ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

টানাটানি করে ছোট কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ানো হচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৭
টানাটানি করে ছোট কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ানো হচ্ছে টানাটানি করে ছোট কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ানো হচ্ছে

ঢাকা: টানাটানি করে ছোট পেইডআপ ক্যাপিটাল কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ডিএসইর সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক রকিবুর রহমান।

শনিবার (০৫ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানের ড্রাগন সিকিউরিটিজ লিমিটেড আয়োজিত ‘ট্রেনিং আন্ডার ন্যাশনওয়াইড ফাইনেন্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রাম (এনএফএলপি) শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।  
 
রকিবুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার একটু ভালো হলেই ভালো গ্রুপের কোম্পানির চেয়ে ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ারের দাম বাড়ে।

বিনিয়োগকারীরাও লাভের আশায় এসব কোম্পানির পেছনে দৌড়ায়। তারা সেসব শেয়ারের বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  
 
অথচ বিনিয়োগকারীদের এ ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে স্টক এক্সচেঞ্জগুলো ‘এ’, ‘বি’, ‘এন’ এবং‘জেড’ ক্যাটাগরি করেছে। এর মধ্যে ভালো কোম্পানির শেয়ার হলো ‘এ’ ক্যাটাগরির। তার চেয়ে একটু কম ভালো হলো ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারের। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা তা না করে জেড ক্যাটাগরির শেয়ারে বিনিয়োগ করছে।  
 
ডিএসইর সাবেক সভাপতি বলেন, পুঁজিবাজার এখন ভালো হচ্ছে, এই সুযোগে অল্প শেয়ার নিয়ে টানাটানি করে ছোট পেইডআপ ক্যাপিটাল কোম্পানির শেয়ারেরর দাম বাড়াচ্ছে। পাশাপাশি নতুন করে কোম্পানির মালিকানা পরিবর্তন হচ্ছে এমন গুজব ছড়িয়ে অস্তিত্ব নেই এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ারের দাম বাড়াচ্ছে।
 
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ এই বাজারে গুজবে কান না দেওয়ার পাশাপাশি ইমোশনালি বিনিয়োগ না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বাজারে ভালো কোম্পানির শেয়ার সরবরাহের পাশাপাশি নলেজেবল বিনিয়োগকারী থাকতে হবে বলে জানান রকিবুর রহমান।
 
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারকে গতিশীল ও স্থিতিশীল রাখতে কমিশন নতুন করে অনেক আইন সংস্কার করেছে।
 
তিনি বলেন, অডিটররা যাতে কোম্পানির অডিট রিপোর্টে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পার পেয়ে না যায় সেই জন্য অডিটরদের আরো স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা হচ্ছে। এই লক্ষ্যে কমিশন ৪০টি অডিট ফার্মকে অডিট করার অনুমোদন দিয়েছে। সরকার রিপোর্টিং কাউন্সিল গঠন করেছে। খুবই দ্রুত এর কার্যক্রম চলছে।
 
সাইফুর রহমান বলেন, বিনিয়োগকারীদের সচেতন করতে কমিশন দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সহায়তায় ঢাকাসহ বিভাগীয় পর্যায়ে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে রাজশাহী ও খুলনায় বিনিয়োগ শিক্ষা সেমিনার করেছে। এখন তৃতীয় পর্যায়ে ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে সব সরারসির বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজার সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে।
 
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোম্পানিগুলোর বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য সব শেয়ারহোল্ডারদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
 
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বলেন, দেশের অর্থনীতির তুলনায় পুঁজিবাজারের অবদান যথেষ্ট কম। সরকারের এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্র পূরণ করতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তার জন্য প্রথমে প্রয়োজন শিক্ষিত ও সচেতন বিনিয়োগকারী।
 
অতি মুনাফার লোভে কিছু বিনিয়োগকারী দুর্বল মৌলভিত্তি এবং অস্তিত্বহীন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করছেন। ফলে আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন- তাই এসব বিনিয়োগকারীদের গবেষণাপূর্ণ ব্রোকারেজ হাউজ কর্তৃপক্ষকের সহযোগিতায় বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
 
ড্রাগন সিকিউরিটিজের এমডি নেছার উদ্দিন মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিএসইর জেনারেল ম্যানেজার (ডিএম) সামিউল ইসলামসহ ডিএসই ও ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৭
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।