ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তারার ফুল

বন্ড ইজ ব্যাক!

জনি হক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৫
বন্ড ইজ ব্যাক!

মদ, নারী, জুয়া আর মারামারি! এই চারটিতে অভ্যস্ত পুরুষকে কেইবা পছন্দ করবে! কিন্তু একজন আছেন যিনি এসব অবলীলায় করেও দর্শকের হৃদয় ধরে রেখেছেন। ‘বন্ড, জেমস বন্ড’! এই একটি সংলাপেই তাকে চেনা যায়।

  আবার দুনিয়া কাঁপতে শুরু করেছে এই বিখ্যাত গোয়েন্দার নামে!

জেমস বন্ড মানেই উন্মাদনা। এই সিরিজের নতুন ছবির জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন কোটি কোটি দর্শক। যুক্তরাজ্যে যারা আছেন, তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটেছে গত ২৬ অক্টোবর। ওইদিন সেখানে মুক্তি পেয়েছে আয়ান ফ্লেমিংয়ের কালজয়ী চরিত্র জেমস বন্ড নিয়ে তৈরি হওয়া ২৪তম ছবি ‘স্পেক্টর’। একই দিন লন্ডনের রয়েল অ্যালবার্ট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার। এখানে ছিলেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স উইলিয়াম, প্রিন্স হ্যারি এবং ডাচেস অব ক্যামব্রিজ কেট মিডেলটন। এটাই এ সিরিজের প্রথম কোনো ছবি যার প্রিমিয়ার ও মুক্তি ঘটলো একই দিন।

এসেই বক্স অফিসে সাফল্যের অ্যাকশন শুরু করেছে বন্ড! লাভের অঙ্ক বলছে, জিরো জিরো সেভেন ফিরেছে সাড়ম্বরে। বক্স অফিসে সাফল্যের ঝড় তুলে। প্রথম সপ্তাহে আয়ের রেকর্ডও ভেঙে ফেলেছে ‘স্পেক্টর’। ২০০৪ সালে ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অব আজকাবান’ প্রথম সাতদিনে ঘরে তুলেছিলো ২ কোটি ৩৮ লাখ পাউন্ড। ৪ কোটি ১০ লাখ পাউন্ডেরও বেশি মুনাফা এনে সে রেকর্ড ভেঙে ছত্রাখান করে দিয়েছে ‘স্পেক্টর’। শুধু ব্রিটেন নয়, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, ডেনমার্ক বা ফিনল্যান্ড- ইউরোপের এ ক’টি দেশ মিলিয়ে এরই মধ্যে ছবিটির মুনাফা হয়ে গেছে ৫ কোটি ২১ লাখ পাউন্ড। তাই উচ্ছ্বসিত প্রযোজক জুটি মাইকেল জে. উইলসন ও বারবারা ব্রকোলি।

বন্ডের ইতিহাসে এ পর্যন্ত সেরা আয় করেছে সিরিজের আগের ছবি  ‘স্কাইফল’। সারাবিশ্বে ১১১ কোটি ডলারের ব্যবসা করে এটি। এমন কাশছোঁয়া সাফল্যের পর স্বাভাবিকভাবেই ‘স্পেক্টর’ নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে। ব্যবসার দিক দিয়ে আগের ছবিকে নতুনটি ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের মতো আজ শুক্রবার (৬ নভেম্বর) একই দিনে ঢাকায় মুক্তি পেলো ‘স্পেক্টর’। রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে এটি দেখা যাচ্ছে। বন্ড সিরিজের সর্বশেষ ছবি ‘স্কাইফল’ও সারাবিশ্বের সঙ্গে একই দিনে মুক্তি দিয়ে দর্শকদের চমকে দিয়েছিলেন তারা। ঢাকায় মুক্তি উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জমকালো প্রিমিয়ার শোর আয়োজন করা হয় এখানে।

স্টার সিনেপ্লেক্সে এ ছবি মুক্তির ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করছে মোবাইল প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। তাদের স্টার গ্রাহকরা একটি টিকেট কিনলে আরেকটি টিকেট বিনামূল্যে পাচ্ছেন স্টার সিনেপ্লেক্সে। এই সুযোগ শুধু ছবিটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহের জন্য।

সিরিজের আগের ছবি ‘স্কাইফল’ অভাবনীয় ব্যবসা করেছিলো। তাই এবারও পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন স্যাম মেন্ডেস। এ নিয়ে পাঁচবার একই পরিচালক টানা দুটি বন্ড ছবি নির্মাণ করলেন। স্যাম যোগ দিয়েছেন টেরেন্স ইয়াং (ড. নো, ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ), গাই হ্যামিলটন (ডায়মন্ডস আর ফরএভার, লিভ অ্যান্ড লেট ডাই, দ্য ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন গান), লুইস গিলবার্ট (দ্য স্পাই হু লাভড মি, মুনরেকার) এবং জন গ্লেনের (ফর ইউর আইজ অনলি, অক্টোপাসি, অ্যা ভিউ টু অ্যা কিল, ত্য লিভিং ডেলাইটস, লাইসেন্স টু কিল)। স্যাম-সহ ইংরেজ চলচ্চিত্র ও মঞ্চ নির্দেশকদের পরিচালিত সপ্তম বন্ড ছবি এটি। কাকতালীয় ব্যাপার হলো, বন্ডের কোড হলো ০০৭!

এবারের ছবির কাজ হয়েছে তিন মহাদেশের (আফ্রিকা, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা পাঁচটি দেশে (ইংল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, মেক্সিকো, মরক্কো ও ইতালি)। এর মধ্যে মেক্সিকোতে শুধু এ সিরিজের ‘লাইসেন্স টু কিল’ (১৯৮৯) ছবির কাজ হয়েছিলো। তবে ‘স্পেকট্রা’ই প্রথম বন্ড ছবি যেটির দৃশ্যধারণ হয়েছে রোম শহরে। এ ছবির একটি মারামারির দৃশ্যের কাজ হয়েছে লন্ডনের টেমস নদীতে। প্রথমবার ও সর্বশেষ ১৬ বছর আগে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ নট এনাফ’ (১৯৯৯) ছবির চিত্রায়ন হয়েছিলো নদীটিতে। সব মিলিয়ে ২২৮ দিন দৃশ্যধারণের কাজ হয়।

বন্ডের ছবি মানেই অ্যাস্টন মার্টিনের গাড়ি! ‘স্পেক্টর’-এ ব্যতিক্রম হয়নি। মারামারির দৃশ্যগুলোতে এই ব্র্যান্ডের কয়েকটা গাড়ি চুরমার করতে হয়েছে। এজন্য খরচ পড়েছে ৩ কোটি ৬৭ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা!

‘স্পেক্টর’-এর মাধ্যমে চতুর্থবার জেমস বন্ডের ভূমিকায় পর্দায় হাজির হলেন ড্যানিয়েল ক্রেগ। এক দশক ধরে এ সিরিজের ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। এবারই প্রথম বরফ অঞ্চলে দেখা গেলো তাকে। ‘ডাই অ্যানাদার ডে’ (২০০২) মুক্তির ১৩ বছর পর আবার বন্ড ছবির কাজ হলো তুষার ও বরফ আচ্ছাদিত অঞ্চলে। চরিত্রটি তার জীবনকে বদলে দিয়েছে মন্তব্য করে ক্রেগ বলেন, ‘আমি নিজেকে পর্দায় দেখতে অপছন্দ করি, কিন্তু জেমস বন্ডের প্রতিটি মুহূর্ত রোমাঞ্চিত করে আমাকে। ’

একটা দিক দিয়ে অন্য সব বন্ড তারকাকে পেছনে ফেলেছেন ক্রেগ। তিনি ‘স্পেক্টর’-এর সহ-প্রযোজক। এবারই প্রথম জেমস বন্ড রূপী কোনো অভিনেতা এ সিরিজের ছবি প্রযোজনা করলেন। শোনা যাচ্ছে, ছবিটিতে কাজ করার জন্য তিনি পাচ্ছেন ৩ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে আর কোনো তারকা বন্ড চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য এতো বেশি পারিশ্রমিক পাননি।

জেমস বন্ড না বদলালেও প্রতিবারের মতো হাজির হয়েছেন নতুন বন্ডকন্যা। এ ক্ষেত্রে আছে একাধিক চমক। বন্ডকন্যা হিসেবে এবার যোগ দিয়েছেন তিন সুন্দরী ইতালির মনিকা বেলুচ্চি, ফ্রান্সের লেয়া সেদু এবং মেক্সিকোর স্টেফানি সিগম্যান। খল চরিত্রে অভিনয় করেছেন অস্কারজয়ী ক্রিস্টফ ওয়াল্টজ। ‘ওয়াটার ফর এলিফ্যান্টস’ (২০১১) ও ‘ইংলোরিয়াস বাস্টার্ডস’ (২০০৯) ছবি দেখে তাকে নেওয়া হয় এ চরিত্রে। এ নিয়ে তৃতীয় কোনো অস্কারজয়ী অভিনেতা বন্ডের শত্রু হলেন। আগের দু’জন হলেন ক্রিস্টোফার ওয়াকেন (অ্যা ভিউ টু অ্যা কিল’ ও হাভিয়ার বারদেম (স্কাইফল)। ওয়াল্টজই প্রথম অস্ট্রিয়ান অভিনেতা যিনি মূল খলনায়ক চরিত্রে পর্দায় এলেন। এবারের ছবিতে আরও আছেন র‌্যালফ ফাইনেস, নাওমি হ্যারিস, বেন হুইশো, ডেভ বাউটিস্টা, এন্ড্রু স্কট।  

ছবিটির প্রথম মারামারির পর শুরু হয় দৃষ্টিনন্দন টাইটেল অ্যানিমেশন, সঙ্গে বাজতে থাকে থিম সং ‘রাইটিংস অন দ্য ওয়াল’। এটি গেয়েছেন গ্র্যামীজয়ী ব্রিটিশ তারকা স্যাম স্মিথ। এর মাধ্যমে ৫০ বছর পর কোনো গায়ক বন্ড ছবির গান গাইলেন। সর্বশেষ ‘থান্ডারবল’ (১৯৬৫) ছবিতে শোনা গেছে টম জোন্সের গান। তারও আগে গায়কদের মধ্যে এ সিরিজের জন্য গেয়েছিলেন ম্যাট মুনরো। স্যামের গান ছাড়িয়ে গেছে দু’জনকেই। কারণ ইউকে পপ চার্টে প্রথমবারের মতো বন্ড ছবির গান শীর্ষস্থান দখল করেছে।

‘স্পেক্টর’ শব্দের অর্থ অশরীরী। তবে এটা ভূতের ছবি নয়। একটি আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্রের নামের সংক্ষিপ্ত রূপ ‘স্পেক্টর’ থেকে এই নামকরণ। নানা বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে জেমস বন্ড কীভাবে অপরাধী চক্রকে ধরে ফেলে, সেটাই দেখা যায় এবারের ছবিতে।

কেমন হলো নতুন ছবি? সমালোচকদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দ্য গাডিয়ান পত্রিকা পাঁচতারা দিয়ে পর্যালোচনায় লিখেছে- দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ, দর্শনীয় ও কোলাহলপূর্ণ বিনোদন। ’ প্রথম দৃশ্য নিয়ে ভ্যারাইটি লিখেছে, ডে অব দ্য ডেড-এর প্রেক্ষাপটে সাজানো ব্যয়বহুল প্রথম দৃশ্যটি অনবদ্য। এমন দারুণ শুরু খুব কম বন্ড ছবিতেই দেখা গেছে। প্রশংসা করেছে দ্য টাইমস, ডেইলি মিরর, দ্য সান, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের মতো পশ্চিমা পত্রিকাগুলোও। তবে হলিউড রিপোর্টারের মতে, ‘স্কাইফল’কে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি ‘স্পেক্টর’। স্ক্রিন ইন্টারন্যাশনালের পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, পুরনো ফর্মুলায় ফিরে যাওয়া হয়েছে এর মাধ্যমে।

‘স্পেক্টর’ টুকিটাকি
* জেমস বন্ড ফ্রাঞ্চাইজির ইতিহাসে ‘স্পেক্টর’ বানাতেই সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে। অঙ্কটা ৩০ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই হাজার ৩৬০ কোটি ৮৫ হাজার টাকা! প্রচারণা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে অঙ্কটা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার সাড়ে ৭০০ কোটি টাকারও বেশি!
* মেক্সিকোতে চিত্রায়িত ‘স্পেক্টর’-এর প্রথম দৃশ্যের জন্য দেড় হাজারেরও বেশি অতিরিক্ত শিল্পী ভাড়া করা হয়। ভিজ্যুয়াল ইফেক্টসের মাধ্যমে সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার।
* জেমস বন্ড হিসেবে ‘স্পেক্টর’ হলো ড্যানিয়েল ক্রেগের চতুর্থ ছবি। এর মধ্য দিয়ে পিয়ার্স ব্রসন্যানের সঙ্গে ভাগ বসালেন তিনি। তাদের চেয়ে বেশি সর্বাধিক সাতবার রজার মুর আর ছয়বার জেমস বন্ড হয়েছেন শন কনারি।
* ‘স্কাইফল’ মুক্তির তিন বছর পর ‘স্পেক্টর’-এর মাধ্যমে বড় পর্দায় ফিরলেন ড্যানিয়েল ক্রেগ।
* এটাই সিরিজটির সবচেয়ে বড় দৈর্ঘ্যের (২ ঘণ্টা ২৮ মিনিট) ছবি। বন্ডের ইতিহাসে দৈর্ঘ্যের দিক দিয়ে বড় এমন তিনটি ছবিতেই আছেন ড্যানিয়েল ক্রেগ। অন্য দুটি হলো ‘স্কাইফল’ (২০১২) ও ‘ক্যাসিনো রয়েল’ (২০০৬)।

* ‘স্পেক্টর’ হলো এক শব্দে রাখা সপ্তম বন্ড ছবি। আগের ছয়টি হলো- ‘গোল্ডফিঙ্গার’ (১৯৬৪), ‘থান্ডারবল’ (১৯৬৫), ‘মুনরেকার’ (১৯৭৯), ‘অক্টোপাসি’ (১৯৮৩), ‘গোল্ডেন আই’ (১৯৯৫) ও ‘স্কাইফল’ (২০১২)। এর মধ্যে দুটি করে ছবিতে আছেন শন কনারি, রজার মুর ও ড্যানিয়েল ক্রেগ। পিয়ার্স ব্রসন্যান আছেন একটিতে। তবে টিমোথি ডালটন ও জর্জ ল্যাজেনবি এক শব্দে নাম রাখা হয়েছে এমন বন্ড ছবিতে কাজ করেননি।
* বন্ডের টানা দুটি ছবির নাম এক শব্দে রাখার নজির এর আগে একবারই দেখা গেছে। তা-ও ৫০ বছর আগে। সেগুলো হলো ‘গোল্ডফিঙ্গার’ (১৯৬৪) ও ‘থান্ডারবল’ (১৯৬৫)। ওই দুটি ছিলো শন কনারির তৃতীয় ও চতুর্থ বন্ড ছবি। একইভাবে জেমস বন্ড চরিত্রে ‘স্কাইফল’ ও ‘স্পেক্টর’ ক্রেগেরও তৃতীয় ও চতুর্থ ছবি!
* ‘স্পেক্টর’ নামে কোনো উপন্যাস লেখেননি আয়ান ফ্লেমিং। অপরাধী সংগঠন ‘স্পেক্টরের নাম উল্লেখ থাকা সপ্তম ছবি এটি। এর আগে ‘ড. নো’ (১৯৬২), ‘থান্ডারবল’ (১৯৬৫), ‘ইউ অনলি লিভ টোয়াইস’ (১৯৬৭), ‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ’ (১৯৬৩), ‘ডায়মন্ডস আর ফরএভার’ (১৯৭১) এবং ‘অন হার ম্যাজেস্টিস সিক্রেট সার্ভিস’ (১৯৬৯) ছবিতে এই সংগঠনের কথা বলা হয়েছে।
* বন্ড সিরিজের ইতিহাসে এবারই প্রথম টানা দুটি ছবির নাম রাখা হলো ইংরেজি একই বর্ণ (এস) দিয়ে।
* ‘স্পেক্টর’-এর মূল অভিনয়শিল্পীদের সবার জন্ম হয়েছে বন্ড ফ্রাঞ্চাইজি শুরুর পর। আগের ২৩টি ছবির মূল তারকারা কেউ না কেউ জন্মেছিলেন ১৯৬২ সালের আগে।  


বাংলাদেশ সময় : ১৪৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ