ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

মার্জিন ঋণ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএমবিএ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৪
মার্জিন ঋণ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএমবিএ

ঢাকা: নির্দেশনা অনুযায়ী মার্জিন ঋণের নতুন অনুপাতের কয়েকটি বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
 
সম্প্রতি বিএমবিএ-এর সভাপতি তানজিল চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বিএসইসি-এর চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।


 
পুঁজিবাজার ধস পরবর্তী বাজারের নাজুক পরিস্থিতি ঠেকাতে ২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মার্জিন লোনের বিষয়ে নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কথা মাথায় রেখে নির্দেশনায় বিভিন্ন মেয়াদে মার্জিন লোনের অনুপাত বিভিন্ন ধাপে নির্ধারণ করা হয়। আর চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে মার্জিন ঋণের স্থায়ী অনুপাত কার্যকর করা হয়।
 
আর স্থায়ী অনুপাতে, ঋণ দিতে গিয়ে আগের ঋণ সমন্বয় ছাড়াও বেশকিছু অস্পষ্টতা দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় উদ্ভূত সমস্যাগুলোর বিষয়ে বিএসইসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএমবিএ।
 
বিএমবিএ-এর চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে মার্জিন ঋণের অনুপাত ১:০.৫ কার্যকর হয়েছে। এমতাবস্থায় যারা নতুন মার্জিন লোন নেবেন তাদের জন্য এ অনুপাত কার্যকর হবে কি-না এবং নতুন অনুপাত অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে মার্জিন বিরতণ করা হবে কিনা?
 
পূর্বে যাদের ১:০.৫ অনুপাতের বেশি লোন রয়েছে বর্তমান অনুপাত তাদের জন্য প্রযোজ্য কি-না? যদি এই অনুপাত সব বিনিয়োগকারীর জন্য প্রযোজ্য হয়, তবে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে ফোর্স সেল করতে হবে। কারণ অনেকের বর্তমান লোন বা মূলধনের বিপরীতে লোন (ইক্যুইটি ডেবথ) ৩০ শতাংশের ঊর্ধ্বে রয়েছে।
 
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মার্জিন লোন সংক্রান্ত ২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিএসইসির নির্দেশনা সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফলিও ম্যানেজার) রুলস ১৯৯৬-এর ৩৬ (সিডিউল), ধারা ৬(১) অনুযায়ী, মার্জিন লোনের নির্দেশনা নতুন লোনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
 
ধারা ৬ (১) অনুযায়ী, মার্চেন্ট ব্যাংকার (পোর্টফলিও ম্যানেজার) কমিশনের নির্ধারিত হারে মার্জিন ঋণ দেবে।
 
এই নীতিমালায় মার্জিন মেইনটেন্যান্স ও ফোর্স সেলের বিষয়টিকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
 
ধারা ৩৬ (সিডিউল), ধারা ৬(২) অনুযায়ী, ‘মার্চেন্ট ব্যাংকার (পোর্টফলিও ম্যানেজার) মার্জিন ঋণ ও ইক্যুইটি অনুপাত বজায় রাখার জন্য ন্যূনতম মার্জিন প্রয়োগ সংক্রান্ত নিজস্ব পদ্ধতি নির্ধারণ করবে, যাতে বাধ্যতামূলক বিক্রয় বা কল (মার্জিন কল) এড়ানো যায়। ’
 
চিঠিতে বিএমবিএ-এর পক্ষ থেকে উপরিউক্ত বিষয়গুলোতে বিএসইসি-এর কাছে স্পষ্টীকরণ চাওয়া হয়েছে। যাতে মার্জিন ঋণ সংক্রান্ত কোনো জটিলতার সৃষ্টি না হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৪ (আপডেটেড)

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।