ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তারার ফুল

ঈদে সালমানের ‘কিক’

শারমিন রহমান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৪
ঈদে সালমানের ‘কিক’

আজও বাড়িতে সলমন খান সিঙ্গল রুমে থাকেন। ইন্ডাস্ট্রির খানদের মধ্যে একমাত্র তাঁরই নাকি ‘গোল্ডেন হার্ট’।



বিতর্কের মধ্যমণি হয়ে থাকা যেন সলমন খানের দ্বিতীয় স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আগামী শুক্রবার তাঁর নতুন ছবি ‘কিক’ রিলিজের আগে সেই ছবির প্রোমোশন করতে গিয়ে মুম্বইতে পাপারাজ্জি ফোটোগ্রাফারস আর এক স্থানীয় নাইট ক্লাবের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে তিনি আবারও গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়লেন। জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ অভিনীত ‘কিক’-ছবির প্রোমোশনে আপাতত সাময়িক ভাবে পাপারাজ্জিদের নিষিদ্ধ করলেন সলমন খান।

যদিও এ সব বিতর্ক ঝেড়ে ফেলে সলমন বলছেন, “আজকাল ফোটোগ্রাফারদের সর্বত্র অবাধ গতি। ওঁদের হাত থেকে পালানো কঠিন। ফোটোগ্রাফাররা চান আমরা নানা ভঙ্গিমায় ছবি তুলি। যাতে ওঁরা খেয়েপরে বেঁচে থাকতে পারেন। আমরা যে ওঁদের জন্য অস্তিত্ব-রক্ষা করে চলেছি, তা কিন্তু ভুল। যদি ধারণাটা অন্য রকম হয়ে থাকে, তা হলে অবিলম্বে তা বদলানো দরকার... ওঁদের হাতে লম্বা লেন্সের সব ক্যামেরা থাকে যা দিয়ে ওঁরা দূর থেকেও পরিষ্কার ছবি তুলতে পারেন। প্রশ্ন একটাই। কেন অনুষ্ঠান চলাকালীন ওঁরা ঘাড়ের ওপর অমন হুমড়ি খেয়ে পড়েন! কারণ একটাই। ওঁরা খুব উদ্ধত। ওঁরা বিশেষ কোনও শট তোলার সময় একটা অদ্ভুত চাপের পরিবেশ তৈরি করে। সেই সব শট, যেগুলো চড়া দামে বিক্রি করে ওঁরা মুনাফা তোলেন। ”

সলমন কিন্তু নিজের জায়গা থেকে সরেননি। তিনি ফোটোগ্রাফারদের সঙ্গে ভাব করতে চেয়ে কোনও বার্তাই পাঠাননি তাঁদের। এই ঘটনা ঘটানোর কারণ একটাই। সলমন আসলে চান প্রচারমাধ্যমের দৃষ্টিভঙ্গিটা যেন বদলায়। কারণ তিনি জানেন জনমত গড়ে তোলার বিরল ক্ষমতা আছে তাঁর। সলমনের ছবিগুলো যে পরিমাণ ‘রেভিনিউ’ উপার্জন করে, তার থেকে তাঁর জনপ্রিয়তার আন্দাজ সহজেই পাওয়া যায়। গত পাঁচ বছরে ‘দবাং’, ‘দবাং ২’, ‘বডিগার্ড’, ‘রেডি’, ‘এক থা টাইগার’ হাজার কোটিরও বেশি ব্যবসা করেছিল বক্স অফিসে। টিভিতেও সলমনের ছবি সবচেয়ে বেশি ভিউয়ারশিপ পায়। যার ফলে স্টার টিভি নেটওয়ার্ক কার্যত বাধ্য হয় সলমনের আগামী সব ছবির স্যাটেলাইট রাইটস আগেভাগে কিনে রাখতে। এ রকম চুক্তি আগে বড় একটা হতে দেখা যেত না।

বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ বিকাশ মোহন বললেন, “অন্যান্য সুপারস্টারদের থেকে সলমন একেবারেই আলাদা। তিনি হিপোক্রিট নন এবং লোকজনকে ম্যানিপুলেট করার পদ্ধতিটাও তাঁর অজানা। ব্যক্তিগতই হোক বা পেশাদারি সলমনের জীবনটা যেন খোলা বইয়ের মতো। কিন্তু তিনি যে সুপারস্টার ‘সলমন খান’। তাই মাঝেমধ্যেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। ইন্ডাস্ট্রির ‘খান’-দের মধ্যে সলমনের কিন্তু সত্যিই যাকে বলে ‘গোল্ডেন হার্ট’। মিডিয়া যখন যেখানেই তাঁকে নিষিদ্ধ করেছে, তিনি কখনওই তাঁদের সঙ্গে আপসের রাস্তায় হাঁটেননি। এগিয়ে গিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে দেখা যায়নি তাঁকে। অন্য ‘খান’-রা তাঁদের মস্তিষ্ক ব্যবহার করলেও সলমন ভাবেন তাঁর অন্তর দিয়ে। আর আসল তফাতটা সেখানেই। ”  

ফোটোগ্রাফারদের বিরুদ্ধে সলমন যদি তাঁর এই স্ট্যান্ডটা বজায় রাখতে পারেন, আর আরও কয়েক জন সুপারস্টারের সমর্থন যদি তিনি পেয়ে যান, তা হলে কিন্তু সিনেমার রিপোর্টিং আর ছবি কভারেজের ক্ষেত্রে একটা বেশ বড়সড় পরিবর্তন আসতে বাধ্য। ছবি রিলিজের আগে যদি ছবি না তোলা হয়, তা হলে হয়তো সলমনের পাবলিসিটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বলিউডের সামগ্রিক উন্নতির স্বার্থে যদিও সলমন এটুকু আপস করতে রাজি। গোটা ব্যাপারটায় সলমনের একটা নেগেটিভ পাবলিসিটি হলেও এটা কিন্তু সলমনের বড় মনেরই পরিচয়। আর এটাও তো সত্যি ফিল্ম দেখতে যাওয়া আমজনতার মনে সলমনের জন্য খুব বেশি রকম সফ্ট কর্নার থেকেই যায়।

“সলমন খান এক অত্যন্ত উদার মানসিকতার ব্যক্তি। আর ওঁর ফ্যানেরাও সেটা বুঝতে পারেন,” জানালেন সলমনের সহ-অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। গত দু’বছর জ্যাকলিনের অভিনয় জীবন যথেষ্ট কঠিন পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে গিয়েছে। সলমন তাঁকে নিজের ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন। সঠিক পেশাদার, সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞদের কাছে নিয়ে গিয়েছেন জ্যাকলিনকে। এ বিষয়ে সাহায্য পাওয়ার ক্ষেত্রে যদিও জ্যাকলিন একা নন।

সলমনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা তাঁর জীবনের নানান ওঠাপড়ার সাক্ষী। “আমি সলমনের জীবনের সব স্টেজগুলো দেখেছি। তবে আসল পরীক্ষাটা তো তখনই হয় যখন একজন মানুষ সাফল্যের শীর্ষে থাকেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেই সাফল্য অনেকের মাথা ঘুরিয়ে দেয়। সলমন কিন্তু এতটুকুও বদলায়নি। ও অত্যন্ত বিনয়ী। সমাজের নানা ক্ষেত্রে ওর যথেষ্ট অবদান আছে। আর ও সব সময়ই আমজনতার। সলমন এখনও একই রকম আছে। যদিও ওকে নিয়ে মানুষের ধারণা সময়ে সময়ে বদলেছে,” বলেন নাদিয়াদওয়ালা।

সলমন খান ক্যাম্পের সদস্য হওয়ার সবচেয়ে বড় লাভের অংশীদার বলা যায় ক্যাটরিনা কইফকে। সলমনের প্রাক্তন বান্ধবী, এনআরআই ক্যাটরিনা আজ বলিউডে সুপারস্টার। ক্যাটরিনা তাঁর পেশাদার জীবনে সাফল্যের অনেকটা ক্রেডিটই সব সময় দেন সলমন খানকে। ওঁরা দু’জন যখন সম্পর্কে ছিলেন, তখন সলমন অনেক সময়ই ছবির পরিচালকদের প্রভাবিত করতেন ক্যাটরিনাকে ছবিতে সুযোগ দেওয়ার জন্য। ক্যাটরিনা যে বড় পর্দায় এমন জাদু করবেন, তা বোধহয় সলমনেরও ধারণার বাইরে ছিল। নতুন প্রতিভাদের মেন্টর করা সলমনের একটা খুব পছন্দের পাসটাইম বলা যায়।

৬-৭ বছর আগে একবার শোনাও গিয়েছিল সলমন খান একগুচ্ছ স্টারেদের ছেলেমেয়েদের মেন্টর করছেন। যদিও সলমন সে বিষয়ে কোনও প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি কখনও। আজ সেই ব্যাচে রয়েছেন অর্জুন কপূর, বরুণ ধবন, সোনাক্ষী সিংহ বা টাইগার শ্রফ-রা। সলমন তাঁদের ফিটনেস আর বিভিন্ন হেলথ্ টিপস নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। সঠিক প্রশিক্ষক আর সেরা স্টাইলিস্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন। এঁরা প্রত্যেকেই নিজের নিজের ছবিতে বেশ ভাল করেছেন। অর্জুন, সোনাক্ষীরা যদিও নিজগুণেই তারকা। “আমি সলমনকে অল দ্য বেস্ট বলব। উনি আমাকে আমার কেরিয়ারে ঠিকঠাক রাস্তার সন্ধান দিয়েছেন। এই কারণে আমি ধন্যবাদ জানাই তাঁকে,” বললেন অর্জুন কপূর। সোনাক্ষীও সব সময় খোলাখুলি কৃতজ্ঞতা জানান সলমনকে। ‘দবাং’য়ে তাঁর প্রথম চেকটা সোনাক্ষী সলমনের ‘বিইং হিউম্যান’ সংস্থায় ডোনেট করেছিলেন। সলমন কিন্তু তাঁর এই মেন্টরশিপের ব্যাপারটা কখনওই সর্বসমক্ষে আসতে দিতে চান না। এটাই তাঁর নর্ম্যাল থাকার পদ্ধতি। এটাই তাঁর বিনয়।

সুপারস্টার হওয়ার কারণে পরিবার-বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও সলমনের সম্পর্ক এতটুকুও বদলায়নি। বাড়িতে এখনও তিনি এক সিঙ্গল রুম লফ্টে থাকেন। সেই ঘরে সাধারণ কিছু আসবাব আর টিভি সেট ছাড়া কিছুই নেই। টিভিতে ‘দশ কা দম’ শো-টা হোস্ট করার সময় সলমন বুঝতে পেরেছিলেন রাস্তায় নেমে লোকজনের সঙ্গে মিশে যাওয়ার অনেক সুবিধে রয়েছে। যখন কারও জন্য সলমন কিছু করতে চান, তিনি টাকাপয়সা ডোনেট করেন বা তাঁর সংস্থা ‘বিইং হিউম্যান’-এর হয়ে কাজ করেন পুরোদমে। তাঁর নিজের কথাতেই জানা গিয়েছে তিনি কঠোর পরিশ্রম করছেন যাতে তাঁর এই সংস্থা ক্রমশ বহরে বাড়ে, একটা জায়গা তৈরি করে নিজের। আর সেই কাজটা তিনি নিয়মিত ভাবেই করেন।

‘কিক’ যে এই ঈদের মরসুমে থিয়েটারগুলোয় ভাল ব্যবসা করবে, তা বলাই বাহুল্য। সলমনের এই সাফল্য হয়তো আরও কিছু হেডলাইনের জন্ম দেবে। কিন্তু সলমন খান, যিনি একজন অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী সুপারস্টার, যিনি কোনও অন্যায় পরিস্থিতির সঙ্গে আপস করতে রাজি নন, তাঁর সাফল্যের কাহিনি ক্রমশ এগোতেই থাকবে।
সবকিছুর উর্ধ্বে গিয়ে তিনি যে সত্যিই ‘সুপারস্টার’।

ট্রেলার মুক্তির ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই ইউটিউবে ঝড় তুলেছিলেন সালমান খান। ঈদে মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় আছে তার অভিনীত ছবি “কিক”। ছবিটির ট্রেলার মাত্র ২৪ ঘণ্টায় দেখা হয়েছিল ২১.৫ মিলিয়ন বার। বোঝাই যাচ্ছে ‘সালমান খান আর ঈদ’ এই জুটির জন্য দর্শক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। গত কয়েক বছর ধরেই সালমান খান ঈদ কে লক্ষ করে ছবি মুক্তি দিয়ে আসছেন। তার এই প্রক্রিয়া সফল ও হয়েছে। কারন ওয়ান্টেড, দাবাং, রেডি, বডিগার্ড, এক থা টাইগার, দাবাং ২ ছবিগুলো সালমান খান বেশ দিনক্ষণ দেখেই মুক্তি দিয়েছিলেন। ফলাফলও আশানুরূপ। তাই এবারও তার ব্যতিক্রম হবেনা বলেই আশা করছেন কিক ছবিটির সাথে সংযুক্তরা।  

কিক ছবি দিয়েই পরিচালকের কাতারে পা রাখছেন বলিউডের শক্তিশালী প্রযোজক সাজিদ নাদিওয়ালা। সালমান খানের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বহুদিনের। কিক এর আগে সাজিদ প্রযোজিত  “মুঝসে শাদী কারোগে” “হার দিল যো পেয়ার কারেগা”, জুরুয়া, জীত ছবিতে অভিনয় করেছেন সালমান খান। দিনে দিনে তাদের বন্ধুত্বটা তাই আরেকটু বেশি খাঁটি হয়েছে। সে কারনেই হয়তো নিজের পরিচালিত প্রথম ছবিতে নায়ক হিসেবে সালমান খানকেই প্রথম পছন্দে রেখেছেন তিনি।
কিক ছবিতে দেভি নামের চরিত্রে অভিনয় করছেন সালমান খান । তার বিপরীতে আছে শ্রীলঙ্কান সুন্দরী জ্যাকলিন ফারনান্দেজ। সাইক্রিয়াটিস্টের চরিত্রে অভিনয় করা জেক্লিন ছবিটি নিয়ে অনেক বেশি উচ্ছসিত। দীপিকা, প্রিয়াঙ্কা, আনুশকা, ইলিয়ানার মতো সাম্প্রতিক সময়ের নামীদামী তারকাদের পিছনে ফেলেই নিজের জায়গাটা তৈরি করতে হয়েছে তাকে। তাই ছবিতে নিজের সর্বচ্চ দিয়েই চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলেছে সে। সালমান খানের ছবিগুলোতে সাধারনত নায়িকার চরিত্র খুব বেশি শক্তিশালী হয়না। জ্যাকলিন কে সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন করাতে সে হাসিমুখে উত্তর দিয়েছে “ সালমান সুপার স্টার। তাকে দেখতেই দর্শক হলে যায়। তার মানে এই না যে আমি ছবির জন্য গুরুত্বহীন। সালমানের সাথে কাজ করতে পারাটা সৌভাগ্যের। তাই নিজের জায়গা নিয়ে আমার খুব বেশি ভাবনা নেই। পুরো ছবিতেই আমাকে সালমানের পাশে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে। ” 

এর আগে জয় হো ছবি নিয়ে অনেক প্রত্যাশা থাকলেও বক্স অফিসে খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি ছবিটি। তাই এই ছবি দিয়ে নিজের রেকর্ড গড়ার ধারাবাহিকতা চলমান রাখতে চান সালমান খান। বলিউডের ছবি সমালোচক তরুন আদর্শের মতে মুক্তির প্রথন সপ্তাহেই ছবিটির আয় ৩০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যাবে। হয়তো এ কথাকে সত্যি করতেই নিজের গতানুগতিক চরিত্রকে ছাপিয়ে বেশ কিছু রোমান্টিক দৃশ্যে অভিনয় করেছেন তিনি। অনেকেই বলছেন কিক ছবিতে কিস করতে দেখা যাবে সালমান খান কে। যদিও এর সত্যতা ছবি মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত বের করা যাবেনা। এ বছর একই সময়ে মুক্তির অপেক্ষায় ছিল আমির খানের ছবি ‘পিকে’। কিন্তু আমির বন্ধুত্বের প্রমান রাখতে নিজের ছবির প্রচারনার সময় পিছিয়েছেন।

এ ছবিতেই সালমান খান প্রথমবারের মত গান গাইলেন। ৩ দিনের রেকর্ডিং এ গাওয়া হ্যাংওভার শিরোনামে গানটি ইতোমধ্যেই বাজছে এখানে সেখানে। এই গানে তার সাথে অভিনয় করেছেন রকস্টার খ্যাত নায়িকা নার্গিস ফাখরি। ছবিটি তামিল ছবি কিক এর রিমেক। তবে গল্পে সাজিদ নাদিওয়ালা ও চেতান ভাগাত অনেক পরিবর্তন এনেছেন। এই ছবিতে সালমান খান জ্যাকলিন ফারনান্দেজ ছাড়াও অভিনয় করেছেন রান্দীপ হুদা এবং খলনায়ক চরিত্রে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিক। গল্পের ভিন্নতা , নতুন জুটি, সাজিদ নাদিওয়ালার পরিচালনা ও সালমান খানের ঈদ কৌশল সব মিলিয়ে দর্শকরা ভিন্ন ধারার একটি ছবি উপহার পাবেন বলেই আশা করছেন দর্শক।

বক্স অফিসের টাইগার
• সলমনের শেষ ছ’টি ছবির প্রত্যেকটি একশো কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করেছে।
• টিভিতেও তাঁর ছবির টিআরপি থাকে তুঙ্গে। স্টার টিভি তাঁর সাম্প্রতিক ছবি এবং আগামী ছবিগুলোর স্যাটেলাইট রাইট কিনে বিরল চুক্তির দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।
• কালার্স টিভিতে সলমন চার পর্বে ‘বিগ বস’ করেছেন। বাজেটের দিক থেকে তাঁর এই শো ভারতীয় টেলিভিশনের বৃহত্তম রিয়েলিটি শো। জনপ্রিয়তার পরিমাপে সব চেয়ে বেশি দর্শকপ্রাপ্ত, সব চেয়ে বেশি আলোচিত রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’।
• সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটে তাঁকে অনুসরণ করেন আড়াই কোটিরও বেশি অনুরাগী।

বাংলাদেশ সময় : ২২২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ