ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

খেলা

রুমানা-মাবিয়াদের নিয়ে অ্যাকশন এইডের ভিন্নধর্মী আয়োজন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৮
রুমানা-মাবিয়াদের নিয়ে অ্যাকশন এইডের ভিন্নধর্মী আয়োজন ছবি: সংগৃহীত

ছেলে ক্রীড়াবিদদের পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিতে নারী ক্রীড়াবিদদের ভূমিকা কোন অংশেই কম নয়। এইতো সেদিন এদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট বিগ ব্যাশে খেলে এলেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের দুই সদস্য ‍রুমানা আহমেদ ও খাদিজাতুল কুবরা।

কিশোরি ফুটবল দলের মারিয়া মান্ডারের তো তুলনাই নেই। তার নেতৃত্বেই এএফসি অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে হুঙ্কার ছাড়ছে।

ভারোত্তোলনে স্বর্ণকণ্যা মাবিয়া আক্তার সীমান্তের কাছে পাত্তাই পায়নি উপমহাদেশের কেউ। পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজনীন সেই কবেই হিমালয়ের চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছেন।

পরিবার ও সমাজের শত বাধা পেরিয়েও আজ যারা এত অর্জন, এত সুনাম ও সুখ্যাতি দেশকে এনে দিচ্ছেন তারা আসলে তাদের ফেডারেশন থেকে কতটুকু সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন?  আর্থিকভাবেই বা তারা কতটুকু স্বচ্ছল? যাদের হাতে লাল-সবুজের পতাকা বিশ্ব দরবারে পতপত করে উড়ে তাদের আর্থিক নিশ্চয়তা ও সামাজিক মর্যাদা দিতে ফেডারেশনগুলো কতখানি সক্ষম?

এসকল বিষয়কে সামনে রেখেই (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি) সমন্বয়ে সেলিব্রেটিং স্পোর্টস উইমেন শীর্ষক এক ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল অ্যাকশন এইড।

ক্রীড়াবিদদের মধ্যে এসময় উপস্থিত হয়েছিলেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রুমানা আহমেদ, বাংলাদেশ অ-১৫ নারী ফুটবল দলের দলপতি মারিয়া মান্ডা, স্বর্ণকণ্যা মাবিয়া আক্তার সীমান্ত, পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজনীন, শ্যুটার জাকিয়া সুলতানা টুম্পা, অ্যাথলেট শিরিন আক্তার, সাঁতারু সোনিয়া আক্তার, টেবিল টেনিস খেলোয়াড় সোনাম সুলতানা সোমা, বাংলাদেশ জাতীয় নারী বাস্কেটবল দলপতি আসিন মৃধা, গলফার সামাউন আনজুম অরনী এবং ঘোড় ‍সওয়ার তাসমিন আক্তার।

অনুষ্ঠানে দেশের জন্য তাদের অসামান্য কীর্তি তুলে ধরা হয়। এরপর তাদের সম্মাননা দেয়া হয়। তাদের পাশাপাশি দুই নারী ক্রীড়া সংবাদিককেও সম্মাননা দেয় অ্যাকশন এইড।

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া ‍উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, সংসদ সদস্য কেয়া চৌধুরী, অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবিরসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, আইইউবি’র  ভিসি ওমর করিম, কালের কণ্ঠের উপ সম্পাদক মোস্তফা মামুন,  অভিনেতা আফজাল, নারীনেত্রী খুশ কবিরসহ আরও অনেকে।

আলোচকরা বলেন, বস্তুত সরকারি কর্তৃপক্ষ, সংস্থা ও বেসরকারি বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি স্থানীয় সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে যাবে এদেশের নারী ও কিশোরী ক্রীড়াবিদরা।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, ৬ মার্চ, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।