ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সালতামামি

করোনাকালে ‘বন্ধ দরজায়’ বিশ্ব ফুটবল 

উপল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
করোনাকালে ‘বন্ধ দরজায়’ বিশ্ব ফুটবল 

সবার জীবনে বিশেষ ও ঘটনাবহুল হয়ে থাকবে ২০২০ সাল। তবে আশার কথা, অজস্র ঘটনার জন্ম দিয়ে শিগগিরই নতুন বছরে পদার্পন করতে যাচ্ছে পৃথিবী।

 

পুরাতনকে বিদায় দিয়ে নতুনকে গ্রহণের অপেক্ষায় আছে সবাই। নতুন বছরের সঙ্গে কি আসবে নবজীবন? আসুক বা না আসুক; তবু নতুনের আহ্বানে-নতুনের আবাহনে সকলে ভেসে যেতে প্রস্তুত। তার আগে নতুন সালে প্রবেশের মুখে একটু চোখ বুলানো যাক চলতি বছরে।  

বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলে প্রাণ হারায় প্রায় লক্ষাধিক প্রাণী। সেই ক্ষত শুকানোর আগে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে মার্চের দিকে অচল হয়ে যায় বিশ্ব। সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় প্রতিটি দেশে জারি হয় লকডাউন। যেন এক আশ্চর্য গোপন গহ্বরে প্রবেশ করে ব্যস্ত মানবসমাজ। থেমে যায় ক্রীড়া বিশ্ব। তার মধ্যে বছরের শেষদিকে এসে হয়ে গেল আলোচিত মার্কিন নির্বাচন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাহিত্যিক ও রূপালী পর্দার অনেকের বিদায় সবার হৃদয়কে নাড়া দিয়ে গেছে। তবে সবাইকে ধাক্কা দিয়ে গেছে ‘ফুটবল ঈশ্বর’ ম্যারাডোনার প্রস্থান। ২৫ নভেম্বর বিশ্বকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।  

তারও আগে করোনার কারণে আন্তর্জাতিক ফুটবল নেমে আসে এক ভয়াবহ নিস্তব্ধতা। পরে ফিরলেও যোগ হয় নতুন নতুন নিয়ম। ‘ক্লোজড ডোর’ বা বন্ধ দরজায় শুরু হয় শিরোপার লড়াই। ইউরোপের শীর্ষ ফুটবল অঙ্গনে গত এক বছরে যা যা ঘটে গেছে তার দিকে এবার সামান্য আলোকপাত করা যাক।

শীর্ষ লিগে করোনার আক্রমণ

মার্চে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে করোনা মহামারি। তারপরও ‘ক্লোজড ডোর’ বা দর্শকবিহীন মাঠে খেলা চালিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করা হয়। তবে শেষ পযর্ন্ত সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয় লিগ কর্মকর্তাদের। করোনা আতঙ্কে স্থগিত হয়ে যায় একের পর এক ম্যাচ। ধীরে ধীরে স্থগিত হয়ে যায় সিরি’আ,  লা লিগা, বুন্দেসলিগা, ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। কোয়ারেন্টিনে চলে যান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-লিওনেল মেসিরা। করোনা আতঙ্কে ফ্রান্স ছেড়ে জন্মভূমি ব্রাজিলে ফেরেন পিএসজির দুই তারকা নেইমার-সিলভা। তবে তাতেও করোনায় আক্রান্ত হওয়া থেকে রেহায় পায়নি ফুটবলাররা। জুভদের ইতালিয়ান সেন্টার-ব্যাক দানিয়েল রুগানি দিয়ে শুরু হয় সেই তালিকা। এরপর আর্সেনালের কোচ মাইকেল আর্তেতা, ইতালিয়ান কিংবদন্তি ডিফেন্ডার পাওলো মালদিনি ও তার ছেলে দেনিয়েল মালদিনি, পাওলো দিবালা, মারউইন ফেলানিসহ অনেকে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় মৃত্যুও ছাড়েনি ফুটবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।

ইউরোপা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ স্থগিত ঘোষণা ও ফেরা

করোনার ঝুঁকি এড়াতে শুরুতে এক সপ্তাহের জন্য ২০১৯/২০ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগের ম্যাচ স্থগিত করার ঘোষণা দেয় উয়েফা। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর লড়াই চলাকালীন ১৩ মার্চ এই ঘোষণা দেয় ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। পুনরায় সেই লড়াই শুরু হতে লেগে যায় ৫ মাস। অবশ্য মাঝখানে নতুন সূচি দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। আগস্টে ফের শুরু হয় দ্বিতীয় রাউন্ড। তবে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে দুই লেগের পরিবর্তে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এক লেগ করে ইউরোপা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ ফের শুরু হয়।  

কোপা, ইউরো ও বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব স্থগিত

লিগের পাশাপাশি করোনার কারণে স্থগিত হয়ে যায় ইউরো ও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বও। মার্চ ও এপ্রিলে মাঠে গড়ানোর কথা ছিল ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বেশকিছু খেলা। কিন্তু করোনা আতঙ্কে প্রথমে এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্ব স্থগিত রাখা হয়। একই দশা হয় ইউরোপ-আমেরিকা-দক্ষিণ আমেরিকাসহ প্রতিটি অঞ্চলের। একই কারণে সূচি পেছাতে কোপা আমেরিকার।  

রোনালদো-মেসি-নেইমারদের সাহায্য

করোনার হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন জিনেদিন জিদান, জাভি হার্নান্দেজ, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি, নেইমার, মোহামেদ সালাহ, গ্যারেথ বেল, গাব্রিয়েল জেসুস-সহ আরও অনেক ফুটবল তারকা। সবাই নিজ নিজ দেশে বিপুল অঙ্কের অর্থ সাহায্যের পাশাপাশি খাদ্যও পাঠান। এমনকি নিজ নিজ ক্লাবকে সহযোগিতার জন্য বেতন কাটতে দিতেও পিছপা হননি তারা। ক্লাবগুলোও পাশে থেকেছে মানুষের।

করোনায় ফুটবলে নতুন নিয়ম

মে মাস থেকে ফুটবলকে ফের মাঠে ফেরানোর তোড়াজোড় শুরু হয়। তবে সেক্ষেত্রে ফুটবলারদের করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লিগ কর্তৃপক্ষ, উয়েফা, ফিফা কিছু নিয়মের পরিবর্তন আনে। তার জন্য একটা গাইডলাইনও দেওয়া হয় আর সেই নিয়ম তোয়াক্কা করলে শাস্তির বিধানও রাখা হয়। মাঠে থুতু না ফেলা, হ্যান্ডশেক না করা, ম্যাচ শেষে জার্সি অদল-বদল না করা, ম্যাচের আগে করোনা পরীক্ষা, জৈব-নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকার বিধিবিধান দেওয়া হয়। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল, ‘ক্লোজড ডোর’ বা দর্শকবিহীন স্টেডিয়ামে ম্যাচের আয়োজন। সেক্ষেত্রে, খেলোয়াড়, কোচ, দল কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, ডাক্তার ও নিরাপত্তাকর্মী মিলিয়ে মাত্র ৩০০জনকে সেইডিয়ামে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে ক্লাবগুলো এক্ষেত্রে নিজেদের সমর্থকদের না পেলেও মাঠে তাদের দর্শকের ডামি বসিয়ে দেয়। দর্শকবিহীন স্টেডিয়ামে ফুটবল শুরু হলেও ছিল না আগের সেই উত্তেজনা। দর্শকের অভাবটা ঠিকই বুঝতে পারেন রোনালদো-মেসিরা। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সমর্থকদের কাছে না পাওয়ার হতাশা প্রকাশ করেন তারা।  

ফুটবলের মাঠে ফেরা

দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর অবশেষে মধ্য মে থেকে শুরু হয় ইউরোপের শীর্ষ ফুটবল। অবশ্য এক্ষেত্রে সবার আগে প্রস্তুতি নেয় বুন্দেসলিগা। এরপর জুনের মধ্যে লা লিগা, প্রিমিয়ার লিগ ও সিরি’আ শুরু হয়ে যায় পুরোদমে। তবে পরিত্যক্ত হয় ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান। মৌসুমের মাঝপথে লিগ বাতিল হওয়ায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে ফের শিরোপা ধরে রাখে পিএসজি।  

লিভারপুলের ৩০ বছরের অপেক্ষার অবসান

অবশেষে দীর্ঘ ৩০ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কোচ ইউর্গেন ক্লপের হাত ধরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতে লিভারপুল। স্থগিত থাকার পর ফের মৌসুম শুরু করে দাপটের সঙ্গে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে মৌসুম শেষ অলরেডরা। নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে রেকর্ড ১৮ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে ৯৯ পয়েন্ট নিয়ে ২০১৯/২০ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ জেতে ক্লপের দল। তবে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু করলেও দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে ঘরে ফিরতে হয় তাদের।  

বার্সার হৃদয় ভেঙে রিয়ালের শিরোপা পুনরুদ্ধার

লা লিগা স্থগিত হওয়ার আগে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ছিল বার্সেলোনা। কিন্তু ফের মাঠে গড়ানোর পর সমীকরণটা উল্টে যায়। কিকে সেতিয়েনের অধীনে নিষ্প্রভ কাতালান জায়ান্টদের হঠিয়ে শীর্ষে থেকে মৌসুম শেষ করে রিয়াল। দ্বিতীয় মেয়াদে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এসে দুই মৌসুম পর লস ব্লাঙ্কোসদের লা লিগা এনে দেন কোচ জিনেদিন জিদান। তবে শিরোপা জিততে না পারলেও ২৫ গোল নিয়ে মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার রেকর্ড সপ্তমবারের মতো পিচিচি ট্রফি জেতেন মেসি।  

চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নের হাতে বার্সার ভরাডুবি

গত মৌসুমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠেছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখের হাতে বার্সেলোনার ভরাডুবি। আগের দুই মৌসুমে প্রথম লেগে এগিয়ে থেকেও রোমা ও লিভারপুলের বিপক্ষে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয় বার্সাকে। ফলে এরনেস্তো ভালভার্দের পরিবতে ক্যাম্প ন্যুয়ে আসা কোচ সেতিয়েনের অধীনে সেই পুলসিরাত পারের স্বপ্ন দেখছিল মেসি-সুয়ারেসরা। কিন্তু এবার কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্নের বিপক্ষে ৮-২ গোল বিধ্বস্ত হয়ে সবাইকে অবাক করে দেয় বার্সা। বাভারিয়ানরাও সেবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে প্রথমবার ফাইনালে ওঠা নেইমার-এমবাপ্পেদের পিএসজিকে হারিয়ে।  

বার্সার ভেতরে তোলপাড়, সুয়ারেসের বিদায়

বায়ার্নের বিপক্ষে অঘটনের শিকার হওয়ার পর বিশাল এক পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যায় বার্সা। প্রথম কোপটা পড়ে সেতিয়েনের ওপর। স্প্যানিশ কোচকে বিদায় করে ক্যাম্প ন্যুয়ের নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় রোনাল্ড কোম্যানকে। ডাচ কোচ এসে নতুন ঠিকানা দেখতে বলেন লুইস সুয়ারেসকে। যার ফলে ভাঙে মেসি-সুয়ারেস জুটি। উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড কান্নাভেজা চোখে বার্সাকে বিদায় জানিয়ে নতুন ঠিকানা হিসেবে বেছে নেন অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে। আর্তুরো ভিদাল যোগ দেন জুভেন্টাসে।

মেসির বার্সা ছাড়ার ঘোষণা

বার্সায় যখন ভাঙনের তোলপাড় চলছে তখন সবচেয়ে বড় ঢেউটি আসে মেসির কাছ থেকে। ২৬শে আগস্টে ক্যাম্প ন্যু ছাড়ার ঘোষণা দেন। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের সম্ভাব্য ঠিকানা হিসেবে ম্যানচেস্টার সিটি ও পিএসজির নাম থাকে সবার ওপরে। তবে তার জন্য ৭৫০ মিলিয়ন রিলিজ ক্লজ ধার্য করে বার্সা। শোনা যায়, কোচ কোম্যানের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল নয় মেসির। তবে এতসব ঘটনাময় ভাঙচুরের পর শান্ত হয়ে আসে ঝড়। আরেক মৌসুম বার্সায় থাকার ঘোষণা দেন মেসি। তবে একের পর বিতর্ক সৃষ্টির কারণে পদত্যাগ করতে হয় ক্লাব প্রেসিডেন্ট বার্তোমেউকে।  

দল-বদল

নতুন মৌসুম শুরুর আগে দল-বদলে বড় চমক ছিল গ্যারেথ বেল ও হামেস রদ্রিগেজের নতুন ঠিকানা নিয়ে। জিনেদিন জিদানের স্কোয়াডে নিয়মিত জায়গা না পাওয়ায় রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে এভারটনে যোগ দেন রদ্রিগেজ। আরেক রিয়াল তারকা বেল ধারে যোগ দেন তার সাবেক ক্লাব টটেনহামে। ধার শেষে বায়ার্ন থেকে বার্সায় ফেরেন কৌতিনহো। তবে নেইমারকে নিয়ে গুঞ্জন চললেও কোথাও যাওয়া হয়নি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের। অন্যদিকে থিয়াগো আলকান্তারাকে দলে নেয় লিভারপুল। ইউরোপের ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে পাড়ি জমান গঞ্জালো হিগুয়েন। আয়াক্স থেকে বার্সায় আসেন ডেস্ট। তবে দলে থাকলেও স্কোয়াড থেকে মেসুত ওজিলকে বাইরে রাখেন আর্সেনাল কোচ আর্তেতা।  

ব্যালন ডি’অর বাতিল, উয়েফা ও ফিফা অ্যাওয়ার্ড

করোনার কারণে বাতিল হয়ে যায় ২০২০ সালের ব্যালন ডি’অর। তবে মেসি-রোনালদোর মতো তারকাদের পেছনে ফেলে উয়েফা ও ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার জিতেন ২০১৯/২০ মৌসুমে বায়ার্নের জার্সিতে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডভস্কি।  

নতুন মৌসুমের শুরু

করোনার কারণে আগের মৌসুম শেষ হতে বিলম্ব হওয়ায় ২০২০/২১ মৌসুমের সূচি এগিয়ে আনা হয়। সেপ্টেম্বরে শুরু হয়ে যায় ইউরোপের শীর্ষ ফুটবল। ইতোমধ্যে মৌসুমের এক তৃতীয়াংশ পথ পাড়ি দিয়েছে দলগুলো। ক্রিসমাসের ছুটিতে থাকলেও বছর শেষ করার আগে আবারও মাঠে নামবে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো। আপাতত নিজ নিজ লিগে শীর্ষে আছে লিভারপুল, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ, এসি মিলান, বায়ার্ন মিউনিখ ও পিএসজি।

ম্যারাডোনার বিদায়

করোনার কারণে কয়েকজন সাবেক ফুটবল কোচ ও খেলোয়াড়কে হারিয়েছে বিশ্ব। তবে যে মৃত্যু সবাইকে কাঁদিয়ে গেছে তার জন্য প্রস্তুত ছিল না কেউ। ২৫ নভেম্বর বিশ্বকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ম্যারাডোনা। ৬০ বছর বয়সে  ছিয়াশির মহানায়কের বিদায়ে শোকে স্তব্ধ হয়ে সবাই। এর কয়েকদিন পর বিদায় নেন ৮২ সালে ইতালিকে বিশ্বকাপ জেতানো কিংবদন্তি ফুটবলার পাওলো রসি।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
ইউবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।