ঢাকা: এক দশক আগেও দেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক পাহাড়ি অঞ্চলে ছিল না বিদ্যুতের ছোঁয়া। তাই সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গেই এসব অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে যেত।
বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার ২৫টি গ্রামে ২ হাজার ৫৯১টি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়। এ প্রকল্পের ফলে স্থানীয় পরিবারগুলোর কেরোসিনের মতো জ্বালানির সাশ্রয় হয়েছে।
এভাবেই পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন এনে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে ‘দীপ্ত’। এ প্রকল্পের আওতায় ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষের ঘরে সৌরবিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
‘দীপ্ত’র এক দশক উপলক্ষে ‘সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউঅ্যাবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি’র চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তির উন্নয়ন ও প্রসারে যারা কাজ করে সবাই আমাদের সহযাত্রী। নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে কাজ করে ‘দীপ্ত’ ১০ বছর পূর্ণ করেছে এবং পাহাড়ি এলাকায় মানুষের মধ্যে বিদ্যুৎসেবা পৌঁছে দিয়েছে। ‘দীপ্ত’র এ পথচলা কৃষিসহ আমাদের অন্যান্য খাতেও বিস্তৃত হবে।
পার্বত্য অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনপদে সৌরবিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম অর্জন করেছে এ প্রকল্পটি। কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৮ সালে ‘দীপ্ত’ ‘এশিয়া রেসপন্সিবল এন্ট্রাপ্রেনারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে।
এছাড়া জাতিসংঘ প্রণীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি ৮ (ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইকোনমিক গ্রোথ) ও ১৩ (ক্লাইমেট অ্যাকশন) অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে ‘দীপ্ত’।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২১
আরবি