ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

ডিএসই’র মোবাইল লেনদেন উদ্বোধন ৯ মার্চ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৬
ডিএসই’র মোবাইল লেনদেন উদ্বোধন ৯ মার্চ

ঢাকা: ডিএসই’র নতুন ভার্সন মোবাইল লেনদেন কার্যক্রমের উদ্বোধন হবে আগামী ৯ মার্চ (বুধবার)।

রোববার (৬ মার্চ) দুপুরে ডিএসইতে মোবাইল ট্রেডিং বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা জানায় ডিএসই কর্তৃপক্ষ।



ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপন কুমার বালা সংবাদ সম্মেলনে জানান, সিকিউরিটিজ হাউজগুলোতে নতুন ব্রাঞ্চ খোলার অনুমতি নেই। মোবাইল ট্রেডিং চালু হলে দূরে থেকেও বিনিয়োগকারীরা ট্রেড করতে পারবেন।

প্রাথমিকভাবে এ ট্রেডে কোনো ধরনের চার্জ নেওয়া হবে না। তবে কয়েক মাস পরে চার্জ নেওয়া হবে। আর চার্জের পরিমাণ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। মোবাইলে ‘রবি’ গ্রাহকরা ট্রেড চলাকালে ফ্রি ডাটা সার্ভিস পাবেন বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, ডিএসই ২৩৪ ব্রোকারেজকে নতুন এ পদ্ধতির বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, মোবাইলে ট্রেড করতে চাইলে সিকিউরিটিজ হাউজগুলোর মাধ্যমে করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে একজন মোবাইল ট্রেডার তার লেনদেনের অর্ডার সম্পন্ন হয়েছে কি না তা জানতে পারবেন। তবে লেনদেন করতে চাইলে প্রতিবার অর্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে পাসওয়ার্ড দিতে হবে বলে জানান তিনি।

ডিএসই মোবাইল প্রজেক্ট টিম লিডার নিজাম জানান, ডিএসই মোবাইলে মোট তিন ধরনের সংস্করণ থাকবে। এর মধ্যে একটি ব্রোকার হাউজগুলোর এবং বাকি দু’টি বিনিয়োগকারীদের জন্য।

যেসব বিনিয়োগকারী এ অ্যাপসের মাধ্যমে লেনদেনের আদেশ দিতে চান, তাদের জন্য অর্ডার ভার্সন নামে একটি সংস্করণ থাকবে। যারা দিনের লেনদেনের সবকিছু লাইভ দেখতে চান, কিন্তু লেনদেনের আদেশ সরাসরি দিতে চান না, তাদের জন্যও আরেক ধরনের সংস্করণ রয়েছে। আর ব্রোকারদের জন্য রাখা সংস্করণটির মাধ্যমে হাউজগুলো ডিলার হিসেবে থাকা শেয়ারের সর্বশেষ তথ্য দেখা ছাড়াও কেনাবেচার আদেশ দিতে পারবে।

এমনকি ‘ডিএসই মোবাইল’- এর মাধ্যমে যেকোনো স্থান থেকে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের আদেশ দিতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। তবে বিনিয়োগকারীরা মোবাইলে শেয়ার কেনাবেচার আদেশ দিতে পারলেও তা সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজের টার্মিনাল হয়েই যাবে।

এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীর শেয়ার কেনাবেচার আদেশ কার্যকর করবেন ব্রোকার হাউজের সংশ্লিষ্ট ট্রেডার। এমনকি ব্রোকার হাউজ কর্তৃপক্ষ চাইলে বিনিয়োগকারীর আদেশ বাতিলও করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলন থেকে জানা যায়, মোবাইলে শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট দরে কোম্পানির নির্দিষ্ট পরিমাণ শেয়ার কেনাবেচার আদেশ দিতে পারবেন। কেনাবেচার আদেশটি বাস্তবায়ন হওয়ার আগে তা প্রত্যাহার কিংবা মুছে ফেলাও (ডিলিট) যাবে।

এছাড়া নির্দিষ্ট কোম্পানির শেয়ারদরের ওঠানামা কেন্দ্রিক অ্যালার্ট ব্যবস্থাও চালু করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা।

মোবাইলে লেনদেন সুবিধা গ্রহণ করতে আগ্রহীদের অবশ্যই স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হবে। সেসঙ্গে আগে থেকে নিজ নিজ ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।

এজন্য প্রথমে বিনিয়োগকারীকে ব্রোকারেজ হাউজে ‘ডিএসই মোবাইল’-এর কোনো একটি নির্দিষ্ট সংস্করণের জন্য আবেদন জানাতে হবে। এরপর ব্রোকারেজ হাউজ সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীকে ই-মেইলে মোবাইল অ্যাপসের লিঙ্ক পাঠাবে, যা ডাউনলোড করে লেনদেন সুবিধা চালু করতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসই প্রধান রেগুলেটরি অফিসার জিয়াউল হাসান খান, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবুল মতিন পাটোওয়ারি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৬
এফবি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।