ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

ডিএসই’র মুনাফা কমেছে, মুনাফা বেড়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪
ডিএসই’র মুনাফা কমেছে, মুনাফা বেড়েছে ছবি : জাহিদুল ইসলাম / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ’র (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) স্বপন কুমার বালা জানিয়েছেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজ স্টক এক্সচেঞ্জের প্রথম বছরে (২০১৪ সালে) প্রকৃতপক্ষে ডিএসই’র মুনাফা আগের বছরের তুলনায় কমে গেছে। তবে ব্যয় সংকোচনের কারণে ২০১৪ সালে মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।


 
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ডিএসইর কার্যলয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে স্বপন কুমার বালা ২০১৪ সালের শেয়ারবাজারের চিত্র তুলে ধরেন।
 
ডিএসইর এমডি বলেন, ২০১৪ সালের সব থেকে বড় সংস্কার (রিফর্ম) ছিলো ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন ও অটোমেশন। ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের আগে ডিএসইতে ২২টি কমিটি ছিলো। তবে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের পরে এ সংখ্যা কমে ৫টিতে দাঁড়িয়েছে। এতে কাজের গতি বেড়েছে।
 
তিনি বলেন, আমরা শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। তবে বিনিয়োগকারীদের এখনো সরাসরি লেনদেন করার সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়নি। নতুন বছরে যতদ্রুত সম্ভব আমরা এই সুযোগ সৃষ্টি করবে। এটি নতুন বছরে অন্যতম আগ্রাধিকার পাবে। নতুন বছরে ডিএসইকে ডিজিটালাইজ করা হবে। কাগজের কোন কাজ থাকবে না।
 
হাওলা চার্জ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে লাগা ও হাওলা চার্জ নিয়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সঙ্গে ডিএসই’র কিছুটা অসংগতি রয়েছে। লাগা চার্জ কমানো হবে। তবে কি পরিমাণ কমানো হবে সেটি বিবেচনাধীন রয়েছে। পর্ষদ সভার মাধ্যমে এটি নির্ধারণ করা হবে।
 
বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বপন কুমার বালা জানান, ২০১৪ সাল শেষে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪৬টি। আগের বছর তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের সংখ্যা ছিল ৫২৯টি৷ ২০১৪ সালের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ২ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা ৷ বছর শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা৷ ২০১৩ সালের তুলনায় তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ সমুহের বাজার মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে ৬১ হাজার কোটি টাকা৷ শতাংশের হিসাবে এ বৃদ্ধির হার ২৩ দশমিক ১০ শতাংশ।
 
২০১৪ সালে ২ হাজার ৫৭২ কোটি সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়, যার মূল্য ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৫২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আর ২০১৩ সালে সিকিউরিটিজ লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২৯৮ কোটি, যার মূল্য ৯৫ হাজার ২৭৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।
 
তিনি জানান, ২০১৪ সালে আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ২০টি কোম্পানি টাকা উত্তোলন করেছে। এর মধ্যে ১৭টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে। ২০১৪ সাল শেষে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ’র মার্কেট পিই দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৭৭৷ আগের বছর যা ছিল ১৭ দশমিক ১৭। ২০১৪ সালের শুরুতে মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন টু জিডিপি অনুপাত ছিল ২৫ দশমিক ৫১ শতাংশ। বছর শেষে তা দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ১২ শতাংশ।
 
তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বাজার থেকে ৯টি কোম্পানি ২ হাজার ৬৩ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করেছে। আর ২৯৫ কোটি বোনাস শেয়ার ইস্যু করে ১৪৪টি কোম্পানি ২ হাজার ৯৫৯ কোটি  টাকা মূলধন বৃদ্ধি করেছে।
 
বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে তিনি জানান, ২০১৪ সালে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ৬ হাজার ২০৫ কোটি টাকা লেনদেন করেছে। ২০১৩ সালে বিদেশিদের লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা৷ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ২ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।