ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

জেনেভায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

মোজাম্মেল হক মামুন, জেনেভা থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৫
জেনেভায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জেনেভা: সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় নিযুক্ত স্থায়ী বাংলাদেশ মিশন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ৪৪তম মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত এম শামীম আহসান জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সূচনা করেন।



পতাকা উত্তোলনের সময় জাতীয় সংগীতের সুর বাজানো হয়। এ সময় মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবাসী বাঙালিরা দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন।

অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় পর্বে রাষ্ট্রদূত এম শামীম আহসানের সভাপতিত্বে এবং চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স  নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য্য নিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়।

এতে ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর লিখিত বার্তা পাঠ করেন যথাক্রমে ইকোনমি মিনিস্টার সুপ্রিয় কুন্ড, কাউন্সিলর প্রীতি রহমান, ফার্স্ট সেক্রেটারি আলীমুজ্জামান ও মুনতাসির মোর্শেদ। স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী রহমান খলিলুর।

সভার সভাপতি রাষ্ট্রদূত বলেন, ৪৪ বছর আগে ১৯৭১ সালে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণায় নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে মহান স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।

তিনি বলেন, সেই লক্ষ্য পূরণে স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি এবং আমার সহকর্মীরা আন্তর্জাতিক সংস্থা সমূহে কাজ করতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত।

সভা শেষে স্বাধীনতাযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালরাতে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন মিশনের কর্মকর্তা আবুবকর মোল্লা।

অনুষ্ঠানমালার শেষ পর্বে সন্ধ্যায় স্থানীয় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বলরুমে রাষ্টদূত ও দূতাবাসের উদ্যোগে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় প্রবাসী বাঙালিদের সৌজন্যে এক নৈশ ভোজের আয়োজন করা হয়। এতে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ক্যান্টন থেকে আগত সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতারা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।