ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

বসুন্ধরা পেপারের কাট-অফ প্রাইস ৮০ টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
বসুন্ধরা পেপারের কাট-অফ প্রাইস ৮০ টাকা

ঢাকা: প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের বিডিং। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসার অপেক্ষায় থাকা দেশের শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের এই প্রতিষ্ঠাটির বিডিংয়ের প্রতিটি শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ হচ্ছে ৮০ টাকা। 

বিডিং সূত্র জানায়, ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য গত সোমবার বেলা ৫টায় শুরু হওয়া বিডিং শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ৫টায়। এ সময়ে বিডারদের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে।

তিন দিনে মোট ৪৭৪জন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আবেদন করেছেন। যা বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আবেদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড।  

২০১৭ সালের সংশোধিত বুক বিল্ডিং পদ্বতিতে বসুন্ধরা পেপারের বিডিং প্রক্রিয়া শুরু হয়। নিয়ম অনুসারে ন্যূনতম ৫০ জন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীকে ১২৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনার জন্য আবেদন করতে হয়। সেখানে বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার পেতে ৪৭৪ জন বিভিন্ন দামে আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ৮০ টাকা দামে প্রতিষ্ঠানের শেয়ার পেতে আবেদন করেছেন ৫৬জন বিনিয়োগকারী। যা টাকার অংকে দাঁড়িয়েছে ২২০ কোটি ২৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। সেই হিসাবেই প্রতিষ্ঠানের কাট অফ প্রাইস ৮০ টাকা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
 
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বসুন্ধরা পেপার মিলস পুঁজিবাজার থেকে ২০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এরমধ্যে ১২৫ কোটি টাকা বিডিংয়ের মাধ্যমে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। আর ৭৫ কোটি টাকা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিও’র মাধ্যমে বাজারে ছাড়া হবে। সেখানে বিনিয়োগকারীর‍া ১০ শতাংশ কম দামে শেয়ার পেতে আবেদন করবেন।

তবে এজন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) কাছে আবেদন করবে কোম্পানিটি। এরপর বিএসইসি অনুমতি দিলেই আইপিও আবেদনের সময়সূচি প্রকাশ করবে তারা।

পুঁজিবাজার থেকে বসুন্ধরা পেপার মিলস উত্তোলিত অর্থের একটি বড় অংশ দিয়ে কারখানার আধুনিকায়ন, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি এবং স্থাপন করবে কোম্পানিটি।  

২০১০ সালের পর পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ ৫০৮ কোটি টাকা তুলেছিল জ্বালানি খাতের একটি কোম্পানি। এরপরে ২০০ কোটি টাকার বেশি কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করেনি। সে হিসাবে অন্যকম বৃহৎ কোম্পানি হিসেবে তালিকাভুক্ত হবে বসুন্ধরা পেপার মিলস।  

বসুন্ধরার কোম্পানিটিকে আইপিওতে আনতে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে ট্রিপল ‘এ’ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর রেজিস্টার টু দ্য ইস্যু হিসেবে রয়েছে এফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড। ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় একই গ্রুপের মেঘনা সিমেন্ট কোম্পানি। এখন পর্যন্ত কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। এ খাতে সাতটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম হলো মেঘনা সিমেন্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।