ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রূপপুর প্রকল্পের বড় কার্গো ভেড়াতে প্রস্তুত ঈশ্বরদীর নৌবন্দর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২০
রূপপুর প্রকল্পের বড় কার্গো ভেড়াতে প্রস্তুত ঈশ্বরদীর নৌবন্দর

ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী যন্ত্রপাতি আনতে ঈশ্বরদীর নৌবন্দর পুরোপুরি চালু হয়েছে। পদ্মানদীতে অবস্থিত এ বন্দর দিয়ে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ ও চালু করার বিভিন্ন ভারী সরঞ্জামাদি এবং জ্বালানি তেল নির্মাণস্থলে পৌঁছাবে।

শুক্রবার (২৮ আগস্ট) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন-রোসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে রোসাটম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের সহ-সভাপতি ও পরিচালক এস জি লাসতোচকিন বলেন, চলতি বছরের বিভিন্ন সময়ে এই বন্দর দিয়েই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর কম্পার্টমেন্টের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অংশ যেমন, ভিভিইআর-১২০০ (VVER-1200) এর চুল্লিপাত্র, চারটি স্টিম জেনারেটর ও বিভিন্ন ভারী যন্ত্রপাতি ওঠা-নামানোর জন্য পোলার ক্রেন সরবরাহ করা হবে।

বাংলাদেশের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য যন্ত্র-সরঞ্জামাদিবাহী কার্গো সমুদ্রপথে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ ও নভোরোসিয়েস্ক থেকে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে পৌঁছাবে। সেখান থেকে জাহাজে করে নদীপথে পদ্মায় অবস্থিত নৌবন্দরে নেওয়া হবে। এরপর এই বন্দর থেকে নেওয়া হবে পরমাণু কেন্দ্র নির্মাণস্থলে।

পদ্মানদীর এ বন্দর তৈরিতে সময় লেগেছে দেড় বছর। এর আয়তন ১৫০ বাই ৩৫০ মিটার। বছরের বিভিন্ন মৌসুমে নদীতে পানির গভীরতায় ১০ মিটারের পার্থক্য ধরে মেপে বন্দরটির তৈরি করা হয়েছে। এমনকী পানি নিচে নেমে যাওয়ার মৌসুমেও পদ্মানদীতে সর্বোচ্চ পরিমাণে পানি নিচে নেমে গেলেও বন্দরঘাটে সর্বনিম্ন সাড়ে তিন মিটার পানির গভীরতা থাকবে। এই গভীরতায় বছরের সব সময় জাহাজ থেকে কার্গো নামানো যাবে। বর্ষা মৌসুমে বন্দরে বড় আকারের জাহাজও ভেড়ানো যাবে।

বর্তমানে বন্দরটিতে দু’টি ক্রেন রয়েছে যেগুলো ৬৩ টন ধারণক্ষমতার। ৩০৮ টন ধারণ ক্ষমতার আরও দু’টি ভারী ক্রেন যুক্ত করা হবে বন্দরটিতে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২০
এসকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।