কেউ জেমস বন্ড, কেউবা জন রাইট বানিয়ে দিচ্ছেন তাকে। না সিনেমার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই ইউসুফ দিকেচের।
ঘোলাটে ভাব দূর করার জন্য নেই কোনো গ্লাস, নেই বিশেষ কোনো লেন্স, শব্দ নিরোধকের জন্য নেই উচ্চমানের কোনো ইয়ারবাড। এমন আধুনিক সরঞ্জাম নিয়েই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বর্তমান শুটাররা।
কিন্তু ইউসুফ ভিন্ন ধাঁচে গড়া। এক হাত পকেটে ঢুকিয়ে আরেক হাত দিয়ে নিশানা ভেদ করেন তিনি। এভাবেই ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের মিশ্র দলীয় ইভেন্টে রৌপ্যপদক নিশ্চিত করেন এই শুটার। যেখানে তার সঙ্গী ছিলেন সেভাল ইলাইদা তারহান। অলিম্পিকে শুটিংয়ে এটাই তুরস্কের ইতিহাসে প্রথম পদক। যা আলোচনায় এনেছে ইউসুফকে। শুট করার সময় তার পোজ (দাঁড়ানোর ভঙ্গিমা) নিয়ে একের পর এক মিম বানানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
তুর্কিশ রেডিও গলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউসুফ বলেন, ‘আমি সহজাত শুটার। বেশিরভাগ শুটার যেখানে এক চোখ দিয়ে শুট করে৷ সেখানে আমি দুই চোখে শুট করি। তাই আমার ওইসব সরঞ্জামের প্রয়োজন লাগে না। দুই চোখ দিয়ে শুট করাই ভালো বলে বিশ্বাস করি আমি। এনিয়ে প্রচুর গবেষণাও করেছি, তাই আমার সরঞ্জামের প্রয়োজন নেই। ’
‘পকেটে হাত দিয়ে শুটিংয়ের সঙ্গে শৈল্পিকতার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি এভাবে শুটিংয়ের ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য ও অনুপ্রাণিত বোধ করি। শরীরকে ভারসাম্যে রাখা, ফোকাস ও মনোযোগ ধরে রাখার জন্যই আসলে আমি এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকি। ’
মিলিটারি পেশায় থাকার সময় ২০০১ সালে শুটিং ক্যারিয়ার শুরু করেন ইউসুফ। তুরস্কের জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর একের পর এক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। ২০০৮ সাল থেকে অংশ নিয়েছেন প্রতিটি অলিম্পিকে। ১৬ বছর পর এসে পেলেন প্রথম পদকের দেখা।
সোনার লড়াইয়ে অবশ্য সার্বিয়ার কাছে ১৬-১৪ ব্যবধানে হেরে যায় তুরস্ক। কিন্তু তা নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই ইউসুফের। সোনার জন্য তার চোখ ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে।
তিনি বলেন, ‘আমি খুবই খুশি (রুপা জিতে)। অলিম্পিক পদক অলিম্পিক পদকই এবং আশা করি লস অ্যাঞ্জেলসে স্বর্ণ জিতব। ’
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২৪
এএইচএস