ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

খেলা

সাফ পুনরুদ্ধারের মিশনে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
সাফ পুনরুদ্ধারের মিশনে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: নেপাল-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে ২৩ ডিসেম্বর মাঠে গড়িয়েছে সাফ ফুটবলের ১১তম আসর। সেই ধারাবাহিকতায় গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

আর এর মধ্যদিয়েই লাল-সবুজের দলটির সাফ শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনও শুরু হয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের কেরালার ত্রিভান্দ্রাম স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটায় ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।

নেদারল্যান্ডসের কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফের পর ইতালিয়ান কোচ ফ্যাবিও লোপেজের অধীনে বাংলাদেশ খেলেছে। তার বিদায়ের পর মামুনুল ইসলামের দলটি পায় দেশসেরা কোচ মারুফুল হককে। সাফ শিরোপা দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনতে দৃঢ়প্রত্যয়ী এ কোচের চ্যালেঞ্জিং মনোভাবকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে মামুনুল-জাহিদ-হেমন্ত-মোনায়েম রাজুদের।

আফগানদের বিপক্ষে জয় দিয়েই বাংলাদেশ তাদের ‘এশিয়ার বিশ্বকাপ’ খ্যাত সালের আসর শুরু করতে চায়। ফিফার পরিসংখ্যান অনুযায়ী আত্মবিশ্বাসের জায়গা রয়েছে আরও একটি। দুই দলের মুখোমুখি আগের পাঁচ ম্যাচের চারটি ড্র হয়েছে, একটিতে জিতেছিল বাংলাদেশ। ১৯৮০ সালের এশিয়ান কাপের কোয়ালিফায়ারে ৪-১ গোলের জয় পায় লাল-সবুজরা। মারুফুল হকের দলটি সাম্প্রতিক সময়ের পারফর্মে আরও একটি আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাবে। ঢাকায় গত জুনে দুই দলের প্রীতি ম্যাচ ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয়েছিল।

টেকনিক ও স্কিলের দিক থেকে বাংলাদেশ-আফগান সমান হলেও শারীরিক সক্ষমতায় প্রতিপক্ষরা এগিয়ে। ইউরোপের মাটিতে খেলা ১৮-২০ জন ফুটবলার নিয়ে তারা শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এসেছে। আফগানিস্তান কোচ পিটার সেগ্রেটও মুকুট ধরে রাখার লক্ষ্য ঠিক করে রেখেছেন। তবে, বাংলাদেশকে বেশ সমীহ করেই এ কোচ জানান, প্রতিপক্ষের সবাইকে আমি সমীহ করছি। আমরা টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, টানা দ্বিতীয় শিরোপা জেতার জন্য আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না।

বাংলাদেশও যে ছেড়ে কথা বলবে না! ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইয়ে অস্ট্রেলিয়া, জর্ডানের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে সাফে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে ঘরের মাঠে সাফ জেতার পর আর হাতে তোলা হয়নি ট্রফিটি।

এ আসরে সে ট্রফিতে হাত বোলানোর অপেক্ষায় থাকা ক্ষুধার্ত বাংলাদেশ তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে নিজেদের মোকাবেলা করার মানসিকতা দেখিয়েছে। সবশেষ নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়েই ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় মারুফুল হকের শিষ্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।