ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তারার ফুল

মুক্তিযুদ্ধের নাটকের শিল্পীরা

তৃণা শর্মা, প্রদায়ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৬
মুক্তিযুদ্ধের নাটকের শিল্পীরা

মার্চ, রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মাস। ঐতিহাসিক এই সময়টি উঠে এসেছে সাহিত্য ও চলচ্চিত্রে।

মুক্তিযুদ্ধকে উপজীব্য করে নাটক-টেলিছবির সংখ্যাও কম নয়! স্বাধীন দেশের নির্মাতারা বহুমাত্রিক উপায়ে টিভি দর্শকের সামনে বলেছেন মুক্তিযুদ্ধের গল্প। এই চিত্রটা বেশ সন্তোষজনক।   আগামীকাল শনিবার মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো ৫ বছরে প্রচারিত মুক্তিযুদ্ধের নাটকের চালচিত্র।

বিভিন্ন জাতীয় দিবস (২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর) উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের নাটক-টেলিছবি তৈরির হিড়িক পড়ে। এর সবই যে, মানোত্তীর্ণ তেমন নয়। কিন্তু এই প্রবণতাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন শিল্পী ও দর্শক। এরই ধারাবাহিকতায় বিটিভিসহ প্রায় প্রতিটি বেসরকারি টিভি দিবসভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের নাটক প্রচার করে। সংখ্যার দিক দিয়ে ৫ বছরে চ্যানেলগুলো প্রচার করেছে প্রায় ৮০টি মুক্তিযুদ্ধের নাটক।

এসব নাটক নির্মাণে পরিচালকের আসনে আছেন নামী নির্মাতা, আছে তরুণদেরও অংশগ্রহণ। একইভাবে শিল্পী তালিকায়ও আছে বৈচিত্র্য, সিনিয়র-জুনিয়র অভিনয়শিল্পীর সমন্বয়। তবে বেশির ভাগ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে পরীক্ষিত তারকাদেরই দেখা যায়।

হিসেবে দেখা গেছে, ৫ বছরে মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত অধিকাংশ নাটক-টেলিছবির অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ। তিনি সর্বমোট ৬ টি নাটকে অভিনয় করেছেন।   এগুলো হলো মধ্যে ‘পিতৃ পরিচয়’ (২০১১), ‘জন্মদিন’ (২০১২), ‘অন্তরাল’ (২০১৪), ‘একটি ডায়েরি ও কিছু প্রশ্ন’ (২০১৪), ‘ছয় নম্বর সাক্ষী’ (২০১৪) ও ‘বাড়ির নাম স্বাধীনতা’(২০১৫)।  

এ প্রসঙ্গে আসাদ জানান, মুক্তিযুদ্ধ ও সাহিত্যনির্ভর গল্পের নাটকে কাজ করতে সাচ্ছন্দবোধ করেন। এ কারণেই কি-না এসব নাটকে অভিনয়ের জন্য প্রচুর প্রস্তাব আসে তার কাছে। আর তিনিও সানন্দে অভিনয় করেন।

এবার দেখা যাক নারী অভিনয়শিল্পীদের চিত্র। আসাদের মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশাও অভিনয় করেছেন ছয়টি নাটক-টেলিছবিতে। ৫ বছরে তিশা অভিনীত মুক্তিযুদ্ধের নাটক গুলো হলো- ‘এখন জাম গাছটাই শুধু কাঁদছে’(২০১০), ‘ফ্ল্যাশব্যাক’(২০১১),  ‘প্রিন্সেস জরিনা’ (২০১৩), ‘দাগ’ (২০১৪), ‘পেজ সিক্সটিন’ (২০১৪) ও ‘আঁধারের ঋণ’(২০১৫)।

এ দুই তারকার পরেই আছেন মোশাররফ করিম ও রিচি সোলায়মান। তারা ৪ টি করে মুক্তিযুদ্ধের নাটক করেছেন। এর মধ্যে মোশাররফ করিমের রয়েছে ‘কাঁটা’ (২০১০), ‘পেজ সিক্সটিন’ (২০১৪), ‘কাকতারুয়া’ (২০১৪) ও ‘রতন ডাকাতের দেশটা’ (২০১৫)। আর রিচি সোলায়মানের নাটকগুলো হলো- ‘আলো ছায়া (২০১৪), ‘যুদ্ধ ও জোনাকি’ (২০১৪), ‘ডেড লাইন ৭১’ (২০১৪) ও ‘অবশিষ্ট বুলেট’ (২০১৫) ।

মুক্তিযুদ্ধের একাধিক নাটকে দেখা গেছে বিদ্যা সিনহা মিম (একটি লাল শাড়ির গল্প, সন্দেশ বিষ পিঁপড়া, অপুর ৭১), আফরান নিশো (অবহন, শুল্কপক্ষের আহবান) ও সুমাইয়া শিমুকে (এবং অতঃপর, পতাকা, এবং)।

নির্মাতাদের মতো শিল্পীরাও সাহিত্য নির্ভর কিংবা মুক্তিযুদ্ধের নাটকে অভিনয় করে নিজেদের শানিত করতে চান। এ কারণেই বাজেট স্বল্পতা কিংবা অন্যান্য সীমাবদ্ধতা ভুলে দেশাত্মবোধের কাজে অংশ নেন তারা। অনেকেই মনে করেন যে, শুধু দুটি দিবস ঘিরে নয়, মুক্তিযুদ্ধের নাটক তৈরি হওয়া দরকার পুরো বছরজুড়ে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৬
টিএস/এসও/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ