ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিইআরসি ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে ব্যর্থ: ড. শামসুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
বিইআরসি ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে ব্যর্থ: ড. শামসুল

ঢাকা: বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এবং কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় বাংলানিউজকে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবটা যৌক্তিক ছিল না।

আমরা বলেছিলাম এখানে অযৌক্তিক ব্যয় রয়েছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। আমরা অযৌক্তিক ব্যয়গুলোকেও চিহ্নিত করে কমিশনের কাছে তুলেও ধরেছিলাম।  

‘এই অযৌক্তিক ব্যয় বৃদ্ধির যে ঘাটতি রয়েছে, সেই ঘাটতি অযৌক্তিক। ফলে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবও অযৌক্তিক। ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা। সেখানে মাত্র ছয় পয়সা সমন্বয় করে, সেটাকে যৌক্তিক ধরে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির আদেশ দেওয়া হয়েছে। ’ 

তিনি বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সরকারকে প্রতি ইউনিটে ৪৯ পয়সা ভর্তুকি দিতে হবে। আর ভোক্তাকে গুনতে হবে ৩৮ পয়সা। সুতরাং বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি ন্যায়সঙ্গত হয়নি।

পড়ুন>>বিদ্যুতের ‘অযৌক্তিক’ বাড়তি মূল্য প্রত্যাহারের দাবি

ড. শামসুল আলম বলেন, বিইআরসির দায়িত্ব হচ্ছে ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা। বিইআরসির কাছ থেকে ভোক্তারা ন্যায়বিচার পায়নি। তারা ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে।  

বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গে বিইআরসির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিইআরসির দায়িত্ব হচ্ছে ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষা দেওয়া। ভোক্তাদের স্বার্থ এবং অধিকার তখনই সুরক্ষিত হবে, যখন ভোক্তা অযৌক্তিক ব্যয়বৃদ্ধি থেকে রক্ষা পাবে। অথচ অযৌক্তিক ব্যয় ধরে মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।

‘ফলে জনগণকে বিদ্যুতের বাড়তি মূল্য দিতে হবে, সেই সঙ্গে সরকারকেও বিদ্যুৎ খাতে বাড়তি ভর্তুকি প্রদান করতে হবে। ফলশ্রুতি হিসেবে জনগণ ও সরকার উভয়ের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। ’ 

ক্যাবের এই উপদেষ্টা আরো বলেন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করার জন্যই বিইআরসির কাছে প্রস্তাব আসে। বিদ্যুতের মূল্য কমানোর কোনো প্রস্তাব আসে না। আমাদের কনজ্যুমারদের মূল্য কমানোর কোনো প্রস্তাব নিয়ে যাবার অধিকার নেই বিইআরসির কাছে।  

‘বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে আসলেই যদি সেটা বৃদ্ধি হয় এবং ভোক্তাদের স্বার্থ ও অধিকার সুরক্ষার করার আইনি এখতিয়ার বিইআরসির, তখন সেই আইন প্রহসনমূলক বলা যায়,’ যোগ করেন তিনি।  

বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিদ্যুতের দাম খুচরা পর্যায়ে গড়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বা ৩৬ পয়সা বাড়িয়েছে।  

পড়ুন>>​ পাইকারি-খুচরায় বাড়লো বিদ্যুতের দাম

পাইকারি পর্যায়ে গড়ে বাড়ানো হয়েছে ৪০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। নতুন দাম আগামী ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
আরকেআর/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।