ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

বিনিয়োগকারীদের নজরে লেনদেনের শীর্ষে বস্ত্র খাত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৯
বিনিয়োগকারীদের নজরে লেনদেনের শীর্ষে বস্ত্র খাত

ঢাকা: বিদায়ী বছরের ব্যাংক খাতের শেয়ারের চেয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গা ছিলো বস্ত্রখাতের শেয়ারের প্রতি। ফলে, ২০১৮ সালে লেনদেনের শীর্ষ স্থান দখল করে নেয় এ খাতটি।

পুঁজিবাজারের ‘প্রাণ’ বলে খ্যাত ব্যাংক খাতের অবদান ২০১৭ সালে ছিলো সবচেয়ে বেশি। ফলে ওই বছরে লেনদনের দিক শীর্ষ স্থানে ছিলো এ খাতটি।

কিন্তু মুনাফা কমায়, ২০১৮ সালে এ খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিযোগকারীদের আস্থা ও জনপ্রিয়তা উভয় কমে যায়। তাই বিদায়ী বছরের লেনদেনের দিক থেকে পঞ্চমস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত।

বুধবার (০৯ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, বর্তমানে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত ৫৩টি কোম্পানি রয়েছে। বিদায়ী বছরে মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ এসেছে এ খাত থেকে। গত বছর মোট লেনদেনের ১১ শতাংশ এসেছিলো এ খাত থেকে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের পর সরকার বস্ত্র খাতের ওপর থেকে উৎসে কর কমিয়েছে। এ খবরে বিনিয়োগকারীদের নজর ছিলো বস্ত্র খাতের শেয়ারের দিকে। ফলে বিদায়ী বছরের শেষ চারমাস এ খাতের শেয়ার বেশি কেনা-বেচা হয়েছে। ফলে প্রকৌশল ও ব্যাংক খাতকে পেছনে ফেলে ২০১৮ সালে লেনদেনের শীর্ষ স্থান দখল করেছে বস্ত্র খাতটি।

২০১৮ সালে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৬৩ কোটি ৮১ লাখ ৯১ হাজার ৫২৫টাকা। এর মধ্যে বস্ত্র খাতের শেয়ার কেনা-বেচা বাবদ লেনদেন হয়েছে ২১ হাজার ৮১৭ কোটি ৭৯ লাখ ১২ হাজার ৩৬৫ টাকা। যা মোট লেনদেনের ১৬ দশমকি ৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে মোট ২ লাখ ১৬ হাজার ৯৫৯ কোটি ৭১ লাখ ২৩ হাজার ৮৪৬ টাকার লেনদেন হয়েছিলো। ওই বছর লেনদেনের শীর্ষে ছিলো ব্যাংক খাত।

ওই সময় ব্যাংক খাতে লেনদেন ছিলো ৪৯ হাজার ১৯৯ কোটি ১৫ লাখ ৮২ হাজার ৬৯১ টাকা। যা মোট লেনদেনের ২২ দশমিক ৬৮ শতাংশ ছিলো। আর বিদায়ী বছরের লেনদেন হয়েছে ১৩ হাজার ৭২৫কোটি ৫৬ লাখ ১২ হাজার ২৭ টাকা। যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ।

এছাড়া লেনদেনের দিক দিয়ে দ্বিতীয়স্থানে স্থান দখল করেছে প্রকৌশল খাত। বছরে ২০ হাজার ৬৩৯ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার ৬৫৫ টাকা লেনদেন হয়েছে এ খাতে। যা মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এ খাতটি গত বছরও দ্বিতীয় স্থানে ছিলো।

একইভাবে গত বছর তৃতীয় স্থানে থাকা ওষুদ ও রসায়ন খাত এ বছরও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বিদায়ী বছরে এ খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৪ হাজার ৭৫৯কোটি ৭৬লাখ ১৯ হাজার ৭৬৭ টাকা। যা মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ০৭ শতাংশ।
চতুর্থ স্থানে রয়েছে বিদ্যু ও জ্বালানি খাত। এ খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৪ হাজার ৭৫৯ কোটি ৭৬ লাখ ১৯ হাজার ৭৬৭টাকা। যা মোট লেনেদেনের ১২ দশমকি ৩১ শতাংশ।

এরপর যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম স্থানে রয়েছে বিবিধ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। এ দু’খাতে লেনদেন হয়েছে ৮ হাজার ৩৪৬ কোটি ২২ লাখ ৭৫ হাজার ৭০ টাকা ও ৬ হাজার ০১৫ কোটি ৭ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া অষ্টম স্থানে খাদ্য ও আনুসাঙ্গিক, নবম স্থানে বিমা ও দশ স্থানে রয়েছে আইটি খাত।

এরপর যাথাক্রমে টেলিযোগাযোগ, ট্যানারি, সিরামিক, সিমেন্ট, ট্রাভেলস, পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, সার্ভিস অ্যান্ড রিয়েলেস্টেড, পাট ও বন্ড খাতের লেনদেন হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৯
এমএফআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।