ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

দুই কেন্দ্র ও ১০ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭
দুই কেন্দ্র ও ১০ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: ৫৫৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার দু’টি বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ত্রিপুরা থেকে অতিরিক্ত ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি ও ১০ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।

বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি হলো- আশুগঞ্জ ৪৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (নর্থ) এবং কেরানীগঞ্জে ১০৮ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এছাড়া বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট, ফকিরহাট, দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেট সদর, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, কিশোগঞ্জের ভৈরব, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও নরসিংদী সদর উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি শিক্ষার্থী, দিনমজুর, চা শ্রমিক, শিক্ষক, ইমামসহ কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, সিলেটসহ ৭ জেলা ও ১০ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অযথা অহেতুক বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন না। বিল যাতে কম হয় সে ব্যাপারে সাশ্রয়ী হন। বিদ্যুতের অপচয় যেনো না হয়, সেজন্য আমি বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি। এই সম্পদ আমাদের সম্পদ, সরকারি সম্পদ মানে জনগণের সম্পদ।

শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ; নিজ হাতে সুইচ বন্ধ করুন। আমি যখন ঘর থেকে বের হই, আমি নিজ হাতে সুইচ বন্ধ করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ আমাদের অনেক বেশি। আমরা বিদ্যুটা দিচ্ছি অনেক কম দামে। প্রায় ২২ শতাংশ কম দামে। মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে ভর্তুকি দিয়ে বিদ্যুতের দাম ধরছি। অনেক টাকা লোকসান হচ্ছে। মানুষের জীবনমান উন্নত হচ্ছে, এটাকে প্রাধান্য দিচ্ছি।

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

জনগণের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনজীবনের পরিবর্তিত চাহিদা মূল্যায়নে রেখেই উন্নয়নে অগ্রাধিকার খাত চূড়ান্ত করছে সরকার।

মানুষের জীবনমান বাড়াতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সফলতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দ্রুত বিদ্যুতের চাহিদা বাড়া জনগণের জীবনমান বাড়ার বড় প্রমাণ। খাদ্যের পর বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে জনগণের চাহিদা বাড়ায় অগ্রাধিকার বিবেচনায় এসব খাতের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।

উন্নযনকে টেকসই রাখতে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিপথগামীদের জঙ্গিবাদের আত্মঘাতী পথ থেকে সরিয়ে আনতে শিক্ষক ও ইমামদের মতো সমাজের গণ্যমান্যদের আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান তিনি।

গণভবন প্রান্তে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

**দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের উদ্বোধন

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭
এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।