ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বিদ্যুতের যা থাকছে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বিদ্যুতের যা থাকছে

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে বিদ্যুৎ খাতের চারটি প্রকল্পের এমওইউ স্বাক্ষর হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন।

যে চারটি প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা চুড়ান্ত হয়েছে এগুলো হচ্ছে ত্রিপুরা থেকে আরও ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি, নেপালে ভারতীয় কোম্পানি জিএমআর এর নির্মিতব্য জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানি, ঝাড়খণ্ডে আদানী গ্রুপের প্রস্তাবিত কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয় এবং বাংলাদেশ-ভারত-ভুটান-নেপাল চর্তুদেশীয় গ্রিড নির্মাণ প্রকল্প। ত্রিপুরা থেকে বর্তমানে ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ।
নতুন করে আরও ৬০ মেগাওয়াট নিয়ে আলোচনা ‍চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরে চুড়ান্ত হলে আগামী ডিসেম্বর মাস নাগাদ বাড়তি ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে বলে জানান মোহাম্মদ হোসাইন। ৬০ মেগাওয়াটের দর কেমন হবে জানতে চাওয়া হলে বলেন, বর্তমানে ত্রিপুরা থেকে যে দরে ১শ’ মেগাওয়াট আসছে সেই একই দর হবে। ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ ত্রিপুরা থেকে ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির উদ্বোধন করা হয়। কুমিল্লা হয়ে এ বিদ্যুৎ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। এতে ইউনিট প্রতি দাম পড়ছে ৬ দশমিক ২৬ টাকা। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে আদানী গ্রুপ ১৬শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন একটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়েছে। এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সবটাই বাংলাদেশে রপ্তানি করতে চায় ভারতীয় কোম্পানিটি। এ জন্য ভারত অংশে পৃথক গ্রিড লাইন নির্মাণ করবে আদানী গ্রুপ। চুক্তির পর তিন থেকে চার বছরের মতো সময় লাগতে পারে। এই প্রকল্পটির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সফরে এমওইউ স্বাক্ষরের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আরেকটি প্রকল্প রয়েছে বিদ্যুতের চর্তুদেশীয় গ্রিড লাইন নির্মাণ। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে বাংলাদেশ নেপালে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে। সেখান আপার কার্নালী এলাকায় নেপালের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হবে। ওই কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রস্তাবিত গ্রিডের মাধ্যমে বাংলাদেশ আনতে চায়। এই প্রকল্পের বিষয়ে নেপাল সরকার চুড়ান্ত সম্মতি দিয়েছে। শুধু ভারতের অনুমোদনের অপেক্ষায় ঝুলে রয়েছে প্রকল্পটি। বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭ এসআই/জেডএম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।