ঢাকা: ডাগআউটে দিদিয়ের দেশমসের সাফল্য অনুমেয়ই ছিল। কিন্তু, জিনেদিন জিদানের অন্য পথে যাওয়াটাই প্রত্যাশিত ছিল।
খেলোয়াড়ী জীবনে দেশমস ও জিদান দু’জনই লিপ্পির শিষ্য ছিলেন। বর্তমানে উভয়ই কোচিং পেশাটা উপভোগ করছেন। ফ্রান্সের কোচ পদে দেশমস ও রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্বে রয়েছেন জিদান। গত জানুয়ারিতে রাফা বেনিতেজের স্থলাভিষিক্ত হন ফ্রেঞ্চ কিংবদন্তি।
২০০৬ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর ফুটবলকে বিদায় জানান জিদান। সেবার শিরোপার কাছাকাছি গিয়েও ইতালির কাছে ফ্রেঞ্চদের স্বপ্নভঙ্গ হয়। কোচ লিপ্পির হাত ধরে চতুর্থবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ইতালিয়ানরা। এর আগে জুভেন্টাসে থাকাকালীন লিপ্পির (১৯৯৪-৯৯, ২০০১-০৪) অধীনে খেলেছিলেন জিদান (১৯৯৬-০১)।
এক সাক্ষাৎকারে লিপ্পি বলেন, ‘আমি কখনোই ভাবিনি যে, জিদান কোচ হবে। আমি অনেক খেলোয়াড়কেই কোচিং করিয়েছি। এর মধ্যে দেশম (দিদিয়ের দেশমস) ছিল যে ডাগআউটেও (কোচ হিসেবে) সফল হবে বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু, জিদান নিশ্চিতভাবেই তার মধ্যে ছিল না। ’
মাঝপথে রিয়ালের কোচের দাযিত্ব নেওয়া জিদানের সময়টা এখন মোটেও ভালো যাচ্ছে না। শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ১২ পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে গ্যালাকটিকোদের শিরোপা স্বপ্নটা ভেস্তে গেছে বললেই চলে!
তবে জিদানের পাশেই থাকছেন তার সাবেক কোচ লিপ্পি, ‘আমার বিশ্বাস, রিয়ালের মতো বড় ক্লাবে জিদান ভালো করবে। শীর্ষ মানের খেলোয়াড়দের মানসিকতার সঙ্গে সে সুপরিচিত। তা জয় কিংবা পরাজয় যেটাই হোক না কেন। আমি মনে করি, এতো দ্রুত তাকে মূল্যায়ন করাটা ঠিক হবে না। ’
সাবেক ইতালি ও জুভেন্টাস কোচ যোগ করেন, ‘মৌসুমের মাঝপথে জিদানকে কোচ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। যা সব সময়ই অনেক কঠিন। তার প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি দরকার। এতে করে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করার পাশাপাশি সে তার পরিকল্পনাগুলোরও সঠিক বাস্তবায়ন আনতে পারবে। আমি নিশ্চিত যে, মানুষ তাকে অবমূল্যায়ন করবে। সবাই মাঠে রোনালদোর সাফল্যে দৃষ্টি রাখবে এবং জিদান যে কোচ তা ভুলেই যাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৬
আরএম