ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লেও মূল্য স্থির রেখেছে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২০
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লেও মূল্য স্থির রেখেছে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস

ঢাকা: এলপিজি-লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস হচ্ছে প্রপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ। এলপিজির ৯৮ শতাংশই আমদানি করা হয়।

দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাকিটা উৎপাদন করে ইস্টার্ন রিফাইনারি। আমাদের দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার ফুরিয়ে আসছে। সেজন্য আমাদের দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকল্প জ্বালানির উৎস সন্ধানের উপদেশ দিয়েছেন জ্বালানি এবং খনিজ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডকে। সহজলভ্যতা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে স্বল্পমূল্যের কারণে এক্ষেত্রে প্রথম বিকল্প হচ্ছে এলপিজি। দেশে রান্নার কাজে প্রধান জ্বালানি হয়ে উঠেছে এলপিজি।

বর্তমান সময়ে দেশে এলপিজি ব্যবহারের অবস্থাই পুরোপুরি পাল্টে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কম হওয়ায় এলপিজি গ্যাসের দামও ছিল গ্রাহকদের হাতের নাগালে। ২০১১ সালে এলপিজি গ্যাসের চাহিদা ছিল ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। ৯ বছরেই যা ১৫ গুণ বেড়ে গেছে। বর্তমানে এর চাহিদা প্রায় ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন। বর্তমানে বসুন্ধরা, যমুনা, ওমেরা, টিকে গ্যাস, ওরিয়ন, প্রমিতা, নাভানা, সেনা, বেক্সিমকো, জি গ্যাসসহ ২৫টি কোম্পানি এলপি গ্যাস বাজারজাত করছে। এই শিল্পে ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে কোম্পানিগুলো।

বাংলাদেশে এলপিজি আমদানি নির্ভর পণ্য হওয়ায় স্থানীয় এলপিজি অপারেটররা সৌদি আরামকোর কনট্রাক্ট প্রাইসের (সিপি) ওপর নির্ভর করে স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে থাকেন। চলতি বছরের জুন থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। গত জুনে কন্ট্রাক্ট প্রাইস ছিল ৩৩৬ মার্কিন ডলার/এমটি। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৯ মার্কিন ডলার/মেট্রিক টন। অর্থাৎ গত ৪ মাসে সৌদি আরামকোর কন্ট্রাক্ট প্রাইস বেড়েছে ৪৩ ডলার।  

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারেও এলপি গ্যাসের দাম বেড়েছে। বাংলাদেশে বেশিরভাগ অপারেটরটরা চলতি অক্টোবর মাসে ১২ কেজি এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮১০ টাকা করেছেন। তবে বাজারে নেতৃত্বস্থানীয় কোম্পানি হিসেবে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড তাদের আগের দামেই আছে। এই মুহূর্তে দাম বাড়ানোর বিষয়ে তারা মোটেও আগ্রহী নয়। কারণ দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি বসুন্ধরা গ্রুসের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের অনেক বড় দায়িত্ব রয়েছে। গ্রামীণ ও আধা শহরাঞ্চলের বাসিন্দারাই এলপি গ্যাসের প্রধান গ্রাহক। মহামারি করোনা ভাইরাস ও বন্যার কারণে দেশের মানুষের দুর্দশা এখন অবর্ণনীয়।

আয় কমে যাওয়ার কারণে দেশের অধিকাংশ মানুষই আর্থিক সঙ্কটে রয়েছেন। করোনা প্যান্ডামিক ও বন্যা দুর্গতদের কথা ভেবে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড তাদের সর্বনিম্ন মূল্যেই পণ্য বাজারজাত করছে, যেখানে অধিকাংশ ব্রান্ডই দাম বাড়িয়েছে। শুরু থেকেই বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড সবসময় দেশের মানুষের জন্য কাজ করে আসছে। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড প্রধানমন্ত্রীর সহযোগী হয়ে কাজ করছে। বসুন্ধরা এলপি গ্যাস সবসময় নীতিগত ব্যবসার বিষয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ। পাশাপাশি পণ্যের সর্বোচ্চ মান ধরে রাখতে আগ্রহী বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড। শুধু মার্কেট শেয়ারে সেরা অবস্থান ধরে রাখাই নয়, দেশের মানুষের পাশে থাকতে চায় বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড। দেশের মানুষের কল্যাণে আমরা প্রতিনিয়ত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কারণে এতে বসুন্ধরা গ্রুপের ‘জনগণের জন্য, দেশের জন্য’ স্লোগানে দেশের অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।