ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

নতুন পদ্ধতিতে আইপিও আবেদনের নিয়ম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৪
নতুন পদ্ধতিতে আইপিও আবেদনের নিয়ম

ঢাকা: আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর হামিদ ফেব্রিকসের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) চাঁদা ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে নতুন পদ্ধতিতে জমা নেওয়া শুরু হবে। তবে এই পদ্ধতি পাইলট প্রকল্প হিসেবে কাজ করবে।

পাশাপাশি প্রচলিত পদ্ধতিতেও ব্যাংকে আইপিও আবেদন বা চাঁদা জমা দেওয়া যাবে।

নতুন পদ্ধতিতে আইপিওর চাঁদা জমা দিতেও বিনিয়োগকারীদের আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। এই আবেদনপত্রে পূরণ করতে হবে আবেদনকারীর নাম, বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট (বিও) নাম্বার, ক্লায়েন্ট কোড, কত সংখ্যক শেয়ার বরাদ্দ চান তার পরিমাণ, মোট কত টাকা ও ক্যাটাগরি।

ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক যেখানে বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব খোলা আছে সেখানে এই মুদ্রিত আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দেবেন। একই সঙ্গে ইলেকট্রনিক আবেদনপত্রেও আইপিওর চাঁদা জমা দেওয়া যাবে।

বিনিয়োগকারীদের হয়ে এই আবেদনপত্র পূরণ করবে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারহাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক। তবে কোনো বিনিয়োগকারী যে পরিমাণ শেয়ার বরাদ্দের জন্য আবেদন করতে চান কোম্পানির প্রস্তাবিত মূল্য অনুসারে সেই টাকা ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকে জমা থাকতে হবে। এই আবেদন করার ক্ষেত্রে গ্রাহক বা বিনিয়োগকারীকে কোনো মার্জিন ঋণ সুবিধা দিতে পারবে না সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (বিএসইসি) সূত্রে জানা যায়, নতুন এই চাঁদাগ্রহণ পদ্ধতিতে আবেদনের সময় থেকে আইপিও ড্র লটারি পর্যন্ত বিনিয়োগকারীর হিসাবে প্রযোজ্য পরিমাণ অর্থের ওপর লকইন থাকবে। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে আবেদনকারী কোনো অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন না। এমনকি ওই অর্থ দিয়ে সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে অন্য কোনো শেয়ারও ক্রয় করা যাবে না। অন্য কোনো হিসাবে স্থানান্তরও করা যাবে না।

লটারিতে কৃতকার্য হলে আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দের জন্য যে পরিমাণ টাকা ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকে জমা রাখা ছিল তা কেটে নেওয়া হবে। আর অকৃতকার্য হলে ডিপি (ডিপজিটরি পার্টিসিপেন্ট) লকইন তুলে নেবে। তখন ওই অর্থ বিনিয়োগকারী তুলে নিতে পারবে বা নতুন আইপিওর আবেদন করতে পারবে। এছাড়া সেকেন্ডারি মার্কেট থেকেও শেয়ার কিনতে পারবেন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী।

এই পদ্ধতিতে আইপিও লটারি অনুষ্ঠানের দুই দিনের মধ্যে ইস্যুয়ার কোম্পানি ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকে কৃতকার্য আবেদনকারীদের তালিকা পাঠাবে। বিনিয়োগকারীরা সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছ থেকে আইপিওর ফল জানতে পারবেন। বা বিও হিসাবের নাম্বারের মাধ্যমেও ফল জানতে পারবেন।

বিএসইসি জানিয়েছে নতুন আইপিও পদ্ধতির পাইলট প্রকল্পে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের ৬৬টি, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের ৩৬টি ব্রোকার হাউজ ও ১৬টি মার্চেন্ট ব্যাংক অংশগ্রহণ করবে।

ডিএসইর ৬৬টি ব্রোকার হাউজ হলো-
একেখান সিকিউরিটিজ লিমিটেড (লি.), ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজ লি., ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লি., এমএএইচ সিকিউরিটিজ লি., আদিল সিকিউরিটিজ লি., গ্রীনল্যান্ড ইক্যুইটিজ লি., রয়্যাল ক্যাপিটাল লি., ভিশন ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লি., ইটিবিএল সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ লি., দৌলতুন্নেসা ইক্যুইটিস লি., হাজী আহমদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজ লি., র‌্যাপিড সিকিউরিটিজ লি., এবি অ্যান্ড কোম্পানি লি., এম-সিকিউরিটিজ লি., সাকো সিকিউরিটিজ লি., ইমতিয়াজ হোসাইন সিকিউরিটিজ লি., মিঞান আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজ লি., শাহজাহান সিকিউরিটিজ লি., এসেঞ্জ সিকিউরিটিজ লি., পপুলার ইকুইটিস লি., মোহাম্মদ তালহা অ্যান্ড কোং লি., হ্যাক সিকিউরিটিজ লি., এশিয়া সিকিউরিটিজ লি., ইউনিরয়েল সিকিউরিটিজ লি., মোঃ ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ লি., এসআইবিএল সিকিউরিটিজ লি., সালটা ক্যাপিটাল, জামাল আহমেদ সিকিউরিটিজ লি., হাওলাদার ইকুইটি সার্ভিসেস লি., ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লি., ইত্তেহাদ সিকিউরিটিজ লি., এ এন এফ ম্যানেজমেন্ট কোং লি., কে- সিকিউরিটিজ  অ্যান্ড কনসালট্যান্টস লি., রোজ সিকিউরিটিজ লি., ডাইনামিক সিকিউরিটিজ কনস্যালটেন্টস লি., লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লি., মশিউর সিকিউরিটিজ লি., কসমোপলিটন ট্রেডার্স (প্রা) লি., জয়তুন সিকিউরিটিজ ইন্টারন্যাশনাল লি., শাকিল রিজভী স্টক লিঃ, এমেস সিকিউরিটিজ লি., স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক সিকিউরিটিজ লি., ট্রাস্টি সিকিউরিটিজ লি., মোনা ফিন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লি. তোবারক সিকিউরিটিজ লি., টি.এ. খান সিকিউরিটিজ লি., বিএলআই সিকিউরিটিজ লি., পিপলস ইকুইটিস লি., কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লি., ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লি., রাজ্জাক সিকিউরিটিজ লি., ডেল্টা ক্যাপিটাল লি., জি এম এফ সিকিউরিটিজ লি., গ্লোব সিকিউরিটিজ লি., ইমিনেন্ট সিকিউরিটিজ লি., ডিবিএল সিকিউরিটিজ লি., পার্কওয়ে সিকিউরিটিজ লি., এমটিবি সিকিউরিটিজ লি., এডি হোল্ডিং লি., পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লি., মাইকা সিকিউরিটিজ লি., বিআরবি সিকিউরিটিজ লি., মডার্ন সিকিউরিটিজ লি., আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ লি., এ এন ডব্লিউ সিকিউরিটিজ লি. ও ওয়ান সিকিউরিটিজ লি.।

১৬টি মার্চেন্ট ব্যাংক হলো-
আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লি., আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লি., এক্সিম ইসলামী ইনভেস্টমেন্ট লি., ইমপেরিয়াল ক্যাপিটাল লি., এএফসি ক্যাপিটাল লি., প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লি., এফএএস ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লি., ট্রাস্ট ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লি., সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লি., ইউনিক্যাপ ইনভেস্টমেন্টস লি., এসবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লি., যমুনা ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লি., লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লি., ইসি সিকিউরিটিজ লি., বিএলআই ক্যাপিটাল লি. ও প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লি.।

বাংলাদেশ সময় : ১৮৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।