ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

সিপিডিকে চব্বিশ ঘণ্টা সময় দিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
সিপিডিকে চব্বিশ ঘণ্টা সময় দিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী সেমিনারে বিদ্যু‍ৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা

ঢাকা: কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে বেশি সুবিধা দেওয়া অভিযোগ প্রমাণের জন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগকে (সিপিডি) চব্বিশ ঘণ্টা সময় দিলেন বিদ্যু‍ৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

শনিবার (১৯ আগস্ট) বিদ্যুৎ ভবনে এক সেমিনারে সিপিডির পরিচালক (গবেষণা) গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেনের বক্তব্যে উত্থাপিত অভিযোগের জবাবে তিনি এই সময় দেন।
 
সেমিনারে গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমাদের মনে হয়েছে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে বেশি সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

অন্য প্রজেক্টগুলোকে সুবিধা দেওয়া যেতো, কিন্তু সরকার তা করেনি। বিশেষ করে কুইক রেন্টালগুলোর সঙ্গে প্রথম দফায় যখন চুক্তি করা হয়, তখনই তাদের নির্মাণ ব্যয় ও অন্যান্য খরচ ধরে করা হয়। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ শেষে যখন দ্বিতীয় দফায় চুক্তি করা হয় তখনও একই হারে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয়বার মূল্য অনেক কম হওয়া উচিত ছিলো।
 
এ সময় প্রধান অতিথির আসনে বসা প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনার এই তথ্য সঠিক নয়। আমরা সবগুলোর দর কমিয়েছি। আপনার কাছে কি কোন প্রমাণ আছে? নির্দিষ্ট করে যদি বলেন।
 
জবাবে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আমার কাছে লেখা আছে।

এ কথা বলে নিজের কাছে থাকা কাগজ ঘাঁটেন গোলাম মোয়াজ্জেম। না পেয়ে বলেন,  আমার অফিসে রয়েছে। ২০১৪ সালের গবেষণায় এমন দেখা গেছে।
 
সেমিনারে বিদ্যু‍ৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।  ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা তার এই বক্তব্যের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনাকে চব্বিশ ঘণ্টা সময় দিলাম। আপনি দেখাবেন কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এমন হয়েছে। ঢালাওভাবে মন্তব্য করলে জনগণ বিভ্রান্ত হয়। এভাবে মন্তব্য করা ঠিক না। আর চার বছর আগের গবেষণা। আপনাদের আপডেট হওয়া প্রয়োজন।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কোন চুক্তি করার আগে দরপত্র আহ্বান করেছি। তারপর সেখানে দরাদরি করে চুড়ান্ত করেছি। সমালোচনার কোন সুযোগ নেই।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগের চেয়ে বিদ্যুতের অবস্থা অনেক ভালো। আমরা ২০১৮ সালের মধ্যে সবার ঘরে বিদ্যু‍ৎ পৌঁছে দিতে চাই। তবে লোডশেডিং মুক্ত এবং ভালো বিদ্যুৎ দিতে হলে আরো কিছুটা সময় প্রয়োজন রয়েছে।
 
তিনি বলেন, লোডশেডিং মুক্ত বিদ্যুৎ দিতে হলে আমাদের অনেকগুলো উপকেন্দ্র নির্মাণ করা প্রয়োজন। কিন্ত মানুষ জমি দিতে চায় না, জমি পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি আগামী পনেরো বছরে যে পরিমাণ জমি প্রয়োজন হবে সব একবারে অধিগ্রহণ করে রাখতে। তাও পাওয়া যাচ্ছে না।
 
বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। যে কারণে দাম বাড়ানো ছাড়া কোন উপায় নেই। হঠাৎ করে বেশি আকারে দাম বাড়ালে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই এখন থেকেই ধীরে ধীরে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেন বক্তাদের কেউ কেউ।

এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষের আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যয়ের ক্ষমতাও বাড়বে। আজ থেকে দশ বছর পর ৬ টাকায় বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে- এমনটা ভাবার কারণ নেই।
 
‘জ্বালানির মূল্য ও বাংলাদেশের অর্থনীতি’ শীর্ষক এই সেমিনার আয়োজন করে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি)। সংগঠনের চেয়ারম্যান অরুণ কর্মকারের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন- বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, বিইআরসির সদস্য মিজানুর রহমান, ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
এসআই/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।