ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন বন্ধের প্রভাব শেয়ার বাজারে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৮
গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন বন্ধের প্রভাব শেয়ার বাজারে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন কোম্পানি

ঢাকা: গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ লিমিটেডের ‘উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে’ এমন খবরে বহুজাতিক কোম্পানিটির শেয়ারের ধস নেমেছে। সর্বশেষ মাসে ওষুধ খাতে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ২৩৬ টাকা।

এ বিষয়ে ব্র্যাক ইপিএলের বিনিয়োগকারী তপু সরকার বাংলানিউজকে বলেন, জুলাই মাসের শুরু থেকেই বাজারে গুজব রটে, গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।  এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় কোম্পানির শেয়ার ক্রেতাদের তুলনায় বিক্রেতার সংখ্যা বেশি পাওয়া যায়।

আর এ খবর সত্য হয় ২৬ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। ওই দিন কোম্পানির পক্ষ থেকে ব্যবসা পরিস্থিতি বিবেচনা করে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ বাণিজ্যিক ঝুঁকিতে থাকা তাদের ফার্মাসিউটিক্যাল বিজনেস ইউনিটের উৎপাদন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধের প্রস্তাব করার সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে উৎপাদন বন্ধের বিষয়টি দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) এখনো জানায়নি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন কমিশনের নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহম‍ান।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এ কোম্পানির শেয়ারটির দাম কমেছে ২৩৬ টাকা। শেয়ারের দাম কমা শুরু হয় ২ জুলাই (রোববার) থেকে। ওই দিন শেয়ারটির লেনদেন হয় ১ হাজার ৪৪১ দশমিক ৯০ টাকায়। আর বৃহস্পতিবার (২৬জুলাই) কোম্পানির শেয়ারটি লেনদেন হয় ১ হাজার ২০৫ দশমিক ৯০ টাকায়। অর্থাৎ ২৪ দিনে শেয়ারটির দাম কমেছে ২৩৬ টাকা।

১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে শেয়ারের ৮১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ, বিদেশিদের হাতে রয়েছে দশমিক ৯১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে মাত্র ১ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ দুই বছরের শেয়ারহোল্ডারদের ৫’শ শতাংশ এবং  সাড়ে ৫শ  শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১৫ টাকা ১৪ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

এ সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ১৭৮ টাকা ৪৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ১৮৩ টাকা ৯৩ পয়সা ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।