ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

কামারুজ্জামানের রায় কার্যকরে জেনেভায় স্বস্তি

মোজাম্মেল হক মামুন, জেনেভা থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৫
কামারুজ্জামানের রায় কার্যকরে জেনেভায় স্বস্তি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জেনেভা: যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের রায় কার্যকর হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সুইজারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

গত ১২ এপ্রিল স্থানীয় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে জেনেভার বাঙালি রেস্টুরেন্ট ‘সাজনা’য় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ স্বস্তি প্রকাশ করা হয়।



নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুম খান দুলালের সঞ্চালনায় সংগঠনের সহ-সভাপতি ও সভার সভাপতি মশিউর রহমান সুমন তার বক্তৃতায় বলেন, যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে। এই রায় নিয়ে কোনো বিতর্কের সুযোগ নেই। যারা এই রায়ের গ্রহণযোগ্যতা এবং বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে তারা নিঃসন্দেহে দেশ ও জাতির শত্রু। বাঙালি শত্রুদের মোকাবেলা করে একাত্তরে যেমন বিজয় ছিনিয়ে এনেছে এবারও তেমনি বিজয় ছিনিয়ে আনবে।

সভায় বাংলাদেশ ক্লাবের সভাপতি আমজাদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ সালে বাংলাদেশ উদযাপন করবে যুদ্ধপরাধীমুক্ত স্বাধীনতার ৫০ বছর। কামারুজ্জামানের রায় কার্যকর হওয়ায় যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে।

সুইজারল্যান্ড বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি শ্যমল খান বলেন, কামরুজ্জামানের রায় কার্যকর হওয়ায় দেশের মানুয়ের ন্যায় আমরাও আনন্দিত। এই রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হলো জামায়াত যুদ্ধাপরাধীর দল, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। স্বাধীন দেশে জামায়াতের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। জিয়াউর রহমানের হাত ধরে জামায়াত ধারাবাহিকভাবে এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসেছে। যে রাজনৈতিক দল কোনো ষড়যন্ত্রকারীকে আশ্রয় দেয়, তাদেরও দেশাত্ববোধ নেই। আর দেশাত্ববোধ নেই বলেই বিএনপি ও দেউলিয়া দলে পরিণত হচ্ছে।

বাংলাদেশ ক্লাবের সাবেক সভাপতি নজরুল জমাদার বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। কাদের মোল্লা এবং কামারুজ্জামানের রায় কার্যকরের ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল যে স্বচ্ছতার পরিচয় দিয়েছে তা জর্মানির ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালকেও হার মানাবে।

মাইনরিটি কাউন্সিলের সভাপতি অরুণ বড়ুয়া বলেন, জামায়াত তাদের নেতাদের বাঁচাতে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বন্ধ করতে নানাভাবে মিথ্যাচার করে আসছে। তারা রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। সরকারের উচিত জামায়াতের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো এবং সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নির্মূল কমিটির সুইজারল্যান্ড শাখার প্রচার সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, দফতর সম্পাদক নিজাম উদ্দীন, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজিয়া সুলতানা, যুগ্ম-সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সসীম বড়ুয়া প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৫
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।