ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

খেলা

বিএসজেএ অ্যাওয়ার্ড নাইটে বসেছিল ক্রীড়াবিদদের মিলন মেলা

তৌহিদুল আলম, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫
বিএসজেএ অ্যাওয়ার্ড নাইটে বসেছিল ক্রীড়াবিদদের মিলন মেলা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের আইভি রহমান সুইমিংপুলে সোমবার সন্ধ্যায় বসেছিল ক্রীড়া তারকাদের মিলন মেলা।   বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিএসজেএ) এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বিএসজেএ অ্যাওয়ার্ড নাইট ২০১৫।

   ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্যে  বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ক্রীড়াবিদরা পেয়েছেন ৬৯ টি পুরস্কার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বিরেন শিকদার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বিরেন শিকদার এই আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, ‘ক্রীড়া সাংবাদিকদের এই আয়োজন সত্যিই ব্যতিক্রমধর্মী। এ ধরনের আয়োজন খেলোয়াড়দের আরো উৎসাহিত করবে।
 
বিশ্বকাপে  অংশ নিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়ায় থাকায় ক্রিকেটাররা এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেননি। কিন্তু তাদের আগেই পুরস্কার পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।

তবে  অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান সহ অন্যান্য ক্রীড়াবিদরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া সংগঠকরাও।
 
যারা যারা পুরস্কার পেলেন
২০০৯ সালের বর্ষসেরা  ক্রীড়াবিদের পুরস্কার পেলেন  বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার গেছে মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের ঝুলিতে। বর্ষসেরা ফুটবল নির্বাচিত হয়েছেন এনামুল হক।   বর্ষসেরা  তীরন্দাজ হয়েছেন যথাক্রমে সাজ্জাদ হোসেন এবং ইমদাদুল হক মিলন। আজীবন সম্মাণনা পেয়েছেন এ এস এম রকিবুল হাসান এবং আব্দুল হাফিজ। ২০০৯ সালের সেরা পৃষ্ঠপোষক নির্বাচিত হয়েছে যথাক্রমে ঢাকা ব্যাংক, গ্রামীণ ফোন এবং সিটিসেল।

২০১০ সালের সেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান, এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক জয়ের জন্যে দলগতভাবে পুরস্কার দেয়া হয়েছে ক্রিকেট দলকে। এসএ গেমসের স্বর্ণ পদক জয়ী জাতীয় ফুটবল দলকেও পুরস্কৃত করা হয়েছে।   বর্ষসেরা  শ্যুটার  হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাদিয়া সুলতানা এবং শারমিন আক্তার রত্না। সেরা সংগঠকের পুরস্কার পেয়েছেন কুতুবুউদ্দিন আহমেদ।   ক্রিকেটে  বিশেষ অবদানের জন্যে সম্মাননা পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল।  

২০১১ সালের বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন সাকিব আল হাসান, বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ইমরুল কায়েস, বর্ষসেরা ফুটবলারের মুকুট পেয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। বর্ষসেরা হকি খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন রাসেল মাহমুদ জিমি। বর্ষসেরা দাবাড়ু নির্বাচিত হয়েছেন শামীমা আক্তার লিজা, প্রতিশ্রুতিশীল দাবাড়ুর পুরস্কার গেছে ক্ষুদে ফাহাদ রহমানের হাতে।  
 
ফুটবলে অবদান রাখার জন্যে ২০১১ সালে আজবীন সম্মাননা পেয়েছেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার হিসেবে তানভীর মাজাহারুল ইসলামকে আজবীন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ সম্মাণনা। ২০১১ সালের সফলতম সংগঠন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

মুশফিকুর রহিমের হাত উঠেছে ২০১২ সালের সেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার।   বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন তামিম ইকবাল খান। ।   সেরা প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার হিসেবে পুরস্কার জিতেছেন সোহাগ গাজী এবং এনামুল হক বিজয়।   বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন জাহিদ হোসেন। বর্ষসেরা হকি খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন  মামুনুর রহমান চয়ন। মাহফিজুর রহমান জিতেছেন বর্ষসেরার সাঁতারুর পুরস্কার।   বর্ষসেরা মহিলা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন সালমা খাতুন। সাইক সিজারকে দেওয়া হয়েছে বর্ষসেরা জিমন্যাস্টের পুরস্কার।  
 
২০১১ সালে বর্ষসেরার পৃষ্ঠপোষকের পুরস্কার জিতেছে ওয়ালটন, গ্রীণ ডেল্টা ইন্সুরেন্স। বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন মাহবুব হারুন।
 
২০১৫ সালের সেরা অভিবাবক নির্বাচিত হয়েছেন তামিম ইকবালের মা মিসেস নুসরাত জাহান খান।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।