ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রূপপুরে রিয়্যাক্টর স্থাপন, আইএইএকে জানালেন বিজ্ঞানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
রূপপুরে রিয়্যাক্টর স্থাপন, আইএইএকে জানালেন বিজ্ঞানমন্ত্রী

ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ এর ভৌত কাঠামোর ভেতরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বা চুল্লিপাত্র স্থাপনের কাজ। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি এজেন্সির (আইএইএ) ৬৫তম সাধারণ সম্মেলনে বিষয়টি জানালেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

সারাবিশ্বে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিতে ওয়াচ ডগের ভূমিকা পালন করে জাতিসংঘ সংস্থা আইএইএ। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া আইএইএ'র এই সম্মেলন চলবে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

স্থানীয় সময় সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, চলতি মাসের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে রূপপুরে প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল ইনস্টলেশন শুরু করেছে প্রকৌশলীরা। আশা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করা সম্ভব হবে।

স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, বাংলাদেশ আইএইএ’র প্রযুক্তিগত সব লক্ষ্যমাত্রা অনুসরণ করছে। এছাড়া ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিটের ফুয়েল লোডের (জ্বালানি ভরা সংক্রান্ত) আগেই গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি মিশনের সম্মুখীন হতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তুলতে বাংলাদেশ ওতপ্রোতভাবে আইএইএ’র সঙ্গে কাজ করছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, সরকারের স্বচ্ছ পরমাণু নীতি, জাতীয় অংশীজনদের অক্লান্ত শ্রম, দ্বিপক্ষীয় অংশীজনের সহায়তা এবং সর্বোপরি আইএইএ’র অকুণ্ঠ সমর্থনে বাংলাদেশ সফলভাবে পরমাণু কর্মসূচি বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যা এই খাতে নবাগত যে কোনো দেশের জন্য অনন্য উদাহরণ হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারবে।

বাংলাদেশকে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের প্রসঙ্গ তুলে ধরে সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, পরমাণু শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তিকে নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব ও অর্থনৈতিকভাবে সফল প্রযুক্তি হিসেবে বিবেচনা করে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজের অগ্রগতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে এই কেন্দ্রের ইউনিট-১ এর ফার্স্ট কংক্রিট ঢালাই এবং ২০১৮ সালের ১৪ জুলাই দ্বিতীয় ইউনিটের ফার্স্ট কংক্রিট ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। এই দিনগুলোকে বাংলাদেশের পরমাণু জগতে মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। করোনার মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রকল্পটির কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

পাঁচ দিনব্যাপী এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে আছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। এছাড়াও প্রতিনিধিদলে রয়েছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সানোয়ার হোসেন, রূপপুর পরমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মো. শৌকত আকবর এবং রূপপুর প্রকল্পের অর্থ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান অলোক চক্রবর্তী। এবারের সম্মেলনে সংস্থাটির ২০০ সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময় ১০৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
এসকে/এনএসআর

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।