ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

‘জ্বালানির একটা স্থিতিশীল মূল্য থাকা প্রয়োজন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২১
‘জ্বালানির একটা স্থিতিশীল মূল্য থাকা প্রয়োজন’ মতবিনিময় সভা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: জ্বালানির একটা স্থিতিশীল মূল্য থাকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি বাস্তবসম্মত নয়।

জ্বালানির একটা স্থিতিশীল মূল্য থাকা প্রয়োজন। এটি অত্যন্ত সেনসেটিভ বিষয়। এখান থেকে মুনাফা করা সরকারের উদ্দেশ্য না।

বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ক্যাব প্রণীত ভোক্তার জ্বালানি অধিকার সংরক্ষণে বিআইআরসির ভূমিকা মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ওপর নাগরিকদের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ক্যাবের সভাপতি বলেন, ন্যায্য মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ করা ও অর্থনীতিকে বেগবান করার দায়িত্ব সরকারের। এজন্য সরকার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকিও দেয়। যখন জ্বালানি তেলের দাম কম ছিল তখন আমরা একটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। প্রাইস স্টেবেলাইজেশন ফান্ড নামের একটা তহবিল গঠন করার। অতিরিক্ত মূল্যে যে জ্বালানি বিক্রি হবে সেই অর্থটা তহবিলে রাখা। যখন জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যায় সেই তহবিল ব্যবহার করে তা স্থিতিশীল রাখা। যদি এমন হয় তহবিল দিয়ে হচ্ছে না, তখন এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গণশুনানির মাধ্যমে জ্বালানির দাম পূর্ণ নির্ধারণ করতে পারে।  

ঢাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক এম এম আকাশ বলেন, বাংলাদেশের ক্ষমতা ভোক্তাদের হাতে নেই। ব্যবসায়ীদের কাছে চলে গেছে। সরকার বাজারে হস্তক্ষেপ করছে। তারা বেসরকারি খাতকে সুবিধা করে দিচ্ছে। একজন অর্থনীতিবিদ হিসাবে এটা আমরা দেখছি। বিআইআরসি যতদিন পর্যন্ত সরকারের বাইরে গিয়ে কাজ করতে না পারবে ততদিন তারা নাগরিক সুবিধা প্রদান করতে পারবে না। সেজন্য আইন পরিবর্তন করে বিআইআরসিকে ক্ষমতা দিতে হবে। যে ক্ষমতা দেওয়া আছে সেটাও যেন তারা ব্যবহার করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে সরকারে চেয়ে বেসরকারি খাত বেশি শক্তিশালী।

আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, ২০০৩ সালের আইন অনুযায়ী আইআরসিকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা তারা ঠিক মত প্রয়োগ করতে পারছে কিনা ও প্রয়োগের মাধ্যমে ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে কিনা তা উঠে এসেছে।

সরকার এইখানে কতটুকু হস্তক্ষেপ করছে তা রোধ করতে আইনে কোন কোন ধরনের পরিবর্তন দরকার তা সুপারিশে দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টা হলো আইআরসিকে আরও কিভাবে শক্তিশালী করা যায়। আইআরসির কমিশন কিভাবে হবে। চেয়ারম্যান, কমশিনার নির্ধারণের ক্ষেত্রে যে আইন কাঠামো আছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই।  

স্থপতি মোবাশ্বের হক বলেন, বঙ্গবন্ধু সরকারি চাকরিজীবীদের বলেছিলেন আপনারা জনগনের সেবক। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমরা দেখতে পাই জনগন তাদের সেবক নয় কৃতদাস। যাই চাই আমি তাই করবো। আমিই বিচার করবো, আমিই চুরি করবো, দুটি কাজ তো একসঙ্গে হতে পারেনা। সরকারি কর্মকর্তারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হচ্ছেন। আমরা বিআইআরসিকে আরও বেশি শক্তিশালী করতে চাই। এ জন্য জনসম্পৃক্ততার কোনো বিকল্প নাই।

আয়জনে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুশান্ত কুমার দাস, এনার্জি প্যাকের পরিচালক হুমায়ন রশীদ, অটোগ্যাস স্টেশন মালিক সমিতির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সিরাজুল মওলা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২১
এইচএমএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।