ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

ব্রেস্ট-অডি-৩০০ পাওয়ার ইউনিটের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে যন্ত্রাংশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
ব্রেস্ট-অডি-৩০০ পাওয়ার ইউনিটের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে যন্ত্রাংশ

ঢাকা: রাশিয়ার সাইবেরিয়ান কেমিক্যাল কম্বাইনে (এসসিসি, সিভারেস্কে রোসাটমের টিভিইএল ফুয়েল কোম্পানির একটি প্রতিষ্ঠান, টমাস্ক রিজিয়ন, পশ্চিম সাইবেরিয়া) ব্রেস্ট-অডি-৩০০ পাওয়ার ইউনিটের ফাস্ট নিউট্রন রিয়াক্টর নির্মাণ প্রকল্পে রিয়াক্টর স্থাপনের জন্য মূল প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম প্রস্তুত ও সরবরাহের চুক্তি সই হয়েছে।

এসসিসি এবং সিকেবিএমের (রোসাটমের যন্ত্র প্রকৌশল শাখার একটি ইউনিট) মধ্যে একটি রিফুয়েলিং কমপ্লেক্সের সরঞ্জাম প্রস্তুত ও সরবরাহ করার এ চুক্তি সই হয়।

এছাড়াও স্টিম জেনারেটরের প্রস্তুত, সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে জিও-পোডলস্কের যন্ত্র-প্রস্তুতকারী প্লান্ট (রোসাটমের যন্ত্র-প্রস্তুতকারী আরাকটি ইউনিট)।  

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ব্রেস্ট-অডি-৩০০ রিয়াক্টর স্থাপন এবং মূল সরঞ্জামে অনুপম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত অন্য কোনোও পারমাণবিক প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়নি। রিয়াক্টরের সরঞ্জামসমূহকে অবশ্যই প্রকল্পের পুরো জীবনকালে উচ্চ তাপমাত্রা, আয়োনাইজিং রেডিয়েশনের উচ্চ ফ্লাক্সে, ক্যুলান্টের হেভি লিকুইড-মেটালে কার্যকর থাকতে হবে। নির্ভরযোগ্যতা অর্জনের জন্য মূল গাঠনিক উপাদানসমূহকে অবশ্যই উচ্চ ক্ষয়কারী, বিকিরণ এবং উচ্চ তাপমাত্রা প্রতিরোধকারী ক্ষমতা থাকতে হবে।

লাইট-ওয়াটার ভিভিইআর রিয়াক্টরে রিফুয়েলিং করা করা হয় ‘ক্যুলড রিয়াক্টরে’, কিন্তু ব্রেস্ট–অডি-৩০০ প্রকল্পে এই কাজগুলো করা হবে লিকুইড লিড ক্যুল্যান্টের প্রাথমিক তাপমাত্রা ৪শ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কোরে লোড করার আগে ফুয়েল অ্যাসেম্বলীকে স্পেশাল চেম্বারে উত্তপ্ত করা হবে এবং তার পরে লিড ক্যুল্যান্টের সঙ্গে কোরে নেওয়া হয়। এসব যন্ত্রাংশকে চরম বৈরী অবস্থায় ফেইল-সেফ অপারেশনে সক্ষম করতে রোসাটমের এই প্রতিষ্ঠান বড় আকারের কর্মকাণ্ড চালিয়েছে যার মধ্যে রয়েছে গবেষণা এবং উন্নয়ন, নকশা ও প্রকৌশল, অনুপম উপাদান নির্বাচন, উন্নয়ন মডেল এবং পরীক্ষা, প্রক্রিয়াগুলির মডেলিং ও চূড়ান্ত প্রযুক্তিগত নকশা প্রণয়ন।

সিভারেস্কের এক্সপেরিমেন্টাল ডেমোন্সট্রেশন এনার্জি কমপ্লেক্স ফ্যাসিলিটির একটি বিশেষত্ব হলো যে ব্রেস্ট রিয়াক্টর এবং পারমাণবিক জ্বালালি প্রস্তুতি ও প্রযুক্তির নকশা বর্তমান বিশ্বে একটি অনন্য প্রযুক্তি।  

টিভিইএল ফুয়েল কোম্পানির প্রেসিডেন্ট নাটালিয়া নিকিপেলোভা বলেন, এই যুগান্তকারী প্রকল্পের দলকে সবসময় শর্তহীনভাবে শুধুমাত্র নির্মাণ ব্যবস্থাপনাই নয় এর পাশাপাশি গবেষণা এবং উন্নয়ন, নকশা ও প্রকৌশলগত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে হয়। এসব উচ্চ-প্রযুক্তিগত সরঞ্জামের প্রস্তুতি ৩-৫ বছর, এবং মূল যন্ত্রাংশের স্থাপন ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। সিভারেস্কের এক্সপেরিমেন্টাল ডেমোন্সট্রেশন এনার্জি কমপ্লেক্সের (ইডিইসি) বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর পাওয়ার ইউনিট যাতে ৩শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসহ উদ্ভাবনী ফাস্ট নিউট্রন রিয়াক্টর রয়েছে, এটি সাইবেরিয়ান ক্যেমিকাল কম্বাইনে নির্মাণাধীন ‘প্রোয়ের্ভ’ বা একটি যুগান্তকারী প্রকল্প।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
এসকে/এএটি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।