ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

উত্থানের পরদিনই পুরনো চেহারায় পুঁজিবাজার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৬
উত্থানের পরদিনই পুরনো চেহারায় পুঁজিবাজার

ঢাকা: সমন্বয়সীমার আশ্বাসের প্রভাব একদিনেই কেটে গেছে পুঁজিবাজারে। আর এতে সূচক পতনের পুরনো চেহারায় ফিরেছে দেশের দুই বাজার।

দিনভর সূচকের ওঠানামা শেষে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (০৪ মে) ঢাকার বাজারে সূচক কমেছে ১৪ পয়েন্ট, চট্টগ্রামের বাজারে কমেছে ১২ পয়েন্ট।

আগের দিন ঢাকার বাজারে সূচক বাড়ে ১০০ পয়েন্ট, আর চট্টগ্রামের বাজারে বাড়ে ১৮৬ পয়েন্ট। তার আগে টানা সাত কার্যদিবস উভয় বাজারে দরপতন হয়েছে।

তবে বাজারের এ অবস্থাকে স্বাভাবিক মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, সূচকের ওঠানামা পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক নিয়ম। আগের দিনের উত্থানের পর দরপতন হয়েছে। এটা বাজারে জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে আগের দিনের চেয়ে শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির প্রবণতা বেশি থাকায় দরপতন হয়েছে।
 
পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগের সমন্বয়সীমা বাড়ানো হলে বাজার ভালো হয়ে যাবে। দরপতন হবে না বক্তব্য দিয়ে বিনিয়োগের সময়সীমা বাড়াতে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও স্টক এক্সচেঞ্জ ব্যাপক আন্দোলন করে। বিভিন্ন কৌশলে তারা সরকারের উচ্চমহল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর সমন্বয়সীমা বাড়াতে চাপ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ ব্যাংক গত সোমবার (০২ মে) পরোক্ষভাবে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের সমন্বয়সীমা বাড়ায়। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বলা হয়, যেসব ব্যাংক এখনো অতিরিক্ত বিনিয়োগের বেশি শেয়ার রয়েছে তাদের শেয়ার বিক্রি করে হবে না। কিন্তু তারপরও ফের দরপতন হয়েছে উভয় বাজারে।

এ বিষয়ে বিএমবিএ’র সভাপতি ছায়েদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিজউজকে বলেন, সূচক বাড়া-কমা দেখে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা উচিত নয়। তিনি বলেন, আগের দিন কিছু লোক অতি আবেগ প্রবণ হয়ে শেয়ার কিনেছেন। এর ফলে প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। সূচক অনেক বেশি বেড়েছে। তবে আজ তো ১০০ পয়েন্ট কমে যায়নি। সুতরাং আজকের বাজার পরিস্থিতি ভালো। বাজার স্বাভাবিক ধারায় রয়েছে।

বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের চেয়ে ১৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন ডিএইএক্স শরীয়াহ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪২ ও ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬৪১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪০৭ কোটি টাকা। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিলো ৪০৫ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৪টির, কমেছে ১৯৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক  সিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ৯৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ১৩৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭টির।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৬
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।