ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সালতামামি

সালতামামি ২০২০

করোনাকাল: হঠাৎ ছন্দপতন থেকে নিউ নরমালে ক্রিকেট

মোয়াজ্জেম হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২০
করোনাকাল: হঠাৎ ছন্দপতন থেকে নিউ নরমালে ক্রিকেট

২০১৯ সালের বিশ্বকাপ শেষে ধারাবাহিক ছিল ক্রিকেট। একের পর এক সিরিজ মাঠে গড়াচ্ছিল।

কিন্তু এরমধ্যেই ক্রিকেট হানা দিল করোনা ভাইরাস। যার জেরে স্থবিরতা নেমে এলো বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই ক্রীড়ায়। একের পর এক স্থগিত হলো বিভিন্ন দলের সফর। ক্রিকেট মাঠ হয়ে গেল খেলোয়াড়শূন্য।

এরপর দীর্ঘ সময় কেটে গেল। শুরু হলো নিউ নরমাল। ক্রমে ফিরতে শুরু করল মাঠের ক্রিকেট। কিন্তু এরমধ্যে বদলে গেছে অনেককিছু। ২০২০ সালের ক্রিকেটে তেমনই কিছু আলোচিত ঘটনা নিয়ে এবারের আয়োজন- 

করোনায় ক্রিকেটে ছন্দপতন

বছরের শুরুর দিকে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে মার্চের শুরুতে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড দল। অন্যদিকে ভারতের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মাঠে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নিউজিল্যান্ডের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু সবকিছু থমকে যায় এক ঘোষণায়।  

গত ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে। এরপরই ক্রিকেট ছন্দপতনের শুরু। এর দুই দিন পর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে স্থগিত হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড ও ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ। এরপর এপ্রিলে শুরু হতে যাওয়া আইপিএলও পিছিয়ে দেওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটি শেষ করতে চেয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে সিরিজটি স্থগিত করা হয়। করোনায় ক্রিকেটে স্থবিরতা নেমে আসে। সম্ভাব্য সব সফর, সিরিজ বাতিল করা হয়।  

করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে ক্রিকেটাররা
করোনাকালের শুরুতে খেলোয়াড়রা চলে যান আইসোলেশনে। কেউ কেউ বাড়িতে বসেই অনুশীলনে ব্যস্ত রাখেন নিজেদের। কেউ কেউ আবার সময়টা কাজে লাগাতে মানবসেবায় মনোযোগী হন। করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে কেউ কেউ আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। কেউ কেউ আবার সরাসরি দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।  

ভারতের অনেক ক্রিকেটার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও নিজ নিজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের করোনা ফান্ডে অর্থ সহায়তা দেন। এর মধ্যে ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার অনুদান দেন ৫০ লাখ টাকা। সমান অর্থ ব্যয়ে দুস্থ মানুষদের জন্য চাল বিলি করেছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক ও বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী। এছাড়া বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি, ওপেনার রোহিত শর্মা, মোহাম্মদ শামিরাও এগিয়ে এসেছিলেন।

করোনাভাইরাসের কঠিন পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্বকাপ ফাইনালের জার্সি নিলামে তুলেছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটার জস বাটলার। নিলামে এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের জার্সিটির সর্বোচ্চ মূল্য উঠে ৬৫ হাজার ১০০ পাউন্ড। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৮ লাখ টাকা। পরে একই পথে হাঁটেন এবি ডি ভিলিয়ার্স, বিরাট কোহলিদের তারকা ক্রিকেটাররা।

বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। এই কঠিন সময়ে নিজেদের প্রিয় ব্যাট, জার্সি নিলামে তুলে প্রাপ্ত অর্থ ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে দান করে দেন সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকুর রহিম ও মোসাদ্দেকের মতো ক্রিকেট তারকারা। এর মধ্যে নিলাম থেকে ১৭ লাখ টাকায় মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি করা ব্যাট কিনে নিয়ে সবাইকে চমকে দেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।  

বিশ্বকাপে যে ব্যাট দিয়ে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন সাকিব, সেই ব্যাট বিক্রি হয় ২০ লাখ টাকায়। আর মাশরাফির প্রিয় ব্রেসলেট নিলামে বিক্রি হয় ৪২ লাখ টাকায়। পুরো অর্থই দরিদ্রদের সাহায্যার্থে ব্যয় করা হয়।  

নিউ নরমালে ক্রিকেট 
করোনায় ভবিষ্যৎ সূচিতে থাকা সব সিরিজ স্থগিত হওয়ার ফলে ক্রিকেট বিশ্ব যেন স্থবির হয়ে যায়। তবে মে মাসে শেষে ক্রিকেট আবারও মাঠে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ইংল্যান্ড সফরে যেতে সবুজ সংকেত পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসে আইসিসি। নিয়ম-কানুনে কিছু পরিবর্তন আনে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। গত ৪ জুন মাঠে গড়ানোর কথা থাকলেও তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি অবশেষে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে সিরিজটি মাঠে গড়ায় ৯ জুলাই।

১১৭ দিন পর ক্রিকেটের ফেরা

করোনা মহামারিতে স্থগিত হওয়া ক্রিকেট মাঠে ফেরে ১১৭ দিন পর। তবে মাঠে দর্শকের উপস্থিতির অনুমতি না মেলায় ক্রিকেটের চেনা দৃশ্যগুলো থেকে যায় অনুপস্থিত। ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ খেলতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাউদাস্পটনে ক্যারিবীয় পেস আক্রমণের সামনে প্রথম ইনিংসে দাঁড়াতেই পারেনি ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ালেও ম্যাচটি ৪ উইকেটে জিতে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। অবশ্য পরের দুটি টেস্ট জিতে সিরিজ জিতে যায় স্বাগতিকরা।

করোনা বিরতির পর ইংল্যান্ড হয়ে উঠে সিরিজ আয়োজনের আদর্শ ভেন্যু। একে একে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া দলও ইংল্যান্ড সফরে যায়। ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের দেখানো পথেই দক্ষিণ আফ্রিকায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরলেও অবশ্য শেষদিকে স্বাগতিক দলে করোনার হানায় সফর শেষ না করেই ফিরে আসে ইংলিশরা। এদিকে সীমিত ওভারের সিরিজ ও টেস্ট সিরিজ খেলতে এখন অস্ট্রেলিয়ায় আছে ভারতীয় দল। আবার নিউজিল্যান্ডে সিরিজ খেলতে গেছে পাকিস্তান দল।

ঘরোয়া ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেটের ফেরা

করোনা বিরতির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতোই স্থগিত হওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট আইপিএল মাঠে গড়ায়। তবে বদলে যায় ভেন্যু। গত সেপ্টেম্বরে আইপিএলের এবারের আসর গড়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে, যেখানে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এছাড়া করোনা বিরতির পর মাঠে গড়ায় ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল), বিগ ব্যাশ লিগ (চলমান), টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল), বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের মতো ঘরোয়া টুর্নামেন্ট।

মাঠে দর্শক ফেরা

১১৭ দিন পর ক্রিকেট ফিরলেও দর্শক ফেরার অনুমতি ছিল না। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হয়েছে গ্যালারিতে। ফাঁকা মাঠে ম্যাচ খেলতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। গ্যালারির উত্তেজনার ফ্লেভার আনতে কৃত্রিম শব্দের ব্যবহার করা হয়েছে। এখনও অধিকাংশ সিরিজে দর্শকের উপস্থিতি দেখা যায় না। তবে প্রথম ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। ২৬ জুলাই ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখা মেলে এই দৃশ্যের। দুদিনের ম্যাচে প্রত্যেকদিন এক হাজার করে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ছিল বাধ্যতামূলক।  

এরপর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) একটা সাহসী সিদ্ধান্ত নেয়। চিত্রটা পাল্টে দিতে চলতি ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম টেস্টে মাঠে দর্শক ঢোকার অনুমতি দেয় সিএ। তবে দর্শকের জন্য আসন বরাদ্দ থাকে ৫০ শতাংশ। বাকি আসন ফাঁকা রাখা শুধু অ্যাডিলেড টেস্ট ম্যাচেই নয়, বক্সিং ডে টেস্টেও ২৫% দর্শক খেলা দেখার অনুমতি পাবেন। সিরিজের শেষ টেস্ট ব্রিসবেনে ৭৫% দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে বলেও জানানা হয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ায় ফের করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সামনে কি সিদ্ধান্ত আসবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়া

করোনা বিরতির পর জৈব-সুরক্ষা বলয়ে ক্রিকেট ফিরলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন যে কঠিন এই পরিস্থিতিতে সম্ভব নয় বলেই গত জুলাইয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি।

গত ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। এর পরিবর্তে ২০২১ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, পরের বছর অস্ট্রেলিয়ায় একই সময়ে হবে আরেকটি আসর মাঠে গড়াবে।

টেস্টে ব্রডের ৫০০, অ্যান্ডারসনের ৬০০ উইকেটের মাইলফলক

জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের শেষ দিনে ৫০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। এতদিন এই কীর্তিতে তার স্বদেশী সতীর্থ জেমস অ্যান্ডারসনও ছিলেন। কিন্তু 
মাসখানেক পর সাউদাম্পটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের শেষ দিনে তাকেও ছাড়িয়ে যান অ্যান্ডারসন। প্রথম পেসার হিসেবে ৬০০ টেস্ট উইকেটের মালিক বনে যান ৩৮ বছর বয়সী ডানহাতি এই বোলার।

অবসরে ধোনি-রায়না

করোনা বিরতির পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএল শুরু হওয়ার কদিন আগে গত ১৫ আগস্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। একই দিনে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে একইভাবে ইনস্টাগ্রাম বার্তায় আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দেন ভারতের আরেক ক্রিকেটার সুরেশ রায়না। পরে অবশ্য সর্বশেষ আইপিএলে খেলতে দেখা যায় ধোনিকে। কিন্তু রায়না আসর শুরুর আগেই ব্যক্তিগত কারণে দেশে ফিরে যান।

উইকস ও জোন্সের বিদায়

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত ‘থ্রি ডব্লিউ’ এর অন্যতম স্যার এভারটন উইকস ৯৫ বছর বয়সে গত ১ জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

চোটের কাছে হার মেনে ৩৩ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেট ছাড়লেও খেলে গেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, এমসিসি, কমনওয়েলথ একাদশের মতো দলগুলিতে। একবার ঢাকার ঘরোয়া ক্রিকেটেও পা পড়েছিল তার। টেস্টে তার গড়া দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড এখনও অমলিন। এছাড়া তার টানা ৫ ইনিংসে সেঞ্চুরির কীর্তিও ছুঁতে পারেননি কেউ।

ডিন জোন্সের বিদায় অবশ্য ক্রিকেটবিশ্বের জন্য বড় এক ধাক্কা হয়ে আসে। ব্যাটসম্যানশিপের নতুন এক ধারা উন্মোচন করা জোন্স ছিলেন অ্যালান বোর্ডারের অস্ট্রেলিয়া দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ১৯৮৭ সালে ইডেন গার্ডেন্সে প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতা দলে ছিলেন তিনি।

১৯৯৮ সালে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি কোচ ও ভাষ্যকার হিসেবে কাজ করেছেন। সর্বশেষ আইপিএলের ধারাভাষ্যকার হিসেবে ভারতে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন তিনি। সেখানেই গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান ৫৯ বছর বয়সী জোন্স।

সাকিবের ফেরা

জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে আইসিসি কর্তৃক এক বছর নিষিদ্ধ থাকার পর গত ২৯ অক্টোবর মুক্ত হন সাকিব আল হাসান। এরপর বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মাঠে ফেরার প্রতীক্ষায় ছিলেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। অবশেষে গত ৫ নভেম্বর দিনগত রাত ২টা ১০ মিনিটে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে ঢাকার হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে অলরাউন্ডারদের তালিকায় নিজের হারানো শীর্ষস্থান ফিরে পান সাকিব। টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের তালিকায় দুইয়ে এবং টেস্টে আছেন চতুর্থ স্থানে। সদ্য সমাপ্ত বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপেও অংশ নেন তিনি। যদিও তার পারফরম্যান্স ঠিক প্রত্যাশা পূরণ করার মতো ছিল না, কিন্তু তার দল জেমকন খুলনা টুর্নামেন্টের শিরোপা ঘরে তোলে। তবে ফাইনালের আগেই শ্বশুরের মৃত্যুর সংবাদ শুনে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান তিনি। ঘরের মাঠে আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কথা তার।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।