ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

আইপিওতে কোটার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়লো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
আইপিওতে কোটার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়লো

ঢাকা: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত ২০ শতাংশ কোটার মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গত ২৩ জানুয়ারি বিএসইসিকে পাঠানো হয়েছে। এর ফলে সাত দফা মেয়াদ বাড়ানো হলো।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ২০ শতাংশ কোটার মেয়াদ শেষ হয়েছিলো।
 
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, আইপিওতে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত ২০ শতাংশ কোটার মেয়াদ ২০১৮ সালের ৩১ জুন পর্যন্ত বাড়াতে কমিশনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
 
মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ কোটার মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ২০১০ সালের ধসে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক বিনিয়োগকারীই এখনো লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তাই কোটা সুবিধার মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানো হলে তারা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন, এ বিবেচনায় এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
 
ধসের পর সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে আইপিওতে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ করে বিএসইসি। পরবর্তীতে ৭ দফায় কোটার মেয়াদ বাড়ানো হয়। আইসিবির প্রাক্কলন অনুসারে, ২০১০ সালের বাজার ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মোট সংখ্যা ৯ লাখ ১৭ হাজার ৮২৮ জন।
 
বাজার-সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় শূন্য ঝুঁকি ও উচ্চ মূলধনী মুনাফার কারণে দেশের পুঁজিবাজারে আইপিওর শেয়ারে চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ৭ পাঁচ বছরে আইপিওতে ওভার সাবস্ক্রিপশনের প্রবণতা তিন গুণ বেড়েছে। দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়াই প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সেকেন্ডারি বাজারে বেশ উচ্চমূল্যে আইপিওর শেয়ার হাতবদল হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য লোকসান কাটিয়ে ওঠার একটি বড় সুযোগ আইপিওর শেয়ার।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।