ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

ঢাকাকে টলাতে পারেনি রাজশাহী

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৩
ঢাকাকে টলাতে পারেনি রাজশাহী

চট্টগ্রাম: একটি কালজয়ী উপন্যাসের শুরুটা ঠিক যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই জরুরী সেটার সমাপ্তি। ক্রিকেট ম্যাচও তাই, ভালো শুরু করলেই হয় না, শেষটাও সুন্দর হতে হয়।

ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস এই দুটোই ঠিকঠাক করায় তাদের কাছে দ্বিতীয়বারের মতো ১৩ রানে হেরেছে দুরন্ত রাজশাহী।

টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে প্রত্যাশিত রান পায়নি গ্ল্যাডিয়েটরস, ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে করে ১৩৭ রান। এই পুঁজি নিয়ে জিতেছেও তারা। উরুর পেছনের পেশিতে টান থাকায় এদিন খেলেননি সাকিব আল হাসান। ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত ব্যাটিং লাইনআপেও ছিল পরিবর্তনের ছোঁয়া। মোহাম্মদ আশরাফুলের সঙ্গে ব্যাটিং ওপেন করেন মিডল অর্ডারে খেলা সৌম্য সরকার।

প্রমোশন পেয়ে সৌম্য রান করলেও আশরাফুল এক রানে উইকেট দিয়েছেন নাঈম ইসলাম জুনিয়রকে। প্রথমে উইকেট খোয়ালে পরের ব্যাটসম্যানদের ওপর একটা চাপ চলে আসে। যে জন্য সৌম্য এবং এনামুল হক বিজয়কে ৫১ রান করতে ৪২ বল লেগেছে। এনামুল ১৮ বলে ২৫ রান করেন দুই চার এক ছয়ে। এরপরই ৩০ রান নিয়ে সাজঘরে সৌম্য। চারটি চার ও একটি ছয়ের মারে ২৪ বলে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি।

দুই বিদেশি ড্যারেন স্টিভেন ও জশুয়া কবকে দিলশান মুনাবিরা ও নাঈম জুনিয়র। ১১১ রানে যখন পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে গ্ল্যাডিয়েটর্স তখন ১৭.৪ ওভার খেলা হয়ে গেছে। ইংলিশ ব্যাটসম্যান ওয়াইজ শাহ চার নম্বরে নেমে শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকায় চ্যালেঞ্জিং স্কোরই পেয়ে যায় ঢাকার দল। চারটি চার ও একটি ছয়ের মারে ৪০ বলে ৪৩ করেন ওয়াইজ শাহ। মাশরাফি বিন মুর্তজা অপরাজিত ৭ রানে।

রাজশাহীর চেয়েও বোলিংয়ে শক্তিশালী গ্ল্যাডিয়েটরস। এমএ আজিজের স্লো উইকেটে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে তাদের স্পিনাররা। মোশাররফ হোসেন রুবেল চার ওভারে ১৭ রান দিয়ে ফিরিয়েছেন দুই ব্যাটসম্যানকে। সাকলাইন সজিবও ১৭ রান দিয়ে নিয়েছেন দুটি উইকেট। পেস বোলারও খারাপ করেননি। ক্রিস লিডল ২৭ রানে এবং আলফনসো থমাস ১৫ রানে দুটি করে উইকেট নেন।

এত ভালো বোলিং হওয়ায় কিছুই করার ছিল না রাজশাহীর। তামিম ইকবাল ঝড়ো শুরু এনে দিলেও শেষপর্যন্ত সেটা ছিল না। ১৮ বলে ৩৩ রান করে থমাসকে উইকেট দিয়েছেন এই ওপেনার। চার্লস কভেন্ট্রিকে তো রানের খাতাই খুলতে দেননি এই পেসার। চামারা কাপুগেদারা কষ্টেসৃষ্টে ৩১ রান করেন ২৯ বলে। এছাড়া দিলশান মুনাবিরা এবং শিন আরভিন করেন সমান ১৫ রান। ২০ ওভারে নয় উইকেটে রাজশাহীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৪ রান। রাজশাহী বোলিং ভালো করলেও ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস দুটোই ভালো করে বুঝিয়ে দিয়েছে, শুরুর মতো শেষটাও গুরুত্বপূর্ণ।

এ নিয়ে ছয় ম্যাচ খেলে চারটিতেই হারলো রাজশাহীর। সমান ম্যাচে পঞ্চম জয় গ্ল্যাডিয়েটরসের। পয়েন্ট তালিকারও দ্বিতীয় স্থানে তার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৩
এসএ/এফএইচএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।