ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিদ্যুতের দাম ৬.২৪ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব ডিপিডিসির

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৭
বিদ্যুতের দাম ৬.২৪ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব ডিপিডিসির ডিপিডিসির প্রস্তাবিত মূল্যবৃদ্ধির নথি

ঢাকা: গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে ৬.২৪ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) । সার্ভিস ও ডিমান্ড চার্জ বৃদ্ধিরও আবেদন করেছে তারা।

 

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) গণশুনানিতে এ প্রস্তাব তুলে ধরেন ডিপিডিসির  নির্বাহী পরিচালক গোলাম মোস্তফা।

শুনানি গ্রহণ করেন বিইআরসি চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, সদস্য মিজানুর রহমান, রহমান মুরশেদ, আবদুল আজিজ খান ও মাহমুদউল হক ভুইয়া।

ডিপিডিসির প্রস্তাবিত মূল্যবৃদ্ধির নথিডিপিডিসির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রতি ইউনিটের সঙ্গে বিতরণ ব্যয় যোগ করলে মূল্য দাঁড়ায়  ৭.৭৫ টাকা। কিন্তু গড়ে তা ৭.৩২ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে ঘাটতি থাকায় প্রতি ইউনিটে  দশমিক ৪৩ টাকা লোকসান দিচ্ছে ডিপিডিসি। এ কারণে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩'শ ৫০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।

ডিপিডিসি আবাসিক সংযোগের ক্ষেত্রেও ৫.৯৯ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। সার্ভিস চার্জ ১ ফেজ ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা এবং ৩ ফেজ ৩০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আবাসিকে ডিমান্ড চার্জ ১৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

অন্যান্য শ্রেণীর গ্রাহকদের ক্ষেত্রেও সার্ভিস চার্জ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে ডিপিডিসি। ডিপিডিসি ঢাকা সিটির দক্ষিণ  ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে। মোট গ্রাহক রয়েছে ৯ লাখ ৮৬ হাজার ১৭৬ জন। এর মধ্যে ৮৮.৪১ শতাংশ গ্রাহকই আবাসিক।

ডিপিডিসির প্রস্তাবিত মূল্যবৃদ্ধির নথিগণশুনানিতে অংশ নিয়ে ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম এর তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং চুরি ঠেকানো গেলে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না।

শামসুল আলম বলেন, ডিপিডিসি অনেক ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি করে রেখেছে। বড়বড় শপিং মলের এসিতে বসে যারা ব্যবসা করেন তাদের বিল কম। আর ফুটপাতের পান দোকানির বিদ্যুতের বিল বেশি। এই বৈষম্য দূর হওয়া দরকার। সংস্থাটি বর্তমানে মধ্যম ভোল্টেজ (১১ কেভি) শপিং মলের জন্য ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ বিল ৭.৪৫ টাকা আদায় করছে| আর পান দোকানির জন্য বাণিজ্যিক রেট ৯.৬৬ টাকা আদায় করছে।

অধ্যাপক শামসুল আলম যখন যুক্তি দেন তখন বসে বসে শুনছিলেন ডিপিডিসির এমডি বিকাশ দেওয়ান ও নির্বাহী পরিচালক অর্থ গোলাম মোস্তফা। তারা অনেক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে ব্যর্থ হন।

শুনানিতে অংশ নিয়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির বিপক্ষে মত দেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক জেবুন্নেছা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি।

বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৭
এসআই/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।