ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

উদ্বোধনের অপেক্ষায় ভোলার গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৬
উদ্বোধনের অপেক্ষায় ভোলার গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বোরহানউদ্দিন (ভোলা) থেকে ফিরে: বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে দ্বীপজেলা ভোলায় যোগ হচ্ছে আরও ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এখন শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষা।

এ নির্মাণের মধ্যদিয়ে দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দক্ষিণ কুতবা এলাকায় অবস্থিত এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দক্ষিণাঞ্চলের ‘বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র’।   এটি জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হচ্ছে। এ বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে দক্ষিণাঞ্চলে অবসান হতে যাচ্ছে বিদ্যুতের বিপর্যয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ভোলার বোরহানউদ্দিনে ২০১৩ সালের ১৩ জুলাই প্রায় ২ হাজার ২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে চায়না চেঙ্গেদা কোম্পানি ২২৫ কিলোমিটার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের কাজ শুরু করে। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে এর যাবতীয় কাজ শেষ হয়। সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষমূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আর ডিসেম্বর মাসে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা থাকলেও তা হয়নি।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিভাগের (আইএন্ডসি মেন্টিনেন্স ডিভিশন) নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যুৎ প্লান্টের সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

বোরহানউদ্দিন পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, উপজেলা তথা ভোলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। এতে আজ ভোলার মানুষ খুবই আনন্দিত। এখানে আরও ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্ট হবে।
বিদ্যুতের ওপর নির্ভর করে এখানে ছোট-বড় কল কারখানা হবে। এটা মানুষের স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই অঞ্চলের গণমানুষের দাবি বোরহানউদ্দিনে একটি সার কারখানা স্থাপন করা হউক।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. এরশাদ আলী বাংলানিউজকে জানান, ভোলায় ২২৫ মেগাওয়াট সিসিপিপি (কমবাইন্ড সাইসেল পাওয়ার প্লান্ট) চালু হচ্ছে। এখানে বর্তমানে ৫৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত আছেন। পাশাপাশি চায়না ইঞ্জিনিয়ার দলও কাজ করছেন।
 
১৯৯৩ সালে ভোলার বোরহানদ্দিনের কাচিয়া এলাকায় আবিস্কৃত হয় শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র। ওই গ্যাস থেকে ২০১০ সালে জেলা সদরে সাড়ে ৩৪ দশমিক  মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন গ্যাস ভিত্তিক একটি রেন্টাল পাওয়ার মেশিন চালু হয়। এরপর জেলা সদরে পৌর এলাকায় গৃহস্থলি কাজে গ্যাস সংযোগ চালু করা হয়। তবে, বাণিজ্যকভাবে কোনো শিল্পকারখানা স্থাপন হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০৫১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৬
পিসি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।