ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

মঙ্গলবার অনুমোদন

২৫ লাখ নতুন গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুতের আলো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৬
২৫ লাখ নতুন গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুতের আলো

ঢাকা: ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ ও পল্লী এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ২৫ লাখ নতুন গ্রাহকের  ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে ওই ২৫ লাখ গ্রাহকের ঘরে স্থাপন করা হবে নতুন বৈদ্যুতিক মিটার।

এতে করে গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়বে আলোর ছটা।
 
‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ২৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হবে ১ হাজার ২২৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য ৪৫৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৭৭১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) আওতাধীন ৭৭টি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
 
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (৩১ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সকাল দশটায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

একনেক সভায় মোট ছয়টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে ২৫ লাখ গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রকল্পটি প্রথম সারিতে রাখা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের বিদ্যুৎ উইংয়ের যুগ্ন প্রধান খলিলুর রহমান খান বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পটির আওতায় ৬৫ হাজার ট্রান্সফরমার, ২৫ লাখ মিটার ও ৭৫ হাজার ৬৫১ কিলোমিটার কন্ডাক্টর কেনা হবে। বাপবিবো ২০১৭ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করব।
 
বাপবিবো জানায়, বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে চায়। সরকারের এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হচ্ছে। বর্তমানে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৪১ কিলোমিটার  লাইনের মাধ্যমে ১ কোটি ৪২ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সেবা দিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাপবিপো একটি ইন হাউজ সিকউরিটি  স্টাডি সম্পন্ন করেছে।
 
স্টাডির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, কোনো বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ না করে শুধুমাত্র ট্রান্সফার স্থাপন করেই ২৫ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
 
এর আগে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) পরিকল্পনা কমিশনের প্রাক মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায়  উপস্থাপনার জন্য প্রস্তাব পাঠায়। প্রস্তাবনায় দেখা গেছে, ট্রান্সপোর্টেশন অ্যান্ড ল্যান্ডিং চার্জ খাতে ৩৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা,  ২৫ লাখ মিটার বাবদ সাড়ে ২৪ লাখ টাকা, সরবরাহ ও সেবা খাতে ৬৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা, যানবাহন কেনা বাবদ ৮০ লাখ টাকা ও সিডি ভ্যাট বাবদ ৩৭৬ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে।
 
২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে হবে উন্নত দেশ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চাহিদা। ২০২১ সালে প্রয়োজন হবে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এবং ২০৪১ সালে প্রয়োজন হবে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বাংলাদেশে ২০০৭ সালে ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। কিন্তু গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে বহুগুণে।

বিদ্যুৎ, শিল্প, পরিবহন, বাণিজ্যিক, সার উৎপাদন, আবাসিক রান্নার কাজে গ্যাস প্রয়োজন। তাই পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী কয়লাকে প্রধান জ্বালানি রেখে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা হবে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৮ হাজার ৩৫৮ মেগাওয়াট। এটা কয়েকগুণ বাড়িয়ে পর্যায়ক্রমে সকলকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।