ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তারার ফুল

শিম্পাঞ্জীদের দখলে পৃথিবী!

আফসানা রীপা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৪
শিম্পাঞ্জীদের দখলে পৃথিবী!

এ বছর হলিউডে একের পর এক ব্লকবাষ্টার ছবির বন্যা বইছে। মুক্তির পর পরই প্রতিটি ছবি দখল করে নিয়েছিলো তালিকার এক নম্বর জায়গাটি।

কিছুদিন আগেও তালিকার শীর্ষে ছিলো ‘ট্রান্সফরমারস: এজ অব এক্সটিঙ্কসন’। কিন্তু ছবিটি বেশিদিন সে অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি। চলে গেছে দু’নম্বরে। পারবেই বা কেন? ‘ডন অব দ্য প্লানেট অব দ্য এপস’ তো চলে এসেছে। ইতোমধ্যেই ছবিটি বেশ সাড়া ফেলেছে। আয়ের দিক থেকে এটি এখন তালিকার শীর্ষ স্থানটি দখল করে ফেললো প্রায়।

ছবিটি নির্মাণ করেছেন ম্যাট রিভস। এর আগে ‘ক্লভারফিল্ড’ ও ‘লেট মি ইন’ এর মতো জনপ্রিয় ছবি নির্মাণ করেছিলেন তিনি।

২০১১ সালে মুক্তি পেয়েছিলো ‘রাইজ অব দ্যা প্ল্যানেট এপস’। তারই সিক্যুয়াল হলো এই ‘ডন অব দ্য প্লানেট অব দ্য এপস’। মুক্তির আগেই ছবির ট্রেলার বেশ সাড়া ফেলেছিলো। ট্রেলারের সাফল্য দেখেই ধারণা করা গিয়েছিলো- ছবিটির ভাগ্য সুপ্রসন্ন। এই আশায় ছাই পড়েনি।

১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের ছবিটি গত ১১ জুলাই ৩,৯৬৭ টি থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির প্রথম দু'দিনেই আয় করে ফেলেছে ৩১.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সপ্তাহ জুড়ে আয় করে ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এমন সাড়া পেয়ে টোয়েন্টি ফক্স সেঞ্চুরী তো মহাখুশি! ছবিটির তৃতীয় কিস্তির ঘোষনা দিয়ে ফেলেছেন তারা। জানা গেছে, এর তৃতীয় কিস্তি মুক্তি পাবে ২০১৬ সালে।

‘রাইজ অব দ্যা প্ল্যানেট এপস’ ছবির কাহিনীতে স্থান পেয়েছে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মানুষের বিরুদ্ধে সিজার এবং তার বাহিনীর লড়াই। একদিকে প্রতিরোধ। অন্যদিকে আক্রমণের মধ্যে তৈরি হতে থাকে মানবিকতার গল্প। সিজারের রাগী চোখ, এপ বাহিনীর আক্রমন এবং তাদের জয়Ñ এ নিয়েই গড়াতে থাকে গল্প। এরই মধ্যে সমালোচকরা একে বছরের সেরা পপকর্ন ছবি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

অভিনয়, গল্প ও নির্মাণ সবই সমালোচকদের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। আগের কিস্তির বিশেষ কোনো অভিনেতা অভিনেত্রী এই ছবিতে নেই। তবে রয়েছে এপ-দের বিদ্রোহের প্রধান পান্ডা সিজার চরিত্রটি। ছবিতে সিজার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যান্ডি সারকিস। ২০০১ সালে ‘লর্ড অব দ্য রিংস’ ছবির জনপ্রিয় চরিত্র ‘গোল্লুম’ ছিলেন তিনিই। ভাবছেন, মানুষ হয়ে তিনি কিভাবে শিম্পাঞ্জীর রূপ ধারণ করলেন? এই সময়ে প্রযুক্তির কাছে অসম্ভব বলে কিছুই নেই।

শুধু সারকিস নয়, আরও অনেকেই প্রযুক্তির সাহায্যে শিম্পাঞ্জী হয়েছেন। ছবিটির দৃশ্যধারণে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ এক ধরনের পোশাক। প্রযুক্তির পাল্লায় পড়ে সেই পোশাকই হয়ে গেছে লোমযুক্ত আবরণ। মাথায় ছিলো বিশেষ ধরনের হেলমেট ও মুখে ছিলো ছোট ছোট সাদা দাগ যেগুলোর সংমিশ্রনে ভিজ্যুয়াল এফেক্ট এর মাধ্যমে মানুষ থেকে পুরো পুরি শিম্পাঞ্জীতে রুপান্তর করা হয়েছে।

ছবির বিভিন্ন দৃশ্যের সঙ্গে মিলিয়ে সর্বমোট ১৯ টি মিউজিক কম্পোজ করা হয়েছে। আর সবগুলোই কম্পোজ করেছেন মাইকেল জিয়াসিনো। ১২ আগস্ট আনুষ্ঠানিক ভাবে সনি মাস্টারওয়ার্কস গানগুলি বাজারে ছাড়বে।

বাংলাদেশ সময়; ১৭৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ