ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

আইপিইউ’র পার্লামেন্টারি হিয়ারিংয়ে বাংলাদেশের ৩ প্রতিনিধি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
আইপিইউ’র পার্লামেন্টারি হিয়ারিংয়ে বাংলাদেশের ৩ প্রতিনিধি আইপিইউ পার্লামেন্টারি হিয়ারিংয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা

ঢাকা: নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) পার্লামেন্টারি হিয়ারিং। এতে বাংলাদেশের পক্ষে যোগ দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি।

‘নীল পৃথিবী: এজেন্ডা ২০৩০ এর প্রেক্ষিতে মানবকল্যাণ নিশ্চিত করতে সমুদ্র সংরক্ষণ ও ধরিত্রী সুরক্ষা’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে এ পার্লামেন্টারি হিয়ারিংয়ের আয়োজন করেছে আইপিইউ এবং জাতিসংঘ। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) শুরু হওয়া এ হিয়ারিং শেষ হবে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)

এবার বার্ষিক এই হিয়ারিংয়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে সাগর, মহাসাগর ও সমুদ্র সম্পদের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহারের বিষয়গুলোকে।

পাশাপাশি এ লক্ষ্য অর্জনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়ার ওপরও বিশেষ প্রাধান্য দিয়েছে।  

এই হিয়ারিং এ বছর জুন মাসে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনকে ফলপ্রসূ করতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিশ্বের ৫৫টি দেশের ১৭৯ জন সংসদ সদস্যসহ ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ১৯টি এনজিও’র প্রতিনিধিরা এই পার্লামেন্টারি হেয়ারিংয়ে যোগ দিয়েছেন।  

সোমবার হিয়ারিংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইপিইউ’র প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি পিটার থমসন এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল য়ু হংবো ভাষণ দেন।  

ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে হিয়ারিংয়ে যোগ দেওয়া অন্য দু’জন হলেন; কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সারোয়ার কামাল ও কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।  

হিয়ারিংয়ের প্রথম দিনে দেওয়া বক্তৃতায় বাংলাদেশ ডেলিগেশনের প্রধান ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমুদ্রের সব সম্ভাবনাকে উন্মোচন করতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সম্মিলিত প্রয়াস তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।  

বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ, প্র‍াকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন এবং বন্যপ্রাণীর সুরক্ষা, উন্নয়ন ও সংরক্ষণে বাংলাদেশের সাংবিধানিক বাধ্য-বাধকতার কথা উল্লেখ করে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার রূপকল্প- ২০২১ এ নির্দিষ্টভাবে উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ সন্নিবেশিত করেছে। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত ক্ষেত্রে ব্যাপক রূপান্তরের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে সাহায্য করবে।  
    
আইপিইউ’র প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী তার বক্তব্যে সমুদ্রের দূষণ, মানুষ ও পরিবেশের সঙ্গে সমুদ্রের আন্তঃসম্পর্ক, সমুদ্র সম্পদ এবং সমুদ্রের সঙ্গে সম্পর্কিত সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের তাৎপর্য তুলে ধরেন।  

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিম্ন অববাহিকার দেশ, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সমুদ্রের উচ্চতা বাড়লে সমগ্র অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।  

সমুদ্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো অনুধাবন, অনুশীলন ও সম্মিলিতভাবে সমাধান করতে এই পার্লামেন্টারি হিয়ারিং সংসদ সদস্যদের জন্য একটি ভালো সুযোগ এনে দিয়েছে বলে ভাষণে উল্লেখ করেন আইপিইউ প্রেসিডেন্ট।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।