ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

খেলা

কাবাডি বিশ্বকাপের টিকিট পেল বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
কাবাডি বিশ্বকাপের টিকিট পেল বাংলাদেশ ছবি: শোয়েব মিথুন

বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের ফাইনালে নাম লেখানোটা নতুন কিছু নয় বাংলাদেশের জন্য। এবার থাইল্যান্ডকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেছে আসরের স্বাগতিকরা।

ফাইনালে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কাবাডি বিশ্বকাপে খেলাও নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

আজ (২০ মার্চ) সোমবার পল্টনের শহীদ ‍নুর হোসেন ভলিবল স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশ (এ-গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন) প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ডকে (বি-গ্রুপের রানার্সআপ) ৪৫-২৬ পয়েন্টে (৩টি লোনাসহ) হারায়। খেলার প্রথমার্ধে বাংলাদেশ দল ১৭-১১ পয়েন্টে এগিয়েছিল।  

ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তুহিন তরফদার (তিনি ও মিজানুর করেন সর্বোচ্চ ১১ পয়েন্ট)। এই আসরে এ নিয়ে তিনবার ম্যাচসেরা হলেন তিনি, যা সর্বোচ্চ।

সেমির ম্যাচে জিতলেও বাংলাদেশের শুরুটা ছিল বাজে। ক্ষিপ্রতা দিয়ে প্রতিপক্ষ থাইবাহিনী শুরুতেই দুটি পয়েন্ট আদায় করে নেয়। পক্ষান্তরে বার বার রেইড দিয়ে বাংলাদেশ কোনো পয়েন্ট পাচ্ছিল না। থাইল্যান্ডের প্রামোত সাইসিং রেইড দিতে গিয়ে নিয়ম বহির্ভুতভাবে ম্যাটের বাইরে চলে গেলে পয়েন্টের খাতা খোলে লাল-সবুজ বাহিনী (১-২)। আরও কিছু সময় যাবার পর প্রথমবারের মতো পয়েন্টে সমতা আনে সাজুরাম গয়াতের শিষ্যরা (৪-৪)। ম্যাচের তখন ৯ মিনিট। তুহিনের রেইডে সম্ভব হয় এটা।  

তবে আবারও এগিয়ে যায় থাইরা। ১৪ মিনিটে প্রথমবারের মতো লিড নেয় বাংলাদেশ (৮-৭)। এরপর আর পিছিয়ে পড়তে হয়নি তাদের। পরের মিনিটেই তুহিনের রেইডে প্রথমবারের মতো থাইল্যান্ডকে অলআউট করে ‘লোনা’ পায় বাংলাদেশ। এগিয়ে যায় ১৪-৮ পয়েন্টে (লোনার জন্য ৩ ও রেইডে ২ পয়েন্ট)। ১৭-১১ স্কোরলাইনে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতির পর আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের ভুলত্রুটি কাটিয়ে ওঠে অনেকটাই। ২৩ ‍মিনিটে থাইদের আবারও অলআউট করে বাংলাদেশ (২৪-১২)।
একপর্যায়ে বাংলাদেশ ২৯-১৬ পয়েন্টে এগিয়ে গেলেও টানা কয়েকবার ভুলভাবে খেলার খেসারত দেয়। এই সুযোগে টানা ৫টি পয়েন্ট লাভ করে থাইল্যান্ড (২০-৩০)।  

একপর্যায়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়, আবার না পচা শামুকে পা কেটে বসে স্বাগতিকরা। কিন্তু এরপর কৌশলী খেলা খেলে ধীরে ধীরে আবারও ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে থাকেন তুহিন-মিজানুররা। স্কোর করে ফেলেন ৩৭-২২। কিন্তু বাংলাদেশের মনিরুল হলুদ কার্ড পেয়ে বাইরে চলে গেলে (থাই দলের চাকরিতকে ফাউল করায়) আবারও শঙ্কার সৃষ্টি হয়। কিন্তু মিজানুরের টানা দুটি সফল রেইডে আবারও ব্যবধান বাড়ায় বাংলাদেশ (৪৫-২৩)।  

তবে শেষের দিকে থাইল্যান্ড টানা ৩টি পয়েন্ট পেলেও সময় শেষ হয়ে যাওয়াতে আর হার এড়াতে পারেনি। পরাজয়ের গ্লানি নিয়েই ম্যাট ছাড়তে হয় তাদের। আর হ্যাটট্রিক ফাইনালে ওঠার আনন্দে মেতে ওঠে লাল-সবুজ বাহিনী।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
এআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।