ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

তিন ব্রোকারেজ হাউজ ও এক কোম্পানিকে জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১৪
তিন ব্রোকারেজ হাউজ ও এক কোম্পানিকে জরিমানা

ঢাকা: বিভিন্ন সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করায় তিন ব্রোকারেজ হাউজ ও এক কোম্পানিকে মোট ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
 
মঙ্গলবার বিএসইসির নিয়মিত কমিশন সভায় এ জরিমানা করা হয়েছে।


 
কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
 
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কমিশনের প্রতিনিধি দল জালালাবাদ সিকিউরিটিজ লিমিটেড (সিএসই ট্রেক নং-১০৪) পরিদর্শনের পর জানতে পারে প্রতিষ্ঠানটি নন মার্জিনেবল ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার কেনায় মার্জিন ঋণ দিয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি কমিশনের নির্দেশনা নং-এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০১-৪৩/১৬৯ তাং ০১.১০.২০০৯ লঙ্ঘন করেছে। এজন্য জালালাবাদ সিকিউরিটিজকে এক লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
 
এছাড়া গ্রাহকের কাছ থেকে চেকে অর্থ না নিয়ে ৫ লাখ টাকার উপরে নগদ অর্থ জমা নেওয়ায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস ১৯৮৭ এর সেকশন ৮(আই)(সিসি)(আই) ভঙ্গ করেছে আকিজ সিকিউরিটিজ লিমিটেড।
 
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ৩০ জুন ২০১০ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী সমন্বিত গ্রাহক হিসেবে পরিশোধযোগ্য পর্যাপ্ত তহবিলে ঘাটতি রেখে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুলস ৮ এ (১) অ্যান্ড (২) এবং সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর দ্বিতীয় তফসিল এর ১ ও ৬ ভঙ্গ করে আকিজ সিকিউরিটিজ। কিন্তু কোম্পানি থেকে কমিশনের কারণ দর্শানোর নোটিশের উত্তরে জানানো হয়, ভুলবশত ২০১০ সালের জুন মাসে ওই সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে পরিশোধযোগ্য ক্লায়েন্টদের পর্যাপ্ত তহবিল ছিল না। তবে পরবর্তী সময়ে ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে।
 
এছাড়া জানুয়ারি ২০১০ থেকে ১ নভেম্বর ২০১০ সময়কালে ডিলার হিসাবে মার্জিন ঋণ সুবিধা দিয়ে কমিশনের আদেশ নং-এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০১-৪৩/৫১ তাং ২২/০৭/২০১০ লঙ্ঘন করেছে আকিজ সিকিউরিটিজ।
 
এসব বিধি বিধান লঙ্ঘনের দায়ে আকিজ সিকিউরিটিজকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
 
এছাড়া সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে যথাযথ তহবিল রয়েছে মর্মে কোম্পানির বক্তব্য সঠিক কি-না তা অনুসন্ধান করার জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডকে নির্দেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
 
অন্যদিকে, সর্বোচ্চ একশ বিনিয়োগকারীর স্থলে এক একাউন্টের মাধ্যমে ১৯৮ জনকে ইয়াকিন পলিমার কোম্পানির প্লেসমেন্ট বরাদ্দ দেওয়ায় গ্রামীণ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডকে দুই লাখ এবং ইয়াকিন পলিমার কোম্পানিকে এক লাখ টাকা জরিমান করা হয়েছে।
 
এছাড়াও ১৯৮ জন বিনিয়োগকারীর প্লেসমেন্ট শেয়ার প্রতিষ্ঠানের নিজ হিসাবে বরাদ্দ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নির্দেশ পালনের প্রামাণিক দলিল কমিশনে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।