ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

ডিএসই’র পরিচালনা পরিষদকে বিএসইসির শোকজ

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
ডিএসই’র পরিচালনা পরিষদকে বিএসইসির শোকজ

নন-কমপ্লায়েন্স অব সিকিউরিটিজ রুলস লঙ্ঘন করায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান, এমডিসহ পরিচালন‍া পর্ষদের সব সদস্য, ডিএসইর সিআরও এবং লিস্টিং বিভাগের প্রধানকে শোকজ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

ঢাকা: নন-কমপ্লায়েন্স অব সিকিউরিটিজ রুলস লঙ্ঘন করায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান, এমডিসহ পরিচালন‍া পর্ষদের সব সদস্য, ডিএসইর সিআরও এবং লিস্টিং বিভাগের প্রধানকে শোকজ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


 
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিএসইসির ডেপুটি পরিচালক হোসেন খান স্বাক্ষরিত ‘শোকজ কাম নোটিশ ফর হেয়ারিং’ শিরোনামে একটি চিঠিতে বলা হয়, সামিট পাওয়ারের তিনটি কোম্পানির একিভূতকরণ ইস্যুতে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, প্রধান রেগুলেটরি আফিসার (সিআরও) একেএম জিয়াউল হাসান খান এবং লিস্টিং বিভাগের প্রধান শফিকুল ইসলাম ভূইয়াকে শোকজ করা হয়েছে।
 
একিভূতকরণের পাশাপাশি কোম্পানির তালিকাচ্যুতি বিষয়ে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে ডিএসইর পর্ষদ ও কর্মকর্তাদের ১৫ ডিসেম্বর সকালে শুনানিতে উপস্থিত হয়ে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে।
 
এ বিষয়ে ডিএসইর এমডি কেএম মাজেদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে এখনো সঠিক তথ্য জানা নেই। বুধবার জানাতে পারবে।  

তবে ডিএসইর একাধিক পরিচালক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিষয়টি বাংলানিউজের কাছে স্বীকার করেছেন।
 
সূত্র জানায়, সামিট পাওয়ার লিমিটেডের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বর্তমানে বিএসইসি এনফোর্সমেন্ট বিভাগে রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এনফোর্সমেন্ট বিভাগ দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের শুনানিতে ডাকে বিএসইসি। শুনানির পর বিষয়টি আবারও বিএসইসির কমিশন সভায় উঠানো হবে। সবদিক দেখে কমিশন সিদ্ধান্ত নিবে।
 
সামিট পাওয়ারের সঙ্গে এ গ্রুপের তিন কোম্পানি একীভূতকরণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া জটিলতায় উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ করে। তবে এরপর ৯ অক্টোবর থেকে লেনদেন শুরু হয়েছে।
 
এর আগে কমিশন সভায় সামিট পাওয়ারকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্য ১৯ কোটি ১৮ লাখ ৭৬ হাজার ৫১৮টি শেয়ার ইস্যু করে ১৯১ কোটি ৮৭ লাখ ৬৫ হাজার ১৮০ টাকা মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়।
 
বিএসইসির অভিযোগ, কোম্পানিটি একীভূতকরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধিবিধান সঠিকভাবে অনুসরণ করেনি। বিশেষ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে কোম্পানিটি মূলধন বাড়ানোর অনুমতি নেয়নি। কিন্তু কোম্পানি দু’টি একীভূত হওয়ার কারণে সামিট পাওয়ারের পরিশোধিত মূলধন নিশ্চিতভাবেই বাড়বে। তাই একীভূতকরণ সম্পন্ন করার আগেই মূলধন বাড়ানোর অনুমতি নেওয়া অপরিহার্য। তবে লেনদেন বন্ধ করার পর ২৮ আগস্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে মূলধন বাড়ানোর আবেদন করে কোম্পানিটি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।