ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন ও মূলধন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৮
সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন ও মূলধন

ঢাকা: দুই কার্যদিবস উত্থান আর দুই কার্যদিবস সূচক পতনের মধ্য দিয়ে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পার করেছে দেশের পুঁজিবাজার। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর মালিকানায় চীনা কনসোর্টিয়াম আসার খবরে ইতিবাচক ধারায় ফিরছে পুঁজিবাজার।

ফলে বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বেড়েছে লেনদেন। তবে কমেছে সূচক ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

অন্যদিকে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন, সূচক ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিদায়ী মাসের শেষ সপ্তাহে ব্যাংক, বিমা আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে। এ সুবাদে সূচক ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমলেও বিনিয়োগকারীদের পুঁজি অর্থাৎ বাজার মূলধনও কিছুটা বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে মূলধন বেড়েছে ৪৯০ কোটি ৮৮ লাখ ৬৪ হজাজার টাকার বেশি। এর মধ্যে ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ১৩১ কোটি ১৮ লাখ ২৪ হাজার ৮৯৩ টাকা। আর সিএসইতে মূলধন বেড়েছে ৩৫৯ কোটি ৬ লাখ ২ হাজার টাকা। এর আগের সপ্তাহে বেড়েছিলো ৮ হাজার ২৩১ কোটি টাকার বেশি।

ডিএসই’র তথ্যমতে, সরকারি ছুটি থাকায় পহেলা সেপ্টেম্বর লেনদেন না হওয়ায় বিদায়ী সপ্তাহে মোট ৪ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৫৩ কোটি ৮৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫৬৬ টাকা। এর আগের সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ২ হাজার ৯১৯ কোটি ৭০ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৫ টাকা। যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৩৪ কোটি টাকা বেশি। শতাংশের হিসেবে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। বিদায়ী সপ্তাহে মোট লেনদেনের মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ৯৩ শতাংশ। যা পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক।

তিন সূচকে নির্ভর ডিএসই’র প্রধান সূচক গত সপ্তাহে ২৬ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসই-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ২ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৫৮ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৯ দশমিক ০৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৮টির, কমেছে ২১৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছিল ১৮১টির, কমেছে ১৩৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৯টি কোম্পানির শেয়ার।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন ৩ লাখ ৯৬ হাজার ২২৬ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৩২০ টাকা থেকে ১৩১ কোটি ১৮ লাখ ২৪ হাজার ৮৯৩ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৭ কোটি ২৯ লাখ ৫ হাজার ২১৩ টাকায়। যা শতাংশের হিসাবে আগের সপ্তাহের চেয়ে দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।  
দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে সার্বিক সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৪২৬ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে। গত সপ্তাহে এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ১২৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিলো ২০৪ কোটি ৬৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।

এ বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৭টির, কমেছে ১৭০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৩টি কোম্পানির। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছিল ১৬৫টির, কমেছে ১০২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে বিনিয়োগকারীদের মূলধন ৩৫৯ কোটি ৬ লাখ ২ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৭৮২ কোটি ৭১ লাখ ২ হাজার টাকায়।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮
এমআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।