ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

অটোয়ায় পার্লামেন্টারি গ্রুপের সঙ্গে চেম্বার নেতাদের বৈঠক

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৫ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৫
অটোয়ায় পার্লামেন্টারি গ্রুপের সঙ্গে চেম্বার নেতাদের বৈঠক

ঢাকা: কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি গ্রুপের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব কানাডার নেতারা।

কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি গ্রুপের আমন্ত্রণে গত ২৯ এপ্রিল অটোয়ায় পার্লামেন্ট ভবনে এ বৈঠক করেন তারা।



বৈঠকে কানাডার স্পোর্টস মিনিস্টার বাল ঘোষাল এমপি, পার্লামেন্টারি গ্রুপের চেয়ারম্যান ম্যাথিউ ক্যালওয়ে এমপি, ড্যান হ্যারিস এমপি, লিন্ডা ডানকান এমপি, ডন ড্যাভিস এমপি, কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার কামরুল আহসান, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য মাহজাবীন খালেদ, চেম্বার প্রেসিডেন্ট সুবীর দে, ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এ মুত্তালিব, আবুল মনসুর আহমেদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি আশরাফুল বারী মঞ্জু, ট্রেজারার এহসানুল হাবিব ও চেম্বার সদস্য শহিদুল ইসলাম মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তৃতায় পার্লামেন্টারি গ্রুপের চেয়ারম্যান ম্যাথিউ ক্যালওয়ে কানাডা-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে এ বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্যে চেম্বার প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানান।  

বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব কানাডার প্রেসিডেন্ট সুবীর দে কারেন্সি হাব ও দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্য সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে কানাডা-বাংলাদেশের মধ্যে বাৎসরিক ১.৮ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক লেনদেন হয়। কারেন্সি হাব চালু হলে প্রায় ৬ থেকে ৭ ভাগ মূল্য সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি দু‘দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

কানাডিয়ান ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে সুবীর দে বলেন, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, কমোডিটি ট্রেডিং, জাহাজ নির্মাণ, জনশক্তি রপ্তানি এবং এনার্জি সেক্টরে বাংলাদেশ অফুরন্ত সম্ভাবনাময়। কানাডিয়ান বিনিয়োগ এসব শিল্পকে আরও এগিয়ে নিতে পারে এবং দু’দেশই এতে ব্যাপকভাবে লাভবান হতে পারে।

এ বিষয়ে সুবীর দে কানাডার সংসদ সদস্যদের সহযোগিতা কামনা করেন।

কানাডায় নিযুক্ত হাইকমিশনার কামরুল আহসান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও উন্নতির গতি-প্রকৃতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন খ্যাতনামা ব্র্যান্ড বাংলাদেশে তাদের পণ্য প্রস্তুত করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এসব পণ্যের গুণগত মান প্রশংসিত।

বাংলাদেশের যেসব খাতে কানাডা বিনিয়োগ করতে পারে সেসব খাতের বিস্তারিত তুলে ধরে কামরুল আহসান বলেন,  বাংলাদেশকে বিশ্ববাজারে পজিটিভ ব্র্যান্ডিং করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই কাজে সকলের সহযোগিতা আশা করছি।

এ ধরনের আরও বৈঠক আয়োজনের গুরুত্ব দিয়ে এবং বাংলাদেশকে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বক্তব্য রাখেন কানাডার স্পোর্টস মিনিস্টার বাল ঘোষাল, লিন্ডা ডানকান, ডন ড্যাভিস ও ড্যান হারিস। বাংলাদেশ সরকারের নানা অগ্রগতি তুলে ধরে বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মাহজাবীন খালেদও।

বৈঠক শেষে কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপারের পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি পল কালান্দ্রা এমপির সঙ্গে আরেকটি বৈঠক করেন চেম্বার নেতারা। এ বৈঠকেও তারা কারেন্সি হাব, কানাডা-বাংলাদেশ সর্ম্পক ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।

পল কালান্দ্রা এসব বিষয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী হারপারের কাছে এসব সুপারিশ তুলে ধরবেন বলে জানান।

পরে পল কালান্দ্রার আমন্ত্রণে কানাডার পার্লামেন্টের প্রশ্নোত্তর পর্ব পর্যবেক্ষণ করে চেম্বার প্রতিনিধি দল।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৫
এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।