ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

সিলেটের জকিগঞ্জে নতুন গ্যাসকূপের সন্ধান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২১
সিলেটের জকিগঞ্জে নতুন গ্যাসকূপের সন্ধান

সিলেট: সিলেটের জকিগঞ্জে আরো একটি কূপে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। এটা বাংলাদেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল সোয়া ১০টায় ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) গ্যাসের শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয় রাষ্ট্রীয় এ কোম্পানিটি।

কূপটির অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে ৬ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গ ইঞ্চি) আর ফ্লোটিং চাপ রয়েছে ১৩ হাজারের অধিক।  

প্রথমত একটি স্তরের টেস্ট চলমান। কূপটিতে মোট চারটি স্তুরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বলে জানিয়েছে বাপেক্স।  

নতুন এই ফিল্ডটি থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে বিয়ানীবাজার ও ৪৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোলাপগঞ্জ।

বাপেক্সের টেকনিক্যাল সার্ভিসের মহাব্যবস্থাপক একেএম মঞ্জুর কবীর বাংলানিউজকে বলেন, জকিগঞ্জে যে স্থানটিতে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তবে এখনই এটাকে কূপ বলা যাবে না। আমরা ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করবো। এরপর বোঝা যাবে সেখানে কী পরিমাণ গ্যাস পাওয়া গেছে।  

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুদের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরও ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুদ। এরমধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে। সে হিসেবে প্রমাণিত মজুদ অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ৩ টিসিএফ, আর সম্ভাব্য মজুদ রয়েছে আরও ৭ টিএসএফ’র মতো।

১১৩টি কূপ দিয়ে প্রতি বছরে উত্তোলিত হচ্ছে প্রায় এক টিসিএফ’র মতো। এরমধ্যে দেশীয় কোম্পানির ৭০টি কূপের (দৈনিক) ১ হাজার ১৪৫ এমএমসিএফডি, আইওসির ৪৫টি কূপের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার ৬১৫ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট)। দৈনিক কমবেশি ২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২১
এনইউ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।