ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তারার ফুল

মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের কাছে একডজন প্রশ্ন

আমাদের চলচ্চিত্রের সমালোচনা হয় উদ্দেশ্যমূলক

জনি হক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫
আমাদের চলচ্চিত্রের সমালোচনা হয় উদ্দেশ্যমূলক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ/ ছবি:নূর /বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চলছে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। এ উপলক্ষে বাংলানিউজের জন্য মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের বানানো ‘বাংলাদেশ’ গানের ভিডিও সাড়া ফেলেছে।

ইউটিউবে এরই মধ্যে এটি দুই লাখবারেরও বেশি দেখা হয়েছে।  

 

রাজের নির্মাতা হওয়ার সিঁড়িটা গড়ে দিয়েছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তার সহকারী হিসেবে কাজ করতে গিয়েই শেখার কাজটা হয়েছে। ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি’ দিয়ে শুরু। এরপর অনেক ধারাবাহিক নাটক ও টেলিছবি বানিয়ে হাত পাকিয়েছেন তিনি। চলচ্চিত্রেও রেখেছেন মেধার স্বাক্ষর। ‘প্রজাপতি’ ও ‘তারকাটা’ ছবি দুটির সুবাদে নির্মাতা হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছেন রাজ। মাঝে বানিয়েছেন ‘ছায়া-ছবি’। এটি এখনও মুক্তি পায়নি। গত সপ্তাহে নতুন আরেকটি ছবি পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বাংলানিউজের কার্যালয়ে এসে তারার ফুলের একডজন প্রশ্নের উত্তর দিলেন রাজ।  

বাংলানিউজ : ‘বাংলাদেশ’ গানটি নিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ :  খুবই ভালো। বসুন্ধরা সিটির টেলিভিশনে গানটির প্রোমো দেখে পরিচিতজনরা ফোন করেছিলেন। টিভিতে প্রচারের পরও অনেক সাড়া পেয়েছি। ফেসবুকে অনেকে জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে এবার যতো ভিডিও হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে ভালো। বাংলানিউজকে ধন্যবাদ আমাকে এটি নির্মাণের সুযোগ দেওয়ার জন্য।  আরফিন রুমিকেও ধন্যবাদ এর সুর-সংগীত করার পাশাপাশি গাওয়ার জন্য। কর্নিয়াও ভালো গেয়েছেন।  

বাংলানিউজ : ‘অফ স্ক্রিন’ চলছে, এর মধ্যে ‘দোস্ত দুশমন’ও শুরু হলো...

রাজ : হ্যাঁ। একদল তরুণ-তরুণীর গল্প দেখাচ্ছি এখানে। নিজের মতো করে জীবনকে উপভোগের ইচ্ছা তাদের মধ্যে। সহপাঠী সম্পর্কের গণ্ডি ছাড়িয়ে তারা হয়ে ওঠে বন্ধু কিংবা তারও বেশি কিছু। কিন্তু একসময় তারা একে অপরের দুশমন হয়ে ওঠে। সেজন্যই এই গল্পের নাম ‘দোস্ত দুশমন’। বন্ধুত্ব, শত্রুতা, আনন্দ-বেদনার পাশাপাশি ফেসবুক, হোয়াটসআপ, বাইবার, টুইটার উন্মাদনাও তুলে ধরেছি মাছরাঙা টেলিভিশনে চলমান এ নাটকে। ১ মার্চ থেকে এর তৃতীয় ধাপের দৃশ্যধারণ হবে। এটি লিখেছি আমি নিজেই। আর দেশ টিভিতে চলমান ‘অফ স্ক্রিন’ নিয়েও ভালো সাড়া পাচ্ছি। এটি লিখেছেন দাউদ হোসাইন রনি। তার গল্পভাবনা আমার দারুণ লেগেছে। এ দেশের শীর্ষ নায়কের প্রতি মানুষের কৌতূহল ও প্রতারকদের সে সুযোগ নেওয়ার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এতে।

বাংলানিউজ : হরতাল-অবরোধ কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রাঙ্গনে?

রাজ :  অনেক প্রভাব পড়ছে। হরতাল-অবরোধে শিল্পীরা যাতায়াতে দুর্বোগে পড়ছেন। রাস্তায় বের হলেই আতঙ্ক কাজ করে। আতঙ্কে অনেকে কাজও করতে চান না। বের হলেও অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে জীবন্ত লাশ হয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে! এ কারণে শিডিউল পেতে ও মেলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। সিনেমা হলেও দর্শক কমেছে। এর অবসান হওয়া জরুরি।

বাংলানিউজ : ‘সম্রাট’ নামে একটি ছবি পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন।

রাজ : এটা পুরোপুরি অ্যাকশন ধাঁচের ছবি। এর আগে মারধরে ভরপুর ছবি তৈরি করিনি। তাই কাজটা আমার কাছে চ্যালেঞ্জ। এরই মধ্যে শিরোনাম-গান তৈরি হয়ে গেছে। আগামী সপ্তাহে গানটির দৃশ্যধারণ করবো। তার আগেই সম্রাট চরিত্রে কে অভিনয় করবেন তা জানানো হবে। প্রচারণার অংশ হিসেবে মূল দৃশ্যধারণ শুরুর আগেই ইউটিউবে ভিডিওটি ছাড়া হবে।  

বাংলানিউজ : চলচ্চিত্রের ব্যবসায়িক সাফল্যের হার দিনে দিনে কমছে। ১০০টি সিনেমা হলে ছবি মুক্তি দিয়েও প্রযোজকরা লাভের মুখ দেখছেন না।  

রাজ : কীভাবে দেখবেন? ধরা যাক ১০০টি সিনেমা হল থেকে ১ কোটি টাকা টেবিল কালেকশন হলো। এর মধ্য থেকে পরিবেশনার খরচ ১২%, বুকিং এজেন্ট ১০% আর প্রতিটি সিনেমা হলে প্রজেকশন ফি কাটা পড়বে ১২ হাজার টাকা। অর্থাৎ ১০০টি হলের জন্য ১২%, প্রতিটি  সিনেমা হলে প্রতিনিধির পেছনে ৫০০ টাকা, প্রতিটি সিনেমা হলে ব্যানারের জন্য ১৫ লাখ টাকা, পোস্টার প্রচারণায় আট লাখ টাকা। এ ছাড়া প্রতি টিকিট থেকে ৩ টাকা কর্তন যার ১.৫ টাকা প্রযোজকের কাছ থেকে কাটা যায়। তাহলে ফলটা কী দাঁড়ালো? প্রযোজক কতই বা পাচ্ছেন? এভাবে চললে ভালো ছবি আর ভালো বাজেট থাকবে কীভাবে? একজন প্রযোজকের লোকসান মানে একজন পরিচালকের আরেকটা ছবি বানানোর সুযোগ হারানো। আমাদের দেশের ভালো-খারাপ সব ছবি যদি আমরা সিনেমা হলে গিয়ে দেখতাম তাহলে প্রযোজকের লাভ হতো। আর লাভ হলে প্রযোজক আপনাআপনি পরের ছবির জন্য বাজেট বাড়াতেন। যেখানে ব্যবসা হবে প্রযোজকরা সেখানেই বিনিয়োগ করবেন, এটাই তো স্বাভাবিক।

বাংলানিউজ : আমাদের দেশে ছবির বাজেট কতো হওয়া উচিত?

রাজ : আমার দৃষ্টিভঙ্গি বলে বাংলাদেশে দুটি বাজেটের ছবি হওয়া দরকার। হয় ৮০ লাখ টাকা, নয়তো ২ কোটি টাকা। অনেকে মন্তব্য করতে পারেন, ৮০ লাখ টাকায় ছবি হয় না। এটা সত্যিও। কিন্তু বাজার বাস্তবতার কথা চিন্তা করলে ৮০ লাখ টাকার মধ্যে ছবি নির্মাণ করলে লোকসানের আশঙ্কা থাকে কম। আর বিশ্বের সব দেশেই বড় বাজেটের ছবি হয়। সে ক্ষেত্রে ২ কোটি টাকা দিয়ে ছবি বানানো যেতে পারে এ দেশে। বিগ কাস্টিং, বিগ ক্যানভাস, বিশাল অ্যারেঞ্জমেন্ট থাকতে হয় এসব ছবিতে। তাই টাকা উঠে আসার সম্ভাবনাও তৈরি হয়। বড় তারকা না নিয়ে ছবি নির্মাণে ১ কোটি টাকা খরচ করে ফেললে ভরাডুবির আশঙ্কাই থাকে বেশি।  

বাংলানিউজ : বাজেট কী একটা ছবির গুণগত মানে ভূমিকা রাখতে পারে?

রাজ :
কিছুটা তো অবশ্যই পড়ে। তবে আধুনিক নির্মাণের মেধা না থাকলে বাজেট দিলেও লাভ হয় না। কিছুদিন আগে ওপার বাংলার পরিচালকের বানানো ‘রোমিও বনাম জুলিয়েট’ বাংলাদেশের সিনেমা হলে দর্শকরা যেভাবে দেখেছে, এভাবে কি আমাদের দেশের ছবি দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে? কারণ ‘রোমিও বনাম জুলিয়েট’-এর নির্মাণ, লোকেশন, গান, অভিনয়, গল্প, কালার, সাউন্ড ডিজাইন; সবই ভালো। কিন্তু এ-ও জানা দরকার ‘রোমিও বনাম জুলিয়েট’-এর বাজেটের সঙ্গে আমাদের দেশের ছবিগুলোর গড় বাজেটের বিস্তর ফারাক আছে।  

বাংলানিউজ : হুট করেই ওপার বাংলার ছবি আমাদের পেরিয়ে উপরে উঠে গেলো কীভাবে? 

রাজ : বাজেট, পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা আর ভালো কাজের সদিচ্ছাই তাদেরকে সাফল্য এনে দিয়েছে। রঙ, শব্দ, শুটিং লোকেশন, গান, নাচ; সবদিক দিয়েই এগিয়েছে তারা। এই বাকবদলটা এসেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গাঙ্গুলী, কিউ'র মতো কয়েকজন নির্মাতার হাত ধরে। বাণিজ্যিক ছবিতেও পিছিয়ে থাকেনি ওপার বাংলা। তাদের সুবিধা ছিলো, অন্যদের সমালোচনার তীর এসে লাগেনি। আমাদের এখানে যারা ভালো কাজের চেষ্টা করছেন তাদেরকে অনুপ্রাণিত করা উচিত। ঠিকঠাক বাজেট আর মৌলিক গল্প পেলে ওপারের চেয়ে এখানেও ভালো ছবি হতে পারে। শুধু কয়েকজন নকল চিত্রনাট্যকারের কাজ ছাড়া কিছুই ফেলে দেওয়ার মতো নয় আমাদের।  

বাংলানিউজ : সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এখন হরহামেশা নেতিবাচক মন্তব্য করা হচ্ছে ছবির বিরুদ্ধে। এটা কি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ক্ষতি করে?

রাজ :  অবশ্যই ক্ষতি করে। আমি সমালোচনার বিপক্ষে নই। কিন্তু সেটা হতে হবে গঠনমূলক। কিন্তু আমাদের দেশে চলচ্চিত্রের সমালোচনা হয় উদ্দেশ্যমূলক। পাঠকদেরকেই এ ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। গীতিকার-সুরকাররা উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্য করলে বুঝতে হবে তার লেখা গান ছবিটিতে না নেওয়াই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমালোচক যদি নাট্যকার হন তাহলে বুঝে নিতে হবে তার চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ না করায় মন্তব্যটা উদ্দেশ্যমূলক হয়েছে। ফেসবুক কিংবা টুইটারে সমালোচনা হতেই পারে, কিন্তু গত কয়েক বছরে আমরা যারা টেলিভিশন অঙ্গন থেকে গিয়ে ছবি বানাচ্ছি, তাদের কাজই শুধু পর্যালোচনা করে সমালোচিত করা হয়। এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা শুধু ছবির সমালোচনা করতেই ওস্তাদ। তা-ও যদি সিনেমা হলে গিয়ে নিয়মিত ছবি দেখে গঠনমূলক সমালোচনা করতাম সমস্যা ছিলো না। এসব অযাচিত আর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সমালোচনার মাধ্যমে অনেক ভালো ছবিকে খারাপ বানিয়ে দেওয়া হয়, আবার অনেক খারাপ ছবিকে সবচেয়ে ভালো ছবি হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। তাহলে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন হবে কীভাবে? 

বাংলানিউজ : অন্যান্য দেশের মতো এ দেশে অভিনয়শিল্পীরা কি অভিনয় করা ছাড়া নিজেদের ছবির সাফল্যের জন্য খাটেন?

রাজ : উত্তরটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হবে না। ছবি ফ্লপ হলে সবাই বলে বেড়ায় পরিচালকের দোষ, প্রযোজকের দোষ। কিন্তু ছবি হিট হলে নায়ক বলেন- আমার জন্য হিট হয়েছে। নায়িকা বলেন, আমার জন্য হিট হয়েছে। সত্যি কথাটা হলো, কোনো ছবির কাজ শেষ হলে আমাদের দেশের নায়ক-নায়িকারা নিজেদের ওই ছবিটার কী অবস্থা সে সম্পর্কে খোঁজ রাখেন না। কিন্তু প্রতিবেশী দেশের তারকারা শুটিং শেষের পর ছবির মুক্তির প্রাক্কালে এক-দেড় মাস প্রচারণায় অংশ নেন হাসিমুখে। ছবি হিট হলে নায়ক-নায়িকা আরও ছবি পেয়ে থাকেন, তাই প্রচারণায় নির্মাতার চেয়েও তাদেরকে বেশি আন্তরিক হওয়া দরকার।  

 

বাংলানিউজ : চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে সরকার কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে?

রাজ : অনেক পদক্ষেপ নিতে পারে। এফডিসিকে ঢালাওভাবে সাজানো যেতে পারে। অন্যান্য রাষ্ট্রের সর্বো্চ পর্যায়ের ব্যক্তিত্বরা বিনোদন অঙ্গনের প্রথম সারির শিল্পীদেরকে নিজের প্রচারণায় কাজে লাগান, শিল্পীদের পাশেও দাঁড়ান। বারাক ওবামার সঙ্গে প্রায়ই হলিউড তারকাদেরকে দেখি আমরা, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শিল্পীদেরকেই তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করেছেন। আমাদের এখানে সেই চিত্রটা কম দেখা যায়। যদিও কিছুদিন আগে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার গান পরিবেশনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করেছিলেন। এরকম ঘটনা আমাদের বিনোদন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য ইতিবাচক। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের এমন একজনের সাড়া আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের বাংলা ছবির শিল্পীদের যেভাবে আপন করে নিয়েছেন, তেমনি আমাদের প্রধানমন্ত্রীও এ দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে শিল্পী ও নির্মাতাদের কাছে ডেকে নেবেন এবং প্রবীণ শিল্পীদের প্রতি সহমর্মিতা অব্যাহত রাখবেন, এই আশা আমরা এখন করতেই পারি।  

বাংলানিউজ : হিন্দি ছবির পক্ষে-বিপক্ষে মতামত বলুন।

রাজ : আমি হিন্দি ছবি আমদানির বিপক্ষে না। কিন্তু নীতিমালা ঠিক করে আমদানি করার পক্ষে। আমদানি করলেও টাকা যেন বাংলাদেশেই থাকে সে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। তিন মাস পর-পর একটা করে হিন্দি ছবি মুক্তি দেওয়া যেতে পারে। মোদ্দা কথা, আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের ক্ষতি করে হিন্দি ছবি আমদানি করে সিনেমা হল বাঁচানোর পক্ষপাতী আমি নই। কিছুদিন ধরে ওপার বাংলার শিল্পীদের অনেকেই এ দেশের ছবির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। ওপার বাংলার প্রযোজকরা এপারে লগ্নি করতে চান। তারা জানেন, বাংলাদেশের দর্শকরা ছবিপাগল। সত্যিই তাই। দিনের শেষে দর্শকরাই সফলতার মূল চাবিকাঠি হয়ে ওঠেন। তাদের জন্যই আমরা সম্ভাবনা আর বুকভরা আশা নিয়ে বেঁচে থাকি। এই সম্ভাবনার হাত ধরেই আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পে হোক নতুন দিনের গল্প।

 

বাংলাদেশ সময় : ১৬১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ