিত এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কা ফুটে উঠেছে।



বৃহস্পতিবার সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। ‘ভবিষ্যত বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা’ শীর্ষক সাংবাদিকদের কাছে দেয়া পিডিপির ওই প্রতিবেদনের একটি সার-সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চুক্তি স্বাক্ষরিত ৩ হাজার ৩৩৭ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বেসরকারি ৩৫টি প্রকল্পের মধ্যে ২২টি চলতি বছরে চালু হওয়ার কথা আছে চলতি বছরে। এর মধ্যে ১০টি প্রকল্প মোট কাজের শতকরা ৬০ ভাগও শেষ করতে পারেনি।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগ্রিকোর সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী আশুগঞ্জে ৮০ মে.ও. ক্ষমতার প্রকল্প চালু হওয়ার কথা আগামী এপ্রিল মাসে। কিন্তু এ প্রকল্পটি মাত্র ৩১ ভাগ নির্মাণ কাজ শেষ করেছে।

মার্চ মাসে চালু হওয়ার কথা থাকলেও  মেঘনাঘাট (১০০ মে.ও.) ও খুলনা (১১৫ মে.ও.) প্রকল্প দুটি এখনও কাজ শেষ করতে পারেনি।

সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম গোলাম মোস্তফা বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন,“দুই-এক মাস দেরি হওয়া স্বাভাবিক। আমরা পিডিবির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জানিয়েছি দ্রুত কাজ শেষ করতে। ”

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আগামী মে মাসে ডাচ বাংলা পাওয়ারের ১০০ মে.ও. ক্ষমতাসম্পন্ন সিদ্ধিরগঞ্জ প্রকল্প চালু হওয়ার কথা থাকলেও কাজ হয়েছে ৫৭ ভাগ। এপ্রিল থেকে মে মাসে আরো সাতটি প্রকল্প চালু হওয়ার কথা থাকলেও শুধুমাত্র আশুগঞ্জ ৫০ মে.ও. বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ৮৭ ভাগ কাজ শেষ করতে পেরেছে। বাকি প্রকল্পগুলোর সবকটিরই প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ ভাগ কাজ বাকি।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে চলতি বছরের জুন থেকে ডিসেম্বর নাগাদ আরো ১০টি বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হওয়ার কথা থাকলেও শুধুমাত্র ১০৫ মে.ও. ক্ষমতার যশোর রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের কাজ ৮১ ভাগ এবং ফরিদপুর পিকিং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ ৭৯ ভাগ শেষ হয়েছে।

এতে বিদ্যুৎ সঙ্কটের সমাধান বিলম্বিত হবে কিনা জানতে চাইলে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বিগত সরকারগুলোর চেয়ে বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলায় অনেক বেশি পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। আশাকরি আগামী ২০১৩ সাল নাগাদ মানুষের ভোগান্তির শেষ হবে। ’

বাংলাদেশ সময় ১৬১৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।