ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনার অাশঙ্কা নেই!

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৬
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনার অাশঙ্কা নেই!

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ফিরে: আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের কাজ। এক্ষেত্রে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সব বাধ্যবাধকতা বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একমাত্র বিবেচনার বিষয় হচ্ছে, যদি কোনো দুর্ঘটনা হয়! 

কর্তৃপক্ষ বলছে, যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তাতে দুর্ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা প্লেন দুর্ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা থেকেও অনেক অনেক কম।  

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে বলা হচ্ছে, এতে থাকবে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা। দুর্ঘটনার আশঙ্কা শূন্যের কোঠার নিচে।

মানব সম্পদ উন্নয়ন থেকে শুরু করে রিঅ্যাক্টরের (উৎপাদন কেন্দ্র) নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পরিবেশের ভারসাম্য সংরক্ষণ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই প্রকল্পের কাজ চলছে।  

পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর এলাকায় সম্প্রতি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকা পরিদর্শনকালে এমনটাই জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং রাশান ফেডারেশনের নির্ধারিত ঠিকাদার এটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট কর্মকর্তারা।  
নির্মিতব্য ভিভিইআর-১২০০ টাইপ রিঅ্যাক্টরে রয়েছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা:

-রিঅ্যাক্টরটি মনুষ্য সৃষ্ট যেকোনো বিপর্যয় এবং প্রাকৃতিকভাবে ঘটতে পারে এমন যেকোনো প্রকার দুর্ঘটনা যেমন- শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, বন্যা ইত্যাদি মোকাবেলায় সক্ষম।  

-ফুকুশিমা দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে বাহ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বিহীন অবস্থায় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত প্ল্যান্ট নিরাপদে শাট ডাউন রাখার ক্ষমতা ডিজাইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।  

-দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনার জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নকশায় নানা রকম অ্যাক্টিভ ও প্যাসিভ শীতলীকরণ ও চাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সন্নিবেশ করা হয়েছে।

-যেকোন দুর্ঘটনার পরিস্থিতিতে পারমাণবিক চুল্লির মূল অংশের (কোর) বিগলন প্রতিরোধ ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের চেয়েও কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে।

-সর্বশেষ পর্যায়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য রয়েছে কোর ক্যাচার, যা মারাত্মক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে যদি কোর গলেও যায়, সেক্ষেত্রেও তেজস্ক্রিয় পদার্থ পরিবেশে ছড়ানো থেকে সম্পূর্ণ রূপে বিরত রাখবে।  

ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের (আইএইএ) সহযোগিতা নিয়ে তৈরি হচ্ছে এই প্রকল্প।  

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি পর্যায়ে এবং পারমাণবিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আইএইএ’র গাইড লাইন কঠোরভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। আইএইএ’র সহযোগিতা এবং সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সাইট অ্যাসেসমেন্ট থেকে শুরু করে নির্মাণ, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় পারমাণবিক অবকাঠামো তৈরি, পারমাণবিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং জনবলের প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

২০১১ সালের জুলাই মাসে আইএইএ’র একটি মিশন বাংলাদেশে এসে রূপপুর সাইট পরিদর্শন করে মূল্যায়নের সুপারিশমালা প্রণয়ন করে। একই বছরের নভেম্বরে আইএইএ’র আইএনআইআর মিশন বাংলাদেশ সফর করে অবকাঠামো বিবেচনায় এনে প্রকল্প দলিল প্রণয়ন ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষে ২০১১-১৫ সময়ের জন্য একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে।

২০১৪ সালের মার্চে আইএইএ’র পৃথক একটি দল টেকনোলজি নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং জুনে পৃথক দল বাংলাদেশকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেয়।
 
২০১৫ সালের মার্চে আইএইএ’র ফলোআপ মিশন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল নির্মাণ ও কমিশনিংয়ের জন্য ইতোপূর্বে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা ২০১৫-২০১৯ সময়ের জন্য পুনর্গঠন করে।  

ইতোমধ্যে ২০০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানী/প্রকৌশলীকে আইএইইএ’র সহায়তায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঝুঁকি সব সময়ই থাকে, তবে রূপপুরের ক্ষেত্রে শূন্যেরও নিচে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিরাপত্তার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুত্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব সিরাজুল হক খান বাংলানিউজকে বলেন, আইএইএ’র তত্ত্বাবধানে কাজ করছি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো জাতীয় কাজে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করছি। নিরাপত্তা নিয়ে প্রতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর পারমাণবিক বর্জ্য রাশিয়া নিয়ে যাবে। এতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শওকত আকবর বলেন, অন্য দেশও বর্জ্য নেওয়ার জন্য আসবে।

ছয়টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং সেগুলোর সফল অপারেশনে যাওয়া এটমস্ট্রয়এক্সপোর্টের কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ার পাভেল ভি. ভ্লাসব নিরাপত্তা নিয়ে সব ধরনের শঙ্কা উড়িয়ে দেন।

নিরাপত্তা নিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিউক্লিয়ার পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা একেবারেই নেই। যা আছে তা শূন্যেরও নিচে।

আর যদিও কোনো কারণে বিস্ফোরণ হয়। এতে মাটির নিচে বসানো কুরক্যাচার খুলে যাবে এবং রিঅ্যাক্টর তার ভেতরে ঢুকে সিল হয়ে যাবে। রিঅ্যাক্টরের মধ্যে ইউরিনিয়াম, জ্বালানি এবং রেডিয়েশন থাকে। সেখানে সেন্সর লাগানো থাকবে।  
 অগ্রগতি:

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রস্তুতি কাজের ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আর বাকি কাজ শেষ হবে ডিসেম্বরের মধ্যে। মূল কাজ শুরু হবে আগামী বছরের আগস্টে। বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ পড়বে তিন থেকে সাড়ে তিন টাকা। এতে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ পাবে গ্রাহক।

রাশান ফেডারেশনের নির্ধারিত ঠিকাদার এটমস্ট্রয়এক্সপোর্টের কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ার পাভেল ভি. ভ্লাসব বলেন, ২০২২ সালেই প্রথম ধাপের উৎপাদনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।  

সম্প্রতি তথ্য অধিদপ্তরের আয়োজনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আয়োজনে মিডিয়া টিমের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ১ হাজার ৬২ একর জমির ওপর এই প্রকল্পে প্রস্তুতি কাজের অন্যান্য কাজগুলো দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ রাশিয়ান ফেডারেশনের কর্মকর্তারা ব্যস্ত কাজে। প্রস্তুতিমূলক কাজের মধ্যে সার্ভেয়ার বেইজ, পাইওনিয়ার বেইজ ও কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বেইজ। যেগুলোর ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে।  

প্রস্তুতিকাজের ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব সিরাজুল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট করে মূল প্ল্যান্টের কাজ হবে দু’টি পর্যায়ে। ২০১৭ সালের আগস্টে মূল কাজ শুরু হবে। প্রথম ধাপে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের উৎপাদন শুরু হবে ২০২২ সালে এবং হস্তান্তর (টেকওভার) হবে ২০২৩ সালে। দ্বিতীয় ধাপের উৎপাদন শুরু হবে ২০২৩ সালে এবং ২০২৪ সালে টেকওভার হবে।

বিজ্ঞান সচিব আরও বলেন, ৮০ বছরে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। সর্বোচ্চ হলে উৎপাদন খরচ পড়বে সাড়ে তিন টাকা। সময়ের মধ্যে দেশবাসীকে স্থায়ী বিদ্যুতের নির্ভরযোগ্য উৎস ঠিক করে দেব। ২০২৪ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ সুসম্পন্ন করতে চাই।  

যেভাবে শুরু:

১৯৬৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তা নিয়ে বৈরিতা শুরু হয়। পরবর্তীতে পাকিস্তানে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে বলে জানান বিজ্ঞান সচিব।  

একক উৎস থেকে কমমূল্যে বিদ্যুৎ পাওয়ার উপায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য ২০০৭ সালে বিভিন্ন দেশ সফর করে রাশিয়া বাস্তবায়নে রাজি হয়।
 
সচিব বলেন, তারা ৯০ শতাংশ সফট লোন দিতে রাজি হয় এবং তারা বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। এটাকে পুতিন সরকারের বেস্ট প্রাইজ বা ফ্রেন্ডলি গিফট বলে উল্লেখ করেন সচিব।
 
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে থাকবে দু’টি চুল্লি, জানান সচিব।

চলতি মাসের শেষে বা আগামী মাসের শুরুতে ক্রেডিট এগ্রিমেন্ট চুক্তি সই হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ে প্রকল্পের আওতায় রাশান ফেডারেশনের নির্ধারিত ঠিকাদার এটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট-এর সঙ্গে ইতোমধ্যে ৪টি চুক্তি সই হয়েছে।

আর ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল পর্যায়ের নির্মাণ কাজের জন্য জেনারেল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। স্বাক্ষরিত জেনারেল চুক্তির মূল্য সর্বমোট ১২.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরমধ্যে জিওবি অংশ ১.২৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১০%। আর রাশিয়ার অর্থায়ন বা ঋণ ১১.৩৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৯০%।
পরিবেশ-অর্থনৈতিক ভারসাম্য:

এই প্রকল্পটি অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব। মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাপক হারে বাড়াতে হলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

রূপপুর পাওয়ার প্ল্যান্টে  প্রাথমিকভাবে খরচ হচ্ছে প্রায় ১৩.২ বিলিয়ন ডলার। প্রশ্ন উঠছে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১৩.২ বিলিয়ন ডলার খরচ যুক্তিযুক্ত কিনা।  

এই প্রশ্নের উত্তর বলা হচ্ছে- ১৩.২ বিলিয়ন ডলার ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট যা প্রতি বছর খরচ করার প্রয়োজন হবে না। ১৩.২ বিলিয়ন ডলার খরচ করলে ২৪০০ মেগাওয়াট নয় বরং ৫০ বছরে সর্বমোট ১ লাখ ২০ হাজার মেগাওয়াট-বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সক্ষমতা তৈরি হবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র আরও ৩০ বছর চালানো যেতে পারে। রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের ক্ষেত্রে এই হিসাব অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি।  

উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ৫০ বছরে দেশের জাতীয় উৎপাদন বাড়বে কমপক্ষে ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পাওয়ার প্ল্যান্টের কারণে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যক্রমে যে গতি আসবে সেখান থেকে অর্থনীতিবিদরা গণনা করে দেখিয়েছেন প্রতি বছর জিডিপি গড়ে ২ বিলিয়ন ডলার করে বৃদ্ধি পাবে।
 
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জায়গার স্বল্পতা এবং পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা মাথায় রাখলে ব্যাপক ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। কারণ নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে স্বল্প জায়গায় অনেক বেশি সময় ধরে অনেক বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট ভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থায় কারণ নিঃসরণ হয় না। আর বাস্তবতা হচ্ছে গড় উৎপাদন খরচও সবচেয়ে কম।

একমাত্র বিবেচনার ব্যাপার হচ্ছে, যদি কোন দুর্ঘটনা হয়! তবে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তাতে দুর্ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৬
এমআইএইচ/পিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।