ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তারার ফুল

ক্রিস্টোফার লি’র টুকরো রূপালি জীবন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৫
ক্রিস্টোফার লি’র টুকরো রূপালি জীবন

গভীর কিন্তু মসৃণ কণ্ঠ আর ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার সুবাদে সহজেই আলাদা হতে পেরেছিলেন ক্রিস্টোফার লি। পঞ্চাশ ও সত্তর দশকে তার খ্যাতি ছিলো আকাশছোঁয়া।

বুড়ো হওয়ার পরও মেধার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে হলিউডের নির্মাতাদের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকেই ছিলো তার স্থান। সর্বকালের সেরা ব্যবসাসফল কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে নতুন প্রজন্মের মধ্যেও ভক্ত তৈরি করতে সক্ষম হন তিনি।

লন্ডনের চেলসি অ্যান্ড ওয়েস্টমিনস্টার হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন লি। আইএমডিবি ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘অ্যাঞ্জেলস ইন নটিং হিল’ ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া ‘দ্য ইলেভেন্থ’ নামের একটি ছবিতে তার কাজ করার কথা ছিলো।

পুরো নাম ক্রিস্টোফার ফ্রাঙ্ক ক্যারানডিনি লি। জন্মেছিলেন ১৯২২ সালের ২৭ মে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনের রয়েল এয়ার ফোর্সে চাকরির পর এক আত্মীয়ের পরামর্শে অভিনয়ে যুক্ত হন। ১৯৪৭ সালে অভিষেকের পর কাজ করেছেন ২০০ ছবিতে। এর মধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় ‘ড্রাকুলা’ সিরিজের ছবিগুলো। অভিনয় ও দাতব্যসেবার জন্য ২০০৯ সালে নাইট উপাধি আর ২০১১ সালে বাফটা ফেলোশিপ পান তিনি।

লি’র দুরসম্পর্কের আত্মীয় ছিলেন জেমস বন্ড চরিত্রের স্রষ্টা আয়ান ফ্লেমিং। প্রথম বন্ড ছবি ‘ড. নো’তে লি’কে অভিনয় করাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরে তা চলে যায় জোসেফ ওয়াইজম্যানের কাছে। তবে ১৯৭৪ সালের বন্ড ছবি ‘দ্য ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন গান’-এ খল চরিত্রে কাজ করেছেন লি।

সুরের প্রতি বরাবরই আগ্রহ ছিলো লি’র। ১৯৯০ সালে ব্রডওয়ের কয়েকটি গান নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ সংগীতাঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। উপভোগ করেছেন হেভিমেটাল ক্যারিয়ারও। ২০১০ সালে তার অ্যালবাম ‘শার্লেম্যাগনে: বাই দ্য সোর্ড অ্যান্ড দ্য ক্রস’ মেটাল হ্যামার ম্যাগাজিনের কাছ থেকে স্পিরিট অব মেটাল অ্যাওয়ার্ড জেতে। তার সিঙ্গেল ‘জিঙ্গেল হিল’ ২০১৩ সালে বিলবোর্ড হট হান্ড্রেড চার্টের ২২ নম্বরে ছিলো। এর সুবাদে সবচেয়ে বেশি বয়সী শিল্পী হিসেবে ওই চার্টে জায়গা নেওয়ার নজির গড়েন তিনি। ৯২তম জন্মদিনে একটি হেভিমেটাল অ্যালবাম প্রকাশ করেন লি।

ক্রিস্টোফার লি’র স্মরণীয় ছবি
* ড্রাকুলা (১৯৫৮)
* দ্য হাউন্ড অব দ্য ব্যাস্কারভিলেস (১৯৫৯)
* দ্য ফেস অব ফু মাঞ্চু (১৯৬৫)
* ড্রাকুলা: প্রিন্স অব ডার্কনেস (১৯৬৬)
* রাসপুতিন: দ্য ম্যাড মঙ্ক (১৯৬৬)
* ড্রাকুলা হ্যাজ রাইজেন ফ্রম দ্য গ্রেভ (১৯৬৮)
* কাউন্ট ড্রাকুলা (১৯৭০)
* টেস্ট দ্য ব্লাড অব ড্রাকুলা (১৯৭০)
* স্কেয়ার অব ড্রাকুলা (১৯৭০)
* ড্রাকুলা এ.ডি. ১৯৭২ (১৯৭২)
* দ্য উইকার ম্যান (১৯৭৩)
* নাথিং বাট দ্য নাইট (১৯৭৩)
* দ্য স্যাটানিক রাইটস অব ড্রাকুলা (১৯৭৩)
* দ্য থ্রি মাস্কিটিয়ার্স (১৯৭৩)
* দ্য ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন গান (১৯৭৪)
* টু দ্য ডেভিল অ্যা ডটার (১৯৭৬)
* ড্রাকুলা অ্যান্ড সান (১৯৭৬)
* নাইনটিন ফোর্টি ওয়ান (১৯৭৯)
* গ্রেমলিনস টু: দ্য নিউ ব্যাচ (১৯৯০)
* জিন্নাহ (১৯৯৭)
* স্লিপি হোলো (১৯৯৯)
* স্টার ওয়ারস: এপিসোড টু-অ্যাটাক অব দ্য ক্লোনস (২০০২)
* স্টার ওয়ারস: এপিসোড থ্রি-রিভেঞ্জ অব দ্য সিথ (২০০৫)
* লর্ড অব দ্য রিংস : দ্য ফেলোশিপ অব দ্য রিং (২০০১)
* লর্ড অব দ্য রিংস : দ্য টু টাওয়ার্স (২০০২)
* লর্ড অব দ্য রিংস : দ্য রিটার্ন অব দ্য কিং (২০০৩)
* চার্লি অ্যান্ড দ্য চকোলেট ফ্যাক্টরি (২০০৫)
* হুগো (২০১১)
* দ্য রেসিডেন্ট (২০১১)
* দ্য হবিট: অ্যান আনএক্সপেক্টেড জার্নি (২০১২)
* ডার্ক শ্যাডোস (২০১২)
* দ্য হবিট: দ্য ব্যাটেল অব দ্য ফাইভ আর্মিস (২০১৪)

বাংলাদেশ সময় ১৯২৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ