ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি: সাবেক ৬ এমডিসহ ২২ কর্মকর্তা জেলে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি: সাবেক ৬ এমডিসহ ২২ কর্মকর্তা জেলে

দিনাজপুর: দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কয়লা চুরির ঘটনায় সাবেক ছয় এমডিসহ ২২ কর্মকর্তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।  

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে দিনাজপুরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল করিম এ আদেশ দেন।

 
আসামিদের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকার কয়লা চুরির অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই পার্বতীপুর থানায় মামলা হয়। মাঝে তারা জামিনে ছিলেন। মামলাটি বিচারের জন্য দিনাজপুরের স্পেশাল জজ আদালতে পাঠানো হয়। বুধবার মামলাটির চার্জ গঠন ও জামিনের জন্য দিন ধার্য ছিল। আসামিরা হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক এমডি মো. আব্দুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশিদ আলম, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, মো. আনিসুজ্জামান, প্রকৌশলী এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহমেদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শরিফুল আলম, মো. আবুল কাশেম প্রধানিয়া, আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদা, মো. আরিফুর রহমান ও সৈয়দ ইমাম হাসান, উপব্যবস্থাপক মো. খলিলুর রহমান, মো. মোর্শেদুজ্জামান, মো. হাবিবুর রহমান, মো. জাহিদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক সতেন্ত্র নাথ বর্মন, মো. মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক মো. সোহেবুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক একেএম খাদেমুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক অশোক কুমার হাওলাদার ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. জোবায়ের আলী।

দিনাজপুরের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক ইসরাইল হোসেন জানান, বুধবার এ চাঞ্চল্যকর মামলার চার্জগঠন শুনানি ছিল। মামলার আসামিরা আদালতে এসে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।  

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত এক লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে। যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা ৮৪ পয়সা। এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনিসুর রহমান বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তফসিলভুক্ত হওয়ায় দুদক কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। পরে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। চার্জশিট দাখিলের পর সাবেক এমডি মো. মাহবুবুর রহমান মারা যান।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।