ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তারার ফুল

শ্রাবন্তীর ঠোঁটে শাকিবের চোখের প্রশংসা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৬
শ্রাবন্তীর ঠোঁটে শাকিবের চোখের প্রশংসা শ্রাবন্তী ও শাকিব খান-ছবি: নূর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শাকিব খান ও শ্রাবন্তীকে ঘিরে সংবাদ সম্মেলন করলো ‘শিকারী’ টিম। জাজ মাল্টিমিডিয়ার আয়োজনে বুধবার (২২ জুন) ঢাকা ক্লাবের বিকেলটি জমে ওঠে দুই তারকার খুনসুঁটিতে।

ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘শিকারী’কে ঘিরে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তারা। কিছু প্রশ্ন ‘কৌশল’-এ এড়িয়ে গেলেও শ্রাবন্তীর সাবলীল কথাভঙ্গি ও হাসি মুগ্ধ করেছে আমন্ত্রিত অতিথিদের। পড়ুন শাকিব ও শ্রাবন্তীর কিছু কথা-

‘হারাবো তোকে’ গান প্রকাশের পর দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?
শ্রাবন্তী:
গানটা দেখে আমার কলিগরা তো অভিভূত! তারা বলছে, শাকিব-শ্রাবন্তী জুটিটা বেশ জমবে এবার। আমি নিজেও গানটি দেখেছি বারবার। যতোবার দেখি ততোবারই ভালো লাগে। একবারও বোর হচ্ছিনা। বারবারই মনে হচ্ছে নতুন কোনো গান দেখছি। আমাদের জুটিটাকে দর্শকরা সত্যিই খুব ভালোবেসেছে। দেবের টুইটার পোস্টটি দেখে খুব খুশি হয়েছি। শুধু দেব নয়, সবাই গানটির প্রশংসা করেছে। ইউটিইউবে অবিশ্বাস্য রকমের ভিউয়ার ছিলো। এটা আমাদের আরো অনুপ্রাণিত করছে। আমি চাই গানটি আরও ছড়াক।
শাকিব খান: শাকিব-শ্রাবন্তীর কেমেস্ট্রি সবার ভালো লেগেছে। এটা অভাবনীয়। এতোদিন শুনেছি বলিউডের খানদের গানই মিলিয়ন বিলিয়ন ভিউ হয়। এখন দেখি বাংলাদেশী খানের গানের এতো ভিউ! (হাসি)। আমি আসলে এ জন্য ভক্তদের ধন্যবাদ জানাবো। আমাকে যে তারা কতোটা ভালোবাসেন, সেটা আবারও প্রমাণ হলো।

দেব, জিৎ আর শাকিব- তিনজনের সঙ্গেই কাজ করলেন। শ্রাবন্তীর দৃষ্টিতে অভিনয়ে কে এগিয়ে?
শ্রাবন্তী:
এটা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তারা সবাই নিজেদের জায়গায় সুপারস্টার। শাকিবের কথা বলবো যে, তিনি এক কথায় অসাধারণ মানুষ। প্রথম প্রথম তো শুটিংয়ে ও কথাই বলতো না, চুপচাপ। পরে অবশ্য ঠিক হয়ে গেছে। আমাদের প্রথমদিন শুটিং হয় বোলপুর (ইন্ডিয়া)। সেদিন রাহুল দেবের সঙ্গে অ্যাকশনের দৃশ্য ছিলো। তবে আমার সেদিন খুব বেশি ক্যামেরার সামনে আসতে হয়নি। আর ওই সময়টাতে প্রচুর গরম ছিল। এখানে একটা মজার ব্যাপার আছে। সেটা হচ্ছে প্রথম দিন দেখেছি শাকিব ইউনিটে একেবারেই চুপচাপ, শান্তশিষ্ঠ। আমি তাকে বলি, ‘কী ব্যাপার? তুমি কথা বলছো না কেন?’ তারপর সে নড়েচড়ে বসে।

শাকিব খান, আপনি এতো এতো নায়িকার সঙ্গে কাজ করেছেন। সহশিল্পী হিসেবে শ্রাবন্তী কেমন?
শাকিব খান: 
ও আমার খুব ভালো বন্ধু। আমার কাছে তো ভালোই লেগেছে। আর প্রথম গান রিলিজ হওয়ার পর তো ভক্তরাই বলছে, মেড ফর ইচ আদার। আর ‘শিকারী’র জন্য ওর চেষ্টা ছিলো অনেক। সবে তো শুরু হলো। আমি আশা করি শ্রাবন্তী এরপর যৌথ প্রযোজনার বাইরেও এ দেশের ছবিতে অভিনয় করবে। রচনা ব্যানার্জি, ঋতুপর্ণা তারা সবাই এ দেশের ছবিতে কাজ করেছেন।

কী থাকছে ‘শিকারী’তে?
শ্রাবন্তী:
ইমোশন আছে, কমেডি আছে। বিশেষ করে খরাজ দার কমেডি ছিলো দেখার মতো। অ্যাকশন আছেন, রোমাঞ্চ আছে। এক কথায় ফাটাফাটি। একটি সিনেমার মধ্যে দর্শকরা এতো কিছু পেলে দর্শকরা তো দেখবেই। আমরা নিজেরও পুরো ছবিটা দেখতে ইচ্ছা করছে।
শাকিব: অনেকদিন পর কোনো একটা সিনেমা দেখে দর্শক বলতে বাধ্য হবেন, ‘ওয়াও’। ছবিটির গল্প যেখান থেকেই নেওয়া হোক না কেন, এটা সম্পূর্ণ বাংলা সিনেমা। এটা দেখে একবারের জন্য মনে হবেনা তামিল সিনেমা দেখছেন।  

বাংলাদেশে এসে কী কী করলেন? ঘুরেছেন?
শ্রাবন্তী: কিচ্ছু কেনাটাকা করিনি। আর শুধু খেয়েছি। আমার প্রিয় ইলিশ মাছ খেয়েছি, কাঁচালঙ্কা খেয়েছি।
শাকিব:  শ্রাবন্তীকে এবার সময় দেওয়াই হয়নি। আপনারা সবাই জানেন, রমজান মাসে আমাদের দেশে সবকিছুই বেশ নিয়ন্ত্রিত। সারাদিন কাজ কর্ম শেষ করে রাতে তারাবি পরতে হয়, তারপর বিশ্রাম। আশা করি, ভবিষ্যতে ছবির শুটিংয়ের খাতিরেই পুরো বাংলাদেশ ঘুরে দেখাতে পারবো শ্রাবন্তীকে।

শাকিবের সঙ্গে এবারই প্রথম কাজ করলেন। অভিজ্ঞতা কেমন?
শ্রাবন্তী:
অ্যাক্টরের গুণটা আছে ওর মধ্যে। ওর চোখ, চোখের এক্সপ্রেশন ভীষন ভালো লাগে। ড্যান্স ভালো করে।  

শুটিংয়ে কোনো ঘটনাটা মনে পড়ছে?
শ্রাবন্তী:
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শুটিং করেছিলাম কয়লার খনিতে। ২০০ ফুট গভীর খনি। শাকিবতো ঘেমে নেয়ে অস্থির। এতো ফর্সা সুন্দর দেখতে একজন! সে কী না কয়লার খনিতে শুটিং করছিলো! আমাকে অতোটা কষ্ট করতে হয়নি। টিমের সবাই কঠোর পরিশ্রম করেছি। বিশেষ করে শাকিবের পরিশ্রম ছিলো সবচেয়ে বেশি।

শাকিব এখানকার লাভার বয়। তার সঙ্গে ছবি করতে গিয়ে শ্রাবন্তীর কোনো প্রেমিকের কথা মনে পড়েছে?
শ্রাবন্তী:
কতো স্টোরি আছে! সে না হয় থাক, আরেকদিন বলবো(হাসি)।

শ্রাবন্তীর চোখে শাকিব খানের ভালো ও মন্দ দিকগুলো কী?
শ্রাবন্তী:
খারাপ দিকতো দেখিনা। ওর তো সবই ভালো। ভালো ব্যবহার। ভেরি গুড অ্যাক্টর, ভেরি গুড ড্যান্সার।

পৈতৃক বাড়ি বরিশাল বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছেও পোষণ করেছিলেন...
শ্রাবন্তী : 
আমার বংশধর এবং মায়ের বংশধর সব্বাই কিন্তু বরিশালের। সেখানে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না। তাছাড়া অনেক ব্যস্ততার মাঝেও এবার মাত্র দুটো দিন হাতে নিয়ে ঢাকায় এসেছি। দেখা যাক হয়তো আগামীতে যাবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৩
এসও  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ